ঢাকা, রবিবার, ১০ আগস্ট ২০২৫, ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২
প্রতিরক্ষা খাতে ২০ শতাংশ বরাদ্দ বাড়াল পাকিস্তান
.jpg)
পাকিস্তান চলতি বছরের ফেডারেল বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতে ২০ শতাংশ ব্যয় বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছে। এক মাস আগে ভারতের সঙ্গে সংঘর্ষের প্রেক্ষাপটে আজ মঙ্গলবার (১০ জুন) এই ঘোষণা আসে। ওই সংঘর্ষ ছিল সাম্প্রতিক দশকের সবচেয়ে ভয়াবহ। মে মাসে পারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশের চার দিনের সেই সংঘর্ষে ৭০ জনের বেশি নিহত হওয়ার পর আকস্মিকভাবে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
অর্থমন্ত্রী মুহাম্মদ আওরঙ্গজেব মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সংসদে ৬২ বিলিয়ন ডলারের বাজেট পেশ করেন। বাজেটের ১৪ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে প্রতিরক্ষা খাতে। এবারের বাজেটে ২.১২ ট্রিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি (৭.৫ বিলিয়ন ডলার) থেকে বাড়িয়ে আগামী অর্থবছরে ২.৫৫ ট্রিলিয়ন রুপি করা হয়েছে।
এর আগে গত শুক্রবার পাকিস্তান সরকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানায়, তারা চীনের কাছ থেকে ৪০টি নতুন যুদ্ধবিমান ও একটি আধুনিক বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার বিষয়ে আলোচনা করছে।
২০২৩ সালে পাকিস্তান আর্থিকভাবে দারুণ সংকটে পড়ে। এমনকি ঋণখেলাপির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছায়। রাজনৈতিক অস্থিরতার সঙ্গে মন্দা পরিস্থিতি মিলে দেশের অর্থনীতি চরম দুরবস্থার মধ্যে পড়ে। শেষ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ৭ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা নিয়ে দেশটি পরিস্থিতি সামাল দেয়। এরপর থেকে কিছুটা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে পাকিস্তান—মুদ্রাস্ফীতি কমেছে এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও বেড়েছে।
বাজেট ঘোষণার আগে সংসদে এক ব্রিফিংয়ে আওরঙ্গজেব বলেন, "আমরা সঠিক পথে এগোচ্ছি। যেকোনো রূপান্তর দুই থেকে তিন বছর সময় নেয় এবং আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছনোর ক্ষেত্রে ভালো কাজ করেছি।"
বাজেটের ওপর ভোটাভুটি হবে জুন মাসের শেষ দিকে। তবে সরকারের শক্তিশালী সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণে বড় ধরনের পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।
তবে গত সোমবার প্রকাশিত অর্থনৈতিক জরিপে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরে (শেষ হচ্ছে ৩০ জুন) পাকিস্তান বেশিরভাগ নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে। জিডিপি প্রবৃদ্ধি ২.৭ শতাংশে সীমাবদ্ধ থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে যা আগের বাজেটে নির্ধারিত ৩.৬ শতাংশের চেয়ে কম।
এই পরিস্থিতিতে সরকার আগামী অর্থবছরে ৪.২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির উচ্চাকাঙ্ক্ষী লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। পাশাপাশি দেশটির বিপুল ঋণ পরিশোধের জন্য বাজেটে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৮ ট্রিলিয়ন রুপি (২৮.৪ বিলিয়ন ডলার)।
বিশ্বব্যাংকের এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের ২৪ কোটির জনসংখ্যার প্রায় ৪৫ শতাংশ এখনও দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে এবং দেশের সাক্ষরতার হার মাত্র ৬১ শতাংশ।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- শেয়ারবাজারে আসছে রাষ্ট্র ও বহুজাতিক ১৫ কোম্পানি
- ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ফিরেছে আর্থিক খাতের কোম্পানি
- ডিভিডেন্ড দিতে পারছে না বস্ত্র খাতের ১৩ কোম্পানি
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- ক্যাশ ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- সর্বোচ্চ উচ্চতায় ১৭ কোম্পানির শেয়ার
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৭ প্রতিষ্ঠানের ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- গেস্ট হাউজ থেকে সাবেক সেনাপ্রধান হারুনের মরদেহ উদ্ধার
- চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে দুই কোম্পানির বাজিমাত
- রবির অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তের মুখে গ্রামীণফোন
- ছাত্ররাজনীতি থাকবে কিন্তু কাঠামোগত পরিবর্তন আনতে হবে: বাগছাস
- অতর্কিত ঢাবি ও জবির ৪ শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত
- শেখ সেলিমের ২১টি বিও অ্যাকাউন্ট ও ৩৫টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
- আ’লীগকে ফিরিয়ে আনার অপচেষ্টায় বামপন্থীরা: ঢাবি শিবির