ঢাকা, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ৪ কার্তিক ১৪৩২
শান্তিরক্ষা মিশনে অর্থায়ন বন্ধের প্রস্তাব ট্রাম্পের

ডুয়া ডেস্ক: দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে বিশ্বকে স্তম্ভিত করে দিচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার মালি, লেবানন ও কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে কার্যক্রম ব্যর্থ হওয়ার পর এবার জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে অর্থায়ন বন্ধ করার প্রস্তাব দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
হোয়াইট হাউসের পরিকল্পনা বিভাগের ডকুমেন্টের বরাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, হোয়াইট হাউসের বাজেট অফিস এই প্রস্তাব রেখেছে। বার্তা সংস্থাটি বলছে, ‘জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে সবচেয়ে বেশি অর্থায়ন করে আমেরিকা। জাতিসংঘের নিয়মিত মূল বাজেট ৩৭০ কোটি মার্কিন ডলার। এই অর্থের ২২ শতাংশ দেয় আমেরিকা। আর শান্তিরক্ষা মিশনে বার্ষিক খরচ ৫৬০ কোটি ডলারের ২৭ শতাংশ দেয় ওয়াশিংটন। এই অর্থ দেশটিকে দিতেই হয়। দু’টি ক্ষেত্রেই আমেরিকা শীর্ষে, দ্বিতীয় স্থানে চীন।’
আগামী অর্থবছরের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বাজেট কাটছাঁটের প্রস্তাব দিয়েছে হোয়াইট হাউসের অফিস অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বাজেট (ওএমবি)। প্রস্তাব অনুযায়ী, আগামী ১ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া অর্থবছরে মন্ত্রণালয়টির বাজেট অর্ধেকে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে এই বাজেট বাস্তবায়নের জন্য কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন হবে। আইনপ্রণেতারা চাইলে প্রশাসনের প্রস্তাবিত বাজেট আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে পুনর্বহাল করতে পারবেন।
এর আগেও, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে কূটনীতি ও সহায়তা খাতে বাজেটের এক-তৃতীয়াংশ কমানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু সে সময় কংগ্রেস তার প্রস্তাব নাকচ করে দেয়। কারণ যুক্তরাষ্ট্রে ফেডারেল বাজেট চূড়ান্তভাবে নির্ধারণের ক্ষমতা কংগ্রেসের হাতেই থাকে।
আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের জন্য অবদান (সিআইপিএ) বন্ধ করার প্রস্তাব করেছে হোয়াইট হাউসের অফিস অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বাজেট (ওএমবি)। এই প্রস্তাবের ব্যাপারে গত মঙ্গলবারই মন্তব্য করার কথা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের। নতুন এই প্রস্তাবের ব্যাপারে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস সাংবাদিকদের বলেন, “কোনো চূড়ান্ত পরিকল্পনা নেই, চূড়ান্ত বাজেট হয়নি।”
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাজেট থেকে নয়টি মিশনে তহবিল সরবরাহ করা হয়ে থাকে, যার মধ্যে রয়েছে মালি, লেবানন, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, দক্ষিণ সুদান, পশ্চিম সাহারা, সাইপ্রাস, কসোভো, সিরিয়া এবং ইসরায়েল-অধিকৃত গোলান মালভূমি। এছাড়াও রয়েছে দক্ষিণ সুদান ও সুদানের যৌথভাবে পরিচালিত প্রশাসনিক অঞ্চল আবেই।
এ বিষয়ে গত মঙ্গলবার কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক। মার্কিন সরকারের অভ্যন্তরীণ বিতর্কের অংশ বলে মনে হচ্ছে–এমন একটি ফাঁস হওয়া ডকুমেন্ট সম্পর্কে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত মাসে বলেন, চলমান সংকটের মধ্যেই সংস্থাটি তাদের ৮০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করছে। এ সময় তিনি দক্ষতা বাড়ানো এবং ব্যয় সংকোচনের পথ খুঁজে বের করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বাংলাদেশ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা, খেলাটি সরাসরি দেখুন (LIVE)
- ৪০ বছরের ইতিহাসে ডিভিডেন্ডে নজির ভাঙল এপেক্স ট্যানারি
- ডিভিডেন্ড ঘোষণায় রেকর্ড ভাঙ্গল লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স!
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে মুন্নু এগ্রো
- শেয়ারবাজারে হাহাকার, ৮ দিনে ৪২ হাজার কোটি টাকা গায়েব!
- একদিনে 'এ' ক্যাটাগরিতে ফিরল দুই কোম্পানি
- বস্ত্র খাতের ৮ কোম্পানিতে বেড়েছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ১৭ কোম্পানির ডিভিডেন্ড
- মার্জিন ঋণ আতঙ্কে হঠাৎ ধস নামলো শেয়ারবাজারে!
- পতন তান্ডবে শেয়ারবাজারে ছোটদের কফিনেও বড় পেরেক!
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে বিএসআরএম লিমিটেড
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করবে তালিকাভুক্ত ৪ কোম্পানি
- শেয়ারবাজার স্থিতিশীল রাখতে এক হাজার কোটি টাকা পাচ্ছে আইসিবি
- ইপিএস প্রকাশ করেছে ৮ কোম্পানি
- ১৪ অক্টোবর: এক নজরে শেয়ারবাজারের ২০ খবর