ঢাকা, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২
ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ও বডি ক্যামেরা নিয়ে ইসির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক: ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা এবং পুলিশকে বডিওর্ণ ক্যামেরা প্রদান বিষয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করলেও ইসি তাদের চিঠিতে জানিয়েছে, “করণীয় কিছু নেই।”
ইসির উপসচিব রাশেদুল ইসলামের সই করা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ৬ আগস্টের সভার আলোচ্যসূচী অনুযায়ী সিসিটিভি ও বডিওর্ণ ক্যামেরা সংক্রান্ত যে প্রস্তাব এসেছে, তাতে নির্বাচন কমিশন কোনো কার্যক্রম নেওয়ার অবস্থায় নেই। এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইসিকে এই বিষয়ে করণীয় জানতে চিঠি দিয়েছিল।
নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহও সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা দেওয়ার বিষয়ে কমিশন চিন্তিত নয়। তবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এই প্রস্তাব দিয়েছেন।
অন্যদিকে, নির্বাচন কমিশন আগামীকাল (১১ সেপ্টেম্বর) নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন চূড়ান্ত করতে বৈঠক করবে। ইসির উপসচিব মো. মাহবুব আলম শাহ্-এর সই করা চিঠিতে জানানো হয়েছে, সকাল সাড়ে ১১টায় কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকারের সভাপতিত্বে ‘সীমানা পুনর্নির্ধারণ, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন প্রস্তুতি, ভোটকেন্দ্র স্থাপন, ভোটার কর্মকর্তা প্যানেল ও তদারকি’ বিষয়ক ১৩তম সভা অনুষ্ঠিত হবে।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, নির্বাচনের রোডম্যাপ অনুযায়ী ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিবন্ধন শর্ত পূরণকারী দলগুলোর গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। এরপর ১৫ থেকে ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সম্ভাব্য আপত্তি শুনানি হবে। ২৩ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত অনুমোদন ও গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে নিবন্ধন সনদ প্রদান করা হবে।
নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, “২২টি দলের জন্য জেলাভিত্তিক তদন্ত প্রতিবেদন চেয়েছি। ৬৪ জেলায় তাদের অবস্থান অনুযায়ী রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে। কিছু রিপোর্ট ইতিমধ্যে পাইপলাইনে আছে, বাকিগুলো আসছে।”
প্রাথমিক বাছাইয়ে টিকে থাকা ২২টি দল হলো: ফরওয়ার্ড পার্টি, আমজনতার দল, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টি (বিজিপি), বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি), বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্ক্সবাদী), মৌলিক বাংলা, বাংলাদেশ জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি, জাতীয় জনতা পার্টি, জনতার দল, জনতা পার্টি বাংলাদেশ, বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশ জাতীয় লীগ, ভাসানী জনশক্তি পার্টি, বাংলাদেশ বেকার মুক্তি পরিষদ, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)–সিপিবি (এম), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ–শাহজাহান সিরাজ), জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ বেকার সমাজ (বাবেস), বাংলাদেশ সলুশন পার্টি এবং নতুন বাংলাদেশ পার্টি।
আইন অনুযায়ী, নিবন্ধনের জন্য দলের একটি কেন্দ্রীয় কমিটি, এক তৃতীয় জেলা ও ১০০ উপজেলা কমিটি এবং প্রতিটি কমিটিতে ২০০ ভোটারের সমর্থনের প্রমাণ থাকতে হয়। এছাড়া পূর্বে সংসদ সদস্য থাকা বা পূর্বের নির্বাচনে পাঁচ শতাংশ ভোট পাওয়া দলও নিবন্ধনের যোগ্য। এছাড়া অন্যান্য নিয়ম-কানুনও মেনে আবেদন করতে হয়। প্রাথমিক বাছাইয়ে এসব শর্ত পূরণ করা হয়।
এমজে
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- শেয়ারবাজারে দ্রুত মুনাফা তোলার ৫টি ট্রেডিং টিপস
- এক হাজার কোটি টাকার মামলায় শিবলী রুবাইয়াত গ্রেপ্তার
- তালিকাচ্যুতির ঝুঁকিতে অলিম্পিক এক্সেসরিজ
- সাবেক কর্মীদের ১৮২৩ কোটি টাকা আটকে রেখেছে ম্যারিকো
- এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ উচ্চতায় ৫ কোম্পানি
- রবির মাধ্যমে দেশে আসছে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট
- শেয়ার কারসাজিতে ১২ জনকে সাড়ে ৩ কোটি টাকা জরিমানা
- সর্বোচ্চ চাহিদায় নাগালের বাইরে ১৪ প্রতিষ্ঠান
- তিন কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা
- কৃত্রিম চাপে শেয়ারবাজারে অস্থিরতা, সহসা পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা
- শেয়ারবাজারে মিডল্যান্ড ব্যাংকের নতুন যাত্রা
- সর্বনিম্ন দামে আটকে গেল ৭ কোম্পানির শেয়ার
- এক কোম্পারি অস্থিরতায় শেয়ারবাজারে তোলপাড়
- মুনাফা বাড়াতে নতুন পরিকল্পনা: ঘুরে দাঁড়াচ্ছে হাক্কানী পাল্প
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ইস্টার্ন হাউজিং