ঢাকা, মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২
বিতর্কিত ‘ওয়াকফ’ আইন কার্যকর পেছাল ভারত সরকার
                                    ডুয়া ডেস্ক: বিতর্কিত মুসলিম ওয়াকফ আইন বাস্তবায়নের সময়সীমা পেছানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। এই আইন নিয়ে ইতোমধ্যে দেশটির সুপ্রিম কোর্টে একাধিক পিটিশন দাখিল হয়েছে। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) আদালতে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানির সময় সরকারের পক্ষ থেকে আদালতকে জানানো হয়, পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত নতুন আইন অনুযায়ী কোনো ওয়াকফ নিয়োগ কিংবা ওয়াকফ বোর্ডের দাবিতে কোনো রদবদল আনা হবে না। একইসঙ্গে ‘ওয়াকফ বাই ইউজ’ সংক্রান্ত বিষয়েও কোনো পরিবর্তন করা হবে না বলে আদালতকে আশ্বস্ত করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
ভারতে ‘ওয়াকফ বাই ইউজার’ এমন একটি ধারা যেটির মাধ্যমে ওয়াকফ বোর্ড কোনো কাগজপত্র ছাড়াই মুসলিমদের দ্বারা ধর্মীয় ও অথবা দাতব্যে উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত সম্পদ নিজেদের বলে দাবি করতে পারে।
চলতি এপ্রিলের শুরুতেই ভারতীয় পার্লামেন্টে বিতর্কিত ওয়াকফ বিল পাস হয়, যা ঘিরে দেশজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে আইনটির বিরুদ্ধে হওয়া এক বিক্ষোভে প্রাণ হারান তিনজন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার সুপ্রিম কোর্ট আইনটির কার্যকারিতা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিতে চাইলেও, সরকারের অনুরোধে তা করা হয়নি।
কিন্তু সরকারের অনুরোধের প্রেক্ষিতে এই আদেশ দেওয়া হয়নি। বিতর্কিত ওই আইনে বলা হয়েছিল, এখন থেকে ওয়াকফ বোর্ডে অমুসলিমরাও থাকতে পারবে।
আজ (বৃহস্পতিবার) সরকার আদালতকে ‘ওয়াকফ নিয়োগ’ না করার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে; এরমাধ্যমে মূলত অমুসলিমদের ওয়াফক বোর্ডে স্থান দেওয়ার বিষয়টি স্থগিত রাখার কথা বলা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ‘সরকারের পক্ষে ওয়াকফ আইন নিয়ে শুনানিতে আসেন সলিসিটের জেনারেল তুষার মেহতা। ওই সময় তিনি ওয়াকফ আইন পরিবর্তন চ্যালেঞ্জের জবাব দিতে সাতদিনের সময় চান। তিনি জানান এ সময়ে সরকার আইনটির ধারা ৯ ও ১৪ এর মাধ্যমে কোনো ‘ওয়াকফ নিয়োগ’ করবে না। এরপর সরকারকে সাতদিনের সময় দেন আদালত।’
নতুন ওয়াকফ আইনের দুটি ধারার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ওয়াকফ বোর্ডে ২২ সদস্যের মধ্যে সর্বোচ্চ মাত্র আটজন মুসলিম এবং রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডে ১১ সদস্যের মধ্যে সর্বোচ্চ চারজন মুসলিম সদস্য রাখার বিধান রাখা হয়েছে।
এমন বিতর্কিত বিধান নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ভারতের প্রধান বিচারপতি সঞ্জিব খান্না। তিনি প্রশ্ন করেন, “ওয়াকফ বোর্ডে অমুসলিমদের প্রবেশ করতে দেওয়ার বদলে সরকার কি হিন্দু এন্ডোমেন্ট বোর্ডে মুসলিমদের জায়গা দেবে কি না।”
আদালত আরও জানিয়েছে, “তাদের কাছে ওয়াকফ নিয়ে অসংখ্য পিটিশন দায়ের হয়েছে। যার সবগুলো নিয়ে আদালত কাজ করতে পারবে না। এর বদলে চার থেকে পাঁচটি পিটিশন নিয়ে কাজ করা হবে এবং এগুলোর ওপর রায় দেওয়া হবে।”
সূত্র: এনডিটিভি
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ফাইনাল: কবে, কখন-যেভাবে দেখবেন লাইভ
 - ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া: খেলাটি মোবাইলে সরাসরি(LIVE) দেখুন
 - ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া: খেলাটি ফ্রিতে সরাসরি(LIVE) দেখুন
 - আজ বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় টি-টোয়েন্টি: যেভাবে দেখবেন লাইভ (LIVE)
 - ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ৯৫ কোম্পানি, দেখুন এক নজরে
 - ডিএসই’র দুই ব্রোকারেজের ট্রেডিং লাইসেন্স বাতিল
 - পাকিস্তান বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা: খেলাটি সরাসরি(LIVE) দেখবেন যেভাবে
 - বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় টি-২০: কবে, কখন, কোথায়-যেভাবে দেখবেন খেলাটি
 - ইপিএস প্রকাশ করেছে ৬৮ কোম্পানি, দেখুন এক নজরে
 - মার্জিন রুল থেকে মিউচুয়াল ফান্ড—সবখানেই আসছে বড় পরিবর্তন
 - দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম পাকিস্তান, খেলাটি সরাসরি(LIVE) দেখুন
 - বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩য় টি-টোয়েন্টি: খেলাটি সরাসরি(LIVE) দেখবেন যেভাবে
 - ইপিএস প্রকাশ করেছে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক
 - ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া: খেলাটি মোবাইলে সরাসরি দেখুন (LIVE)
 - ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ