ঢাকা, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২
প্রতিরক্ষা খাতে ২০ শতাংশ বরাদ্দ বাড়াল পাকিস্তান
.jpg)
পাকিস্তান চলতি বছরের ফেডারেল বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতে ২০ শতাংশ ব্যয় বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছে। এক মাস আগে ভারতের সঙ্গে সংঘর্ষের প্রেক্ষাপটে আজ মঙ্গলবার (১০ জুন) এই ঘোষণা আসে। ওই সংঘর্ষ ছিল সাম্প্রতিক দশকের সবচেয়ে ভয়াবহ। মে মাসে পারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশের চার দিনের সেই সংঘর্ষে ৭০ জনের বেশি নিহত হওয়ার পর আকস্মিকভাবে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
অর্থমন্ত্রী মুহাম্মদ আওরঙ্গজেব মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সংসদে ৬২ বিলিয়ন ডলারের বাজেট পেশ করেন। বাজেটের ১৪ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে প্রতিরক্ষা খাতে। এবারের বাজেটে ২.১২ ট্রিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি (৭.৫ বিলিয়ন ডলার) থেকে বাড়িয়ে আগামী অর্থবছরে ২.৫৫ ট্রিলিয়ন রুপি করা হয়েছে।
এর আগে গত শুক্রবার পাকিস্তান সরকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানায়, তারা চীনের কাছ থেকে ৪০টি নতুন যুদ্ধবিমান ও একটি আধুনিক বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার বিষয়ে আলোচনা করছে।
২০২৩ সালে পাকিস্তান আর্থিকভাবে দারুণ সংকটে পড়ে। এমনকি ঋণখেলাপির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছায়। রাজনৈতিক অস্থিরতার সঙ্গে মন্দা পরিস্থিতি মিলে দেশের অর্থনীতি চরম দুরবস্থার মধ্যে পড়ে। শেষ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ৭ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা নিয়ে দেশটি পরিস্থিতি সামাল দেয়। এরপর থেকে কিছুটা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে পাকিস্তান—মুদ্রাস্ফীতি কমেছে এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও বেড়েছে।
বাজেট ঘোষণার আগে সংসদে এক ব্রিফিংয়ে আওরঙ্গজেব বলেন, "আমরা সঠিক পথে এগোচ্ছি। যেকোনো রূপান্তর দুই থেকে তিন বছর সময় নেয় এবং আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছনোর ক্ষেত্রে ভালো কাজ করেছি।"
বাজেটের ওপর ভোটাভুটি হবে জুন মাসের শেষ দিকে। তবে সরকারের শক্তিশালী সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণে বড় ধরনের পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।
তবে গত সোমবার প্রকাশিত অর্থনৈতিক জরিপে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরে (শেষ হচ্ছে ৩০ জুন) পাকিস্তান বেশিরভাগ নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে। জিডিপি প্রবৃদ্ধি ২.৭ শতাংশে সীমাবদ্ধ থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে যা আগের বাজেটে নির্ধারিত ৩.৬ শতাংশের চেয়ে কম।
এই পরিস্থিতিতে সরকার আগামী অর্থবছরে ৪.২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির উচ্চাকাঙ্ক্ষী লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। পাশাপাশি দেশটির বিপুল ঋণ পরিশোধের জন্য বাজেটে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৮ ট্রিলিয়ন রুপি (২৮.৪ বিলিয়ন ডলার)।
বিশ্বব্যাংকের এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের ২৪ কোটির জনসংখ্যার প্রায় ৪৫ শতাংশ এখনও দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে এবং দেশের সাক্ষরতার হার মাত্র ৬১ শতাংশ।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- শেয়ারবাজারে বিস্ময়: এক লাখ টাকার শেয়ার ৮০ কোটি!
- ডিভিডেন্ডের উপর উচ্চ কর: শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগ
- বিনিয়োগকারীদের সর্বনাশ করেছে তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানি
- বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে দ্যুতি ছড়াচ্ছে ১৩ ‘বনেদি’ কোম্পানি
- মুনাফা থেকে লোকসানে তথ্য প্রযুক্তির দুই কোম্পানি
- শেয়ারবাজারের ১০ ব্যাংকে আমানত বেড়েছে ৩২ হাজার কোটি টাকা
- মূলধন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত শেয়ারবাজারের ১৩ ব্যাংকের
- নীলক্ষেত হোস্টেল থেকে ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থীর ম’রদেহ উদ্ধার
- ইরানকে হা-ম-লা বন্ধে প্রস্তাব
- সত্যিই কি স্ট্রোক করেছেন মির্জা ফখরুল? যা জানা গেল
- ডিভিডেন্ড বেড়েছে শেয়ারবাজারের সাত ব্যাংকের
- দুই বড় খবরের মধ্যে আজ খুলছে দেশের শেয়ারবাজার
- মূলধনের বেশি রিজার্ভ জ্বালানি খাতের ১৪ কোম্পানির
- মুনাফা বেড়েছে ১৮ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির
- শেয়ারবাজারে হাজার কোটির ক্লাবে ব্যাংকবহির্ভূত ৬ কোম্পানি