ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ভারতীয় বাহিনীর গু-লিতে মিয়ানমারের ১০ বিদ্রোহী নি-হ-ত 

ডুয়া নিউজ- আন্তর্জাতিক
২০২৫ জুন ০২ ১৮:২৯:৪৫
ভারতীয় বাহিনীর গু-লিতে মিয়ানমারের ১০ বিদ্রোহী নি-হ-ত 

ভারতের আসাম রাইফেলস বাহিনী মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস (পিডিএফ)-এর অন্তর্ভুক্ত ১০ সদস্যকে গুলি করে হত্যা করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ১৪ মে, ভারত-মিয়ানমার সীমান্তের মণিপুর রাজ্যের চান্দেল এলাকায়। নিহতদের মধ্যে তিনজন কিশোর ছিল। তারা সবাই পিডিএফের শাখা সংগঠন পা কা ফার (পিকেপি)-এর সদস্য বলে জানা গেছে।

ভারতীয় কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, নিহতরা সন্ত্রাসী তৎপরতায় জড়িত ছিল এবং আসাম রাইফেলসের একটি টহল দলের ওপর হামলার জবাবে তাদের হত্যা করা হয়েছে। তবে মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী ছায়া সরকার—ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট (এনইউজি)—এই দাবিকে প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, এসব যোদ্ধাকে আটক করে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মিয়ানমারের তামু জেলার একটি ক্যাম্পে অবস্থানরত এই যোদ্ধাদের সম্পর্কে আগেই ভারতীয় বাহিনীকে তথ্য দিয়েছিল মিয়ানমারের সামরিক জান্তা। এরপরই ভারতীয় বাহিনী সীমান্তে অভিযান চালায়।

ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র ১৬ মে জানান, আসাম রাইফেলসের টহল দল ক্যামোফ্লাজ পোশাক পরা কিছু ব্যক্তির হামলার শিকার হয়। এর জবাবে তারা ১০ জনকে হত্যা করে এবং ঘটনাস্থল থেকে সাতটি একে-৪৭ রাইফেল ও একটি রকেটচালিত গ্রেনেড লঞ্চার জব্দ করে।

পরে ২১ মে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় নিহতদের পিকেপি সদস্য হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে শনাক্ত করে। মন্ত্রণালয় জানায়, সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ কাজকে বাধাগ্রস্ত করতেই এই হামলা চালানো হয়েছিল।

এই ঘটনার পর ভারত-মিয়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকাজুড়ে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা শরণার্থীরাও নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত।

গত দুই বছর ধরে মণিপুরে জাতিগত সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে, যেখানে মিয়ানমার থেকে আসা অভিবাসীদের উসকানিদাতা হিসেবে অভিযুক্ত করছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। সীমান্তে বেড়া নির্মাণ পরিকল্পনা আরও উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে এই অঞ্চলে।

এই ঘটনার প্রভাব নিয়ে বিশ্লেষক অংশুমান চৌধুরী আল-জাজিরাকে বলেন, “এই হত্যাকাণ্ড ভারতীয় বাহিনী এবং মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যকার সংঘর্ষের গতিপথ পরিবর্তন করতে পারে। বিষয়টি অন্যান্য বিদ্রোহী গোষ্ঠীও গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে, যা সীমান্ত জুড়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলেছে।”

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত