ঢাকা, শনিবার, ৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

রাজধানীতে কোরবানির মাংসের হাট

ডুয়া নিউজ- জাতীয়
২০২৫ জুন ০৭ ২০:৩৭:০০
রাজধানীতে কোরবানির মাংসের হাট

ঈদুল আজহার দিনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দুপুরের আগেই দরিদ্রদের মাঝে কোরবানির মাংস বিতরণ শেষ হয়ে যায়। তবে এরপরই রাজধানীর কিছু স্থানে গড়ে ওঠে ভ্রাম্যমাণ মাংসের বাজার, যেখানে ওই দানকৃত মাংসই বিক্রি হতে দেখা যায়।

অনেক নিম্ন আয়ের মানুষ, যাদের ঘরে ফ্রিজ নেই বা সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেই, তারা নিজেদের জন্য কিছু অংশ রেখে বাকি মাংস বিক্রি করছেন। কেউ কেউ বলছেন, বাড়িতে নিয়ে যেতে যেতে মাংস নষ্ট হয়ে যেতে পারে, তাই বিক্রি করেই চলে যাচ্ছেন। বিশেষ করে ঢাকার বাইরে থেকে আসা কিছু কসাই মাংস খাওয়ার জন্য পেলেও তা বিক্রি করছেন অর্থনৈতিক কারণে।

শনিবার (৭ জুন) বিকেলে রাজধানীর মালিবাগ, মহাখালী, খিলগাঁও, মিরপুর, বাড্ডা ইত্যাদি এলাকায় দেখা যায় এই অস্থায়ী বাজার। এখানে মান অনুযায়ী মাংসের দাম ৩০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত ওঠানামা করছে।

এক বিক্রেতা বলেন, ‘৩০০ টাকার হাড্ডিসহ মাংস আছে, আবার হাড়বিহীন মাংস ১০০০ টাকাও নিচ্ছি।’ আরেকজন বলেন, ‘কম দামে যারা কিনতে পারেন না, তাদের জন্যই এই সুযোগ।’

এই বাজারগুলোতে ভিড় করছেন মূলত সেই সব মানুষ, যারা কোরবানি দিতে পারেননি কিংবা কারও কাছে গিয়ে মাংস চাইতে অস্বস্তি বোধ করেন। তাদের কাছে অল্প দামে মাংস কেনার এটি একমাত্র সুযোগ।

এক ক্রেতা জানান, ‘বাজারে গেলে বেশি দাম, কিন্তু এখানে একটু কমে পাওয়া যায়, তাই কিনে নিচ্ছি।’

এমনকি হোটেল বা রেঁস্তোরার লোকজনকেও এসব বাজারে মাংস কিনতে দেখা গেছে।

তবে ইসলামী বিধান অনুযায়ী, কোরবানির মাংস বিক্রি করা নাজায়েজ। আলেমরা একে শরিয়তবিরোধী বললেও যারা মাংস বিক্রি করছেন, তারা বলছেন—জীবন-জীবিকার তাগিদেই তারা এই কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন। তাদের কাছে ধর্মীয় নির্দেশনার চেয়ে তাৎক্ষণিক অর্থনৈতিক লাভটাই মুখ্য।

এই অস্থায়ী বাজারগুলো দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত সচল থাকে, তবে তা নিয়মিত বা সংগঠিত নয়—বরং ঈদের দিন বা পরদিনেই এসব বেশি দেখা যায়।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত