ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২
নিরাপত্তা খাতে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান
.jpg)
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বাংলাদেশের নিরাপত্তা খাতে যুক্তরাষ্ট্রকে আরও সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার (১০,জুলাই)দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার অফিসকক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স মেগান বোল্ডিন এর সাথে সাক্ষাৎকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
বৈঠকে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি, সন্ত্রাসবাদ দমন, মামলার প্রসিকিউশন, তরুণীদের অনলাইনে যৌন হয়রানি প্রতিরোধসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকের শুরুতে উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, সন্ত্রাসবাদ দমন ও নিরাপত্তা খাতে শুরু থেকেই দেশটি বাংলাদেশের অংশীদার হিসেবে কাজ করে আসছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জাম সহযোগিতায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটকে আধুনিক ও দক্ষ বাহিনীতে রূপান্তর করা সম্ভব হয়েছে। এজন্য চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্সকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি ভবিষ্যতেও এ সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের নিরাপত্তা খাতে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়ে চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স বলেন, সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গি হামলার ঝুঁকি প্রতিটি দেশেই রয়েছে। বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়। তিনি বলেন, অতীতে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে অনেক রাজনৈতিক নিপীড়নের ঘটনাকে জঙ্গিবাদ আখ্যা দেওয়ার অভিযোগ থাকলেও, নিরাপত্তা নিশ্চিতের ব্যাপারে বাংলাদেশকে সবসময় সতর্ক থাকতে হবে।
জবাবে উপদেষ্টা বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে কোনও সক্রিয় জঙ্গি সংগঠন নেই। তবে নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দলগুলো মাঝে মাঝে মিছিল-মিটিংয়ের চেষ্টা করে, যা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে। তিনি আরও জানান, সন্ত্রাসবাদ ছাড়াও যেকোনো অপরাধ প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে এবং তাদের সে অনুযায়ী নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, ঢাকার বারিধারা কূটনৈতিক এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেখানে নিয়মিত বাহিনীর পাশাপাশি কোস্টগার্ডও মোতায়েন করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স বলেন, যেকোনো দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলোর মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ, সমন্বয় ও তথ্য আদান-প্রদান জরুরি। তিনি বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট, গোয়েন্দা সংস্থা, সিটিটিসি, এটিইউসহ সংশ্লিষ্ট বাহিনীর মধ্যে তথ্য বিনিময় ও সমন্বয় আরও বাড়ানোর তাগিদ দেন। এতে দেশের সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাও আরও শক্তিশালী হবে বলে মত দেন তিনি।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- তিন কোম্পানির কারখানা বন্ধ, ক্ষোভ বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের
- আইসিবি’র বিশেষ তহবিলের মেয়াদ ২০৩২ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধি
- কেয়া কসমেটিক্সের ৮ হাজার কোটি টাকা উধাও, চার ব্যাংককে তলব
- সম্ভাবনার নতুন দিগন্তে শেয়ারবাজারের খান ব্রাদার্স
- ব্লুমবার্গের টেকসই তালিকায় বাংলাদেশের ১১ তালিকাভুক্ত কোম্পানি
- মূলধন ঘাটতিতে দুই ব্রোকারেজ হাউজ, ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
- দুই খবরে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ শেয়ারের চমক
- চলতি বছর শেয়ারবাজারে আসছে রাষ্ট্রায়াত্ব দুই প্রতিষ্ঠান
- সাকিবের মোনার্কসহ ৮ ব্রোকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
- ২৩ আগস্ট : শেয়ারবাজারের সেরা ৮ খবর
- হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে প্রতারণা, বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করল ডিএসই
- বিএসইসির নতুন মার্জিন বিধিমালার খসড়া অনুমোদন
- বিমা আইন সংস্কার: বিনিয়োগ ও আস্থায় নতুন দিগন্ত
- কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা
- শেয়ারবাজারের জন্য সুখবর: কমছে ট্রেজারি বিল ও বন্ডের সুদ