ঢাকা, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২
এবার সাবেক ৬ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে দুদক

স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের সময় প্রভাবশালী হিসেবে পরিচিত ছয় সাবেক জেনারেলের বিরুদ্ধে মাঠপর্যায়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদের পতনের পরপরই এই অনুসন্ধানের কাজ শুরু হয় এবং এখন তা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। দুদকের তথ্যে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত কর্মকর্তারা তাঁদের জ্ঞাত আয়কে উপেক্ষা করে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন।
এই ছয়জন সামরিক কর্মকর্তা হলেন, সাবেক সেনাপ্রধান ও ‘রাতের ভোট’ পরিকল্পনার অন্যতম রূপকার আজিজ আহমেদ, সাবেক বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল (অব.) শেখ আব্দুল হান্নান, এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক ও বরখাস্তকৃত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান, এনএসআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) টি এম জোবায়ের, এসএসএফের সাবেক প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) মুজিবুর রহমান এবং ডিজিএফআইয়ের সাবেক প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) হামিদুল হক।
দুদক সূত্র জানায়, এই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধের অনুসন্ধানে অর্থ পাচার, ভুয়া কোম্পানির নামে সম্পদ সঞ্চয়ন ও দুর্নীতির নানা অভিযোগ উঠে এসেছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের ব্যাংক লেনদেন, সম্পদ বিবরণী এবং আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের চিত্র বিশ্লেষণ করে তারা বিস্মিত হয়েছেন। তদন্তে দেখা গেছে, কেউ কেউ জটিল কৌশলে বিপুল অর্থ বিদেশে পাচার করেছেন। বিভিন্ন সময় দুদকের তদন্ত কর্মকর্তারা এই ব্যক্তিদের তলব করেছেন, এমনকি জিজ্ঞাসাবাদও করেছেন। কিন্তু তাঁরা কেউই বৈধ আয়ের উৎস থেকে ওই সম্পদের সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা দিতে পারেননি।
দুদক কর্মকর্তাদের ভাষ্য, এর আগে কখনও একসঙ্গে এতসংখ্যক উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়নি। এবারই প্রথম এ ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে কমিশন। তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে এবং অচিরেই মামলা দায়ের করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের জানান, “উল্লেখিত সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।”
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) জানিয়েছে, বিগত ১৫ বছরে প্রভাবশালী এই ছয় সাবেক সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে নানা অভিযোগ কমিশনে জমা পড়েছিল। তবে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে তাঁদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকার কারণে সেই অভিযোগগুলোর কোনো তদন্ত আগাতে পারেনি। এমনকি দুদকে পৌঁছানোর আগেই অনেক অভিযোগ চাপা পড়ে যায় বা প্রত্যাহার হয়ে যায়।
তবে গত ৫ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটে। এরপরই পুরোনো অভিযোগগুলো পুনরায় খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করে দুদক।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- শেয়ারবাজারের পাঁচ কোম্পানিতে বেড়েছে বিদেশি বিনিয়োগ
- নভেম্বর-ডিসেম্বরে হতে পারে ঢাবির ৫৪তম সমাবর্তন
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তার জালে তিন কোম্পানি
- ঢাবি অ্যালামনাইয়ের বৃত্তির সাক্ষাৎকার নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
- প্রথম প্রান্তিকের ইপিএস প্রকাশ করেছে পাঁচ কোম্পানি
- ভারতের ২৫০ সেনা নিহত
- ১৭ কোম্পানি শেয়ারে সফল বিনিয়োগ, ২০ শতাংশের বেশি মুনাফা
- হঠাৎ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে, মারা গেলেন ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থী
- চ্যাটজিপিটি ব্যবহারে ভয়াবহ বিপদ, গবেষণায় উঠে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
- শেয়ারবাজারে ব্যাংক খাতে বিক্রেতা সংকটের নতুন দিগন্ত
- ঢাবির ২০১৮-১৯ সেশনের অছাত্ররা হতে পারবেন না ভোটার-প্রার্থী
- তাসনিম জারার হাফ প্যান্ট পরা ভাইরাল ছবি নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য
- শিক্ষার্থীদের আলোকিত ভবিষ্যত গড়তে পাশে থাকবে ঢাবি অ্যালামনাই
- কারো বাবা শেষ সম্বল বিক্রি করেছেন, কারো বাবাই নেই
- শিক্ষার্থীদের জন্য সবসময় ডুয়ার অফিস খোলা : শামসুজ্জামান দুদু