ঢাকা, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
আরেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা

ডুয়া ডেস্ক: দেশের আরও এক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা করেছে শিক্ষার্থীরা। ৯ দফা দাবিতে এই কর্মসূচি ঘোষণা করে বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীরা।
আজ শনিবার (২৪ মে) সকাল ৯টা থেকে ক্যাম্পাসের সব কক্ষে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলনে নামেন তারা। দাবি আদায়ে কর্তৃপক্ষকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা। এই সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তারা।
পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি পালনের জন্য এদিন সকাল থেকেই সমবেত হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। তারা জানান, “পরীক্ষায় নকলের দায়ে ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থী ধ্রুবজিৎ কর্মকারকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। এতে তিনি আত্মহত্যা করেন। কম্পাইন্ড সিস্টেমে পরীক্ষার কারণে চাপ সামাল দিতে না পেরে ধ্রুবজিৎ এমন করেছেন বলে মনে করেন তারা।”
বিক্ষোভকারীরা জানান, “কম্বাইন্ড পরীক্ষা পদ্ধতি সম্পূর্ণ ব্যর্থ। এটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে গভীর সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এ ছাড়া গুণগত শিক্ষা ও মূল্যায়ন নিশ্চিত না হওয়ায় কম্বাইন্ড একাডেমিক সিস্টেমের জটিলতায় তারা দীর্ঘদিন ধরে একাডেমিক ও মানসিক ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।”
ভোগান্তি নিরসনে বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীরা ৯টি দাবি উত্থাপন করেন।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো-
১) স্ব-স্ব-প্রতিষ্ঠানের স্ব-স্ব ডিপার্টমেন্টের জন্য আলাদা আলাদা পরীক্ষা কমিটি গঠন, প্রতি বর্ষের জন্য আলাদা কমিটি এবং প্রতি বর্ষের জন্য একজন সভাপতি নির্ধারিত থাকা।
২) প্রতিটি কমিটি চার সদস্যবিশিষ্ট হবে। যেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একজন সভাপতি, স্ব-স্ব-প্রতিষ্ঠান থেকে দুজন অভ্যন্তরীণ সদস্য এবং অধিভুক্ত অন্য প্রতিষ্ঠান থেকে একজন সদস্য থাকবে। সকল সদস্য অবশ্যই সংশ্লিষ্ট বিভাগের হতে হবে।
২) পরীক্ষার সময়সূচি স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানভিত্তিক আলাদা হতে হবে। এক্ষেত্রে একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী নির্ধারিত ১৪ (চৌদ্দ) সপ্তাহ শ্রেণি কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর ১৪ দিনের ছুটি রেখে পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু করতে হবে।
৩) ব্যবহারিক পরীক্ষা তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হওযার পর এক সপ্তাহের মধ্যে সম্পন্ন করা।
৪) প্রশ্নপত্র মুদ্রণ ও উত্তরপত্র মূল্যায়ন স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান থেকেই পরিচালিত হতে হবে এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে কোর্স সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ছাড়াও অন্য শিক্ষকদের উপস্থিত রাখা।
৫) গ্রেডিংয়ে স্বচ্ছতা ও নিশ্চয়তা নিশ্চিত করা।
৬) শিক্ষকদের আচরণে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে হবে এবং প্রশ্নপত্র অবশ্যই পাঠ্যসূচির সীমার মধ্যে হওয়া।
৭) প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও ফলাফল সংরক্ষণে গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
৮) ট্যাবুলেশন ও গ্রেডিং কার্যক্রম স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হতে হবে, যাতে খুব অল্প সময়ের মধ্যে ফলাফল নিশ্চিত কর সম্ভব হয়।
৯) বিশ্ববিদ্যালয় ও ইনস্টিটিউট পর্যায়ে একজন পরীক্ষা সমন্বয়ক নিয়োগ দিতে হবে, যিনি এই সকল কার্যক্রমের সুষ্ঠু সমন্বয় নিশ্চিত করবেন।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বিও হিসাবে ৫ লাখ টাকা নগদ জমা ও উত্তোলনের কথা ভাবছে বিএসইসি
- সরকারি কোম্পানি শেয়ারবাজারে আনার উদ্যোগ, তালিকায় ২১ প্রতিষ্ঠান
- ডিএসইর ব্রোকারেজ হাউজের নিবন্ধন বাতিল করল বিএসইসি
- বিএসইসি চেয়ারম্যানের পদত্যাগ নিয়ে মুখ খুললেন অর্থ উপদেষ্টা
- ‘এলাম পরামর্শ নিতে, পেলাম পদত্যাগের বার্তা’- বিএসইসি চেয়ারম্যানের ক্ষোভ
- মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও পাবলিক রুলস ইস্যুতে টাস্কফোর্সের চূড়ান্ত সুপারিশ
- দশ হাজার কোটি ঋণের বোঝায় আইসিবি, প্রস্তাব বিশেষ তহবিলের
- দুর্বল ৬ শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের হতাশা আরও বেড়েছে
- ‘সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান
- শেয়ারবাজারের ৯ ব্যাংক এমডিবিহীন, নেতৃত্ব সংকট তীব্র
- ঢাকা অচলের ঘোষণা
- তিন কোম্পানির বোনাস ডিভিডেন্ডে বিএসইসির সম্মতি
- লোকসান থেকে মুনাফায় বস্ত্র খাতের চার কোম্পানি
- নানামুখী চেষ্টার পরও ভেঙে পড়ছে দেশের শেয়ারবাজার
- শেয়ারবাজারে ৬১৭টি বিও হিসাব স্থগিত