ঢাকা, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২
শান্তিরক্ষা মিশনে অর্থায়ন বন্ধের প্রস্তাব ট্রাম্পের

ডুয়া ডেস্ক: দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে বিশ্বকে স্তম্ভিত করে দিচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার মালি, লেবানন ও কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে কার্যক্রম ব্যর্থ হওয়ার পর এবার জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে অর্থায়ন বন্ধ করার প্রস্তাব দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
হোয়াইট হাউসের পরিকল্পনা বিভাগের ডকুমেন্টের বরাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, হোয়াইট হাউসের বাজেট অফিস এই প্রস্তাব রেখেছে। বার্তা সংস্থাটি বলছে, ‘জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে সবচেয়ে বেশি অর্থায়ন করে আমেরিকা। জাতিসংঘের নিয়মিত মূল বাজেট ৩৭০ কোটি মার্কিন ডলার। এই অর্থের ২২ শতাংশ দেয় আমেরিকা। আর শান্তিরক্ষা মিশনে বার্ষিক খরচ ৫৬০ কোটি ডলারের ২৭ শতাংশ দেয় ওয়াশিংটন। এই অর্থ দেশটিকে দিতেই হয়। দু’টি ক্ষেত্রেই আমেরিকা শীর্ষে, দ্বিতীয় স্থানে চীন।’
আগামী অর্থবছরের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বাজেট কাটছাঁটের প্রস্তাব দিয়েছে হোয়াইট হাউসের অফিস অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বাজেট (ওএমবি)। প্রস্তাব অনুযায়ী, আগামী ১ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া অর্থবছরে মন্ত্রণালয়টির বাজেট অর্ধেকে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে এই বাজেট বাস্তবায়নের জন্য কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন হবে। আইনপ্রণেতারা চাইলে প্রশাসনের প্রস্তাবিত বাজেট আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে পুনর্বহাল করতে পারবেন।
এর আগেও, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে কূটনীতি ও সহায়তা খাতে বাজেটের এক-তৃতীয়াংশ কমানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু সে সময় কংগ্রেস তার প্রস্তাব নাকচ করে দেয়। কারণ যুক্তরাষ্ট্রে ফেডারেল বাজেট চূড়ান্তভাবে নির্ধারণের ক্ষমতা কংগ্রেসের হাতেই থাকে।
আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের জন্য অবদান (সিআইপিএ) বন্ধ করার প্রস্তাব করেছে হোয়াইট হাউসের অফিস অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বাজেট (ওএমবি)। এই প্রস্তাবের ব্যাপারে গত মঙ্গলবারই মন্তব্য করার কথা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের। নতুন এই প্রস্তাবের ব্যাপারে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস সাংবাদিকদের বলেন, “কোনো চূড়ান্ত পরিকল্পনা নেই, চূড়ান্ত বাজেট হয়নি।”
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাজেট থেকে নয়টি মিশনে তহবিল সরবরাহ করা হয়ে থাকে, যার মধ্যে রয়েছে মালি, লেবানন, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, দক্ষিণ সুদান, পশ্চিম সাহারা, সাইপ্রাস, কসোভো, সিরিয়া এবং ইসরায়েল-অধিকৃত গোলান মালভূমি। এছাড়াও রয়েছে দক্ষিণ সুদান ও সুদানের যৌথভাবে পরিচালিত প্রশাসনিক অঞ্চল আবেই।
এ বিষয়ে গত মঙ্গলবার কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক। মার্কিন সরকারের অভ্যন্তরীণ বিতর্কের অংশ বলে মনে হচ্ছে–এমন একটি ফাঁস হওয়া ডকুমেন্ট সম্পর্কে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত মাসে বলেন, চলমান সংকটের মধ্যেই সংস্থাটি তাদের ৮০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করছে। এ সময় তিনি দক্ষতা বাড়ানো এবং ব্যয় সংকোচনের পথ খুঁজে বের করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- স্বল্প মূল্যে কম্পিউটার স্কিল ট্রেনিং কোর্সে ভর্তির সুযোগ, আসন সীমিত
- যারা বৃত্তি পাবে না, তাদের জন্য পার্ট-টাইম জবের চিন্তা-ভাবনা
- ডুয়া নিউজের বিশেষ প্রতিযোগিতা, পুরস্কার ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা!
- সারজিস আলমকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা, এনসিপির সকল কার্যক্রম স্থগিত
- ঢাবি অ্যালামনাই ও নিউ হরাইজন কানাডিয়ান স্কুলের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
- ৬ জায়গায় হবে ডাকসুর ভোটগ্রহণ
- বহুজাতিক কোম্পানির ‘এ’ ক্যাটাগরিতে প্রত্যাবর্তন
- জুলাই স্মৃতি জাদুঘর: টেন্ডার ছাড়াই ১১১ কোটি টাকার কাজ পেল দুই প্রতিষ্ঠান
- ইপিএস ঘোষণার তারিখ জানাল দুই কোম্পানি
- শেয়ারবাজারে চমক দেখাল দুই বহুজাতিক কোম্পানি
- ‘শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ নেই’
- শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম নিয়ে ডিএসইর সতর্কতা
- পাঁচ কোম্পানির শেয়ারে বেড়েছে বিদেশি বিনিয়োগ
- ডিভিডেন্ড-ইপিএস ঘোষণার তারিখ জানাল ১২ কোম্পানি
- ইপিএস প্রকাশ করেছে ৪ কোম্পানি