ঢাকা, বুধবার, ২০ আগস্ট ২০২৫, ৫ ভাদ্র ১৪৩২

খামেনি কি সত্যিই রাসূল (সা.)-এর বংশধর? যা জানা গেল

ডুয়া নিউজ- আন্তর্জাতিক
২০২৫ জুলাই ০৫ ১৩:২৮:৩৬
খামেনি কি সত্যিই রাসূল (সা.)-এর বংশধর? যা জানা গেল

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে শুধু একজন রাজনীতিক হিসেবে বিবেচনা করা তার পরিচয়ের অপূর্ণ চিত্র তুলে ধরবে। তিনি মূলত একজন বরেণ্য আলেম। ধর্মীয় শিক্ষা, শাসন ক্ষমতায় দৃঢ় অবস্থান এবং ইসলামবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে আপসহীন মনোভাব—এই সব মিলিয়ে তিনি মুসলিম বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী নেতায় পরিণত হয়েছেন। বিশেষ করে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তার কঠোর ও একক অবস্থান তাকে মুসলিম বিশ্বে আলাদা মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করেছে।

আয়াতুল্লাহ খামেনির জন্ম ১৯৩৯ সালের ১৭ জুলাই ইরানের পবিত্র নগরী মাশহাদে। তার পিতা আয়াতুল্লাহ সৈয়েদ জাওয়াদ খামেনি ছিলেন এক সুপরিচিত আলেম।

তিনি নিজেকে হোসাইনী সাইয়েদ বলে পরিচয় দেন অর্থাৎ তিনি বিশ্বাস করেন যে তিনি মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র ইমাম হোসাইন (রাঃ)-এর বংশধর। যদিও ডিএনএ পরীক্ষায় তা প্রমাণিত হয়নি তবে ইসলামী বংশতালিকা ও ঐতিহ্যের ভিত্তিতে তার এই পরিচয় তাকে মুসলিম বিশ্বে উচ্চ মর্যাদা দিয়েছে বলে অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন।

রেডিও ফারদা, উইকিপিডিয়াসহ বিভিন্ন সূত্র অনুযায়ী, খামেনি পরিবার ইরানি আজেরি সাইয়্যিদ বংশভুক্ত। তারা নিজেদের ইসলামের চতুর্থ ইমাম আলী ইবনে হুসেইন জয়নুল আবিদিনের উত্তরসূরি হিসেবে দাবি করে। ইতিহাস অনুযায়ী তার পূর্বপুরুষেরা আজারবাইজান, ইরান, নাজাফ ও তাফরেশ অঞ্চলে বসবাস করতেন।

খামেনির রাজনৈতিক উত্থান ঘটে ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের মধ্য দিয়ে। তিনি ছিলেন ইমাম রুহুল্লাহ খোমেনির ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও বিপ্লবের অন্যতম প্রধান নেতা। বিপ্লবের পর তিনি ইরানের প্রথম আলেম রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হন। ১৯৮৯ সালে ইমাম খোমেনির মৃত্যুর পর তিনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতার দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং এখনও সেই পদেই বহাল আছেন।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন
ট্যাগ: খামেনি

সর্বোচ্চ পঠিত