ঢাকা, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২
এনসিপির কর্মসূচিতে হামলা নিয়ে মির্জা ফখরুলের উদ্বেগ

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ঘোষিত ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচিতে হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার (১৬ জুলাই) এক বিবৃতিতে তিনি এই প্রতিক্রিয়া জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, "ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী স্বৈরাচারী শাসকগোষ্ঠীর পতনের পর দুষ্কৃতকারীরা আবারও দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টিসহ নৈরাজ্যের মাধ্যমে ফায়দা হাসিলের অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে।"
তিনি আরও বলেন, "আজ গোপালগঞ্জে এনসিপির পূর্বঘোষিত কর্মসূচির ওপর বর্বরোচিত হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ, ইউএনওসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও পুলিশ সদস্যদের আহত করার বর্বর ঘটনা সেই অপতৎপরতারই বহিঃপ্রকাশ।"
বিএনপি মহাসচিবের মতে, দেশে গণআন্দোলনের জোয়ার দেখে আতঙ্কিত হয়ে একটি মহল অরাজকতার ছক আঁকছে। তিনি বলেন, "আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির কারণে আওয়ামী দোসররা মরণকামড় দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে বেকায়দায় ফেলে ফায়দা লুটতে দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য এখন মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।" এই পরিস্থিতিতে দুষ্কৃতকারীদের কঠোর হস্তে দমন করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই বলে তিনি মন্তব্য করেন।
দেশের মানুষকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠাসহ দেশে যাতে পুনরায় ফ্যাসিবাদের উত্থান না ঘটে, সেজন্য দল-মত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এর অন্যথা হলে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন। বিবৃতিতে তিনি গোপালগঞ্জে হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান এবং আহত পুলিশ সদস্যদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।
উল্লেখ্য, বুধবার (১৬ জুলাই) জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) 'দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা' কর্মসূচির অংশ হিসেবে 'মার্চ টু গোপালগঞ্জ' কর্মসূচি পালন করছিল। এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই গোপালগঞ্জে উত্তেজনা বিরাজ করে। সকালে সদর উপজেলার উলপুর এলাকায় পুলিশের একটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
দুপুরে গোপালগঞ্জ শহরের পৌরপার্ক এলাকায় এনসিপির সমাবেশ মঞ্চে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। এরপর সমাবেশ শেষে নেতাকর্মীরা ফিরে যাওয়ার পথে লঞ্চঘাট এলাকায় তাদের গাড়িবহরে পুনরায় হামলা চালানো হয়, যার ফলে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এই ঘটনায় গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন শহরে ১৪৪ ধারা জারি করেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, শহরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে এবং যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- চলতি সপ্তাহে বেক্সিমকোর ফ্লোর প্রাইস ওঠার সম্ভাবনা
- শেয়ারবাজারে তানিয়া শারমিন ও মাহবুব মজুমদার ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ
- শেয়ারবাজারের ৩ প্রতিষ্ঠানের ২৯৬ কোটি টাকা মানি লন্ডারিং
- স্বল্প মূল্যে কম্পিউটার স্কিল ট্রেনিং কোর্সে ভর্তির সুযোগ, আসন সীমিত
- শেয়ারের অস্বাভাবিক দামের জন্য ডিএসইর সতর্কবার্তা
- শিক্ষার্থীদের আলোকিত ভবিষ্যত গড়তে পাশে থাকবে ঢাবি অ্যালামনাই
- ১০ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তার
- ইপিএস ঘোষণার তারিখ জানাল দুই কোম্পানি
- ঢাবির ২০১৮-১৯ সেশনের অছাত্ররা হতে পারবেন না ভোটার-প্রার্থী
- জুলাই স্মৃতি জাদুঘর: টেন্ডার ছাড়াই ১১১ কোটি টাকার কাজ পেল দুই প্রতিষ্ঠান
- ১৬ জুলাই সরকারি ছুটি কি-না? যা জানা যাচ্ছে
- ঢাবি অ্যালামনাই ও নিউ হরাইজন কানাডিয়ান স্কুলের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
- ডিভিডেন্ড পেয়েছে চার কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- ঢাবির জিয়া হলে ‘ক্যারিয়ার টক’ অনুষ্ঠিত
- সর্বোচ্চ আগ্রহের তালিকায় ৪ খাতের শেয়ার