ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২
মাউশি ডিজির হুঁশিয়ারিতে শিক্ষকমহলে সমালোচনার ঝড়

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক প্রফেসর আজাদ খানের একটি ফেসবুক পোস্টকে ঘিরে শিক্ষক সমাজ এবং সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
বুধবার (২৩ জুলাই) রাতের দিকে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লেখেন, “ফেসবুক আমার অফিস না। যা ইচ্ছে তা কমেন্ট করলে আইনের আশ্রয় নেওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না।”
এই মন্তব্য সামাজিক মাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়। শিক্ষক ও চাকরিপ্রত্যাশীরা মনে করছেন, এটি ব্যক্তিগত মত প্রকাশের অধিকার তথা বাকস্বাধীনতার পরিপন্থী। অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন একজন দায়িত্বশীল সরকারি কর্মকর্তার কাছ থেকে এমন হুঁশিয়ারিমূলক বক্তব্য কতটা যুক্তিসংগত।
‘বৈষম্যহীন’ নামের এক ফেসবুক আইডি থেকে মন্তব্য করা হয়, ‘ফেসবুকে অফিসিয়াল স্ট্যাটাস দিতে পারবেন কিন্তু মন্তব্য করা যাবে না এ কেমন কথা? সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে আপনি বেকারদের নিয়ে তামাশা করছেন।’
সিরাজুল ইসলাম সুমন নামে এক নেটিজেন লিখেছেন, ‘আপনি যদি উল্টাপাল্টা কথা বলেন তাহলে সমালোচনা আসবেই। প্রদর্শক নিয়োগে দুর্নীতির কোনো প্রমাণ না পাওয়ার পরও রেজাল্ট প্রকাশ না করা অন্যায়। আপনি যদি জনসাধারণকে ‘তুই’ সম্বোধন করেন তা একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার জন্য শোভন নয়।’
মো. ইব্রাহিম নামে এক চাকরিপ্রত্যাশী লিখেছেন, ‘আমি দুটি পদে ভাইভা দিয়েছি। এখন বয়স শেষ। রেজাল্ট না পেলে আর কোনো সরকারি চাকরির সুযোগ থাকবে না।’
মো. কামরুজ্জামান নামে এক ব্যক্তি মন্তব্য করেন, ‘আপনি অনেক উচ্চ পদে অধিষ্ঠিত। তাই আরও ধৈর্যশীল হওয়া উচিত। চাইলে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টের ফ্রেন্ড লিস্ট সীমিত করতে পারেন।’
মাউশি ডিজির এমন বক্তব্যে শিক্ষক এবং চাকরিপ্রত্যাশীরা বলছেন, একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তার এমন বক্তব্য বাকস্বাধীনতার পরিপন্থী।
প্রসঙ্গত, মাউশির অধীনে প্রদর্শক নিয়োগ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই চাকরিপ্রত্যাশীদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘ সময় ধরে ফলাফল প্রকাশ না করায় তারা অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছেন। সেই প্রেক্ষাপটে ডিজির সাম্প্রতিক পোস্ট নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- শেয়ারবাজারে দ্রুত মুনাফা তোলার ৫টি ট্রেডিং টিপস
- এক হাজার কোটি টাকার মামলায় শিবলী রুবাইয়াত গ্রেপ্তার
- তালিকাচ্যুতির ঝুঁকিতে অলিম্পিক এক্সেসরিজ
- সাবেক কর্মীদের ১৮২৩ কোটি টাকা আটকে রেখেছে ম্যারিকো
- এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ উচ্চতায় ৫ কোম্পানি
- রবির মাধ্যমে দেশে আসছে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট
- সর্বোচ্চ চাহিদায় নাগালের বাইরে ১৪ প্রতিষ্ঠান
- শেয়ার কারসাজিতে ১২ জনকে সাড়ে ৩ কোটি টাকা জরিমানা
- তিন কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা
- শেয়ারবাজারে মিডল্যান্ড ব্যাংকের নতুন যাত্রা
- সর্বনিম্ন দামে আটকে গেল ৭ কোম্পানির শেয়ার
- নতুন উচ্চতায় অগ্রসর হচ্ছে দেশের শেয়ারবাজার
- মুনাফা বাড়াতে নতুন পরিকল্পনা: ঘুরে দাঁড়াচ্ছে হাক্কানী পাল্প
- চার জেডের শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের সর্বোচ্চ আস্থা
- শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের মাথাব্যথার ১১ শেয়ার