ঢাকা, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২
ভারত ভ্রমণে সতর্কতাসহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জরুরি নির্দেশনা
.jpg)
ভারতসহ কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া এসব দেশে ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা থেকে এ সংক্রান্ত সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। একইসঙ্গে দেশের সব স্থলবন্দর, নৌবন্দর ও বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য স্ক্রিনিং ও নজরদারি জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার (০৯ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. হালিমুর রশিদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। এতে জানানো হয়, পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট— বিশেষ করে ওমিক্রনের এলএফ.৭, এক্সএফজি, জেএন-১ এবং এনবি ১.৮.১ এর সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে। আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে এসব ভ্যারিয়েন্ট বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে। তাই ভারতসহ উচ্চ সংক্রমণের দেশগুলো থেকে আসা এবং এসব দেশে যাতায়াতকারী যাত্রীদের ক্ষেত্রে দেশের সব স্থলবন্দর, নৌবন্দর ও বিমানবন্দরে আইএইচআর (International Health Regulations) ডেস্কে নজরদারি আরও জোরদার করতে হবে। একইসঙ্গে সম্ভাব্য ঝুঁকি মোকাবিলায় কিছু অতিরিক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার দেশে করোনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও পরিস্থিতি এখনো গভীর আশঙ্কার নয়, তবে দেশে সংক্রমণের হার বাড়ছে। আইসিডিডিআরবি’র গবেষকরা করোনার নতুন দুই ধরনের সাব-ভ্যারিয়েন্ট—এক্সএফজি ও এক্সএফসি—সনাক্ত করেছেন। এ দুটোই শক্তিশালী ওমিক্রনের জেএন-১ ভ্যারিয়েন্টের উপধরন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে সংক্রমণ রোধে দেওয়া নির্দেশনাগুলো হলো:
প্রয়োজনমতো সাতবার অন্তত ২৩ সেকেন্ড ধরে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া।
নাক-মুখ ঢাকতে মাস্ক পরিধান করা।
আক্রান্ত ব্যক্তির থেকে কমপক্ষে ৩ ফুট দূরে থাকা।
অপরিষ্কার হাত দিয়ে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকা।
হাঁচি-কাশির সময় বাহু, টিস্যু বা কাপড় দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখা।
দেশে প্রবেশ পথসমূহে নেওয়ার নির্দেশনা:
সব স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরসমূহে আইএইচআর (IHR-2005) স্বাস্থ্য ডেস্কে সতর্কতা ও স্বাস্থ্য স্ক্রিনিং বৃদ্ধি করা।
প্রবেশপথে থার্মাল স্ক্যানার বা ডিজিটাল হ্যান্ডহেল্ড থার্মোমিটার দিয়ে নন-টাচ পদ্ধতিতে তাপমাত্রা মাপা।
স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পর্যাপ্ত মাস্ক, গ্লাভস ও পিপিই সরবরাহ নিশ্চিত করা।
জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য রোগ প্রতিরোধ নির্দেশনাগুলো ব্যাপক প্রচার করা।
জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত ভারত ও অন্যান্য আক্রান্ত দেশগুলোতে ভ্রমণ এড়িয়ে চলা।
সন্দেহজনক রোগীদের জন্য করণীয়:
অসুস্থ হলে বাসায় থাকার পরামর্শ, মারাত্মক অবস্থায় নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করা।
রোগীর নাক-মুখ ঢাকতে মাস্ক পরানোর আহ্বান।
প্রয়োজনে আইইডিসিআর-এর হটলাইন নম্বর ০১৪০১-১৯৬২৯৩-এ যোগাযোগ করা।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- শেয়ারবাজারে বিস্ময়: এক লাখ টাকার শেয়ার ৮০ কোটি!
- ডিভিডেন্ডের উপর উচ্চ কর: শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগ
- বিনিয়োগকারীদের সর্বনাশ করেছে তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানি
- বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে দ্যুতি ছড়াচ্ছে ১৩ ‘বনেদি’ কোম্পানি
- মুনাফা থেকে লোকসানে তথ্য প্রযুক্তির দুই কোম্পানি
- শেয়ারবাজারের ১০ ব্যাংকে আমানত বেড়েছে ৩২ হাজার কোটি টাকা
- মূলধন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত শেয়ারবাজারের ১৩ ব্যাংকের
- সত্যিই কি স্ট্রোক করেছেন মির্জা ফখরুল? যা জানা গেল
- ডিভিডেন্ড বেড়েছে শেয়ারবাজারের সাত ব্যাংকের
- মূলধনের বেশি রিজার্ভ জ্বালানি খাতের ১৪ কোম্পানির
- ইরানকে হা-ম-লা বন্ধে প্রস্তাব
- মুনাফা বেড়েছে ১৮ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির
- দুই বড় খবরের মধ্যে আজ খুলছে দেশের শেয়ারবাজার
- শেয়ারবাজারে হাজার কোটির ক্লাবে ব্যাংকবহির্ভূত ৬ কোম্পানি
- ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে ওষুধ খাতের ১৩ কোম্পানির