ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২
চীন-মার্কিন দ্বন্দ্বে বাংলাদেশের রপ্তানি বৃদ্ধি

ডুয়া নিউজ: চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার চলমান বাণিজ্য দ্বন্দ্বের প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানির বাজারে বাংলাদেশের অবস্থান শক্তিশালী হয়েছে। গত সাত বছরে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি প্রায় ৩৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিপরীতে চীন হারিয়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ বাজার।
মার্কিন বাণিজ্য বিভাগভুক্ত সংস্থা ‘অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলস’ (ওটেক্সা)–এর সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে এসেছে।
২০১৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সময়ের বিশ্লেষণে দেখা যায়, এ সময় যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৩৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ। একই সময়ে চীনের রপ্তানি কমেছে ৩৯ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৩৪২ দশমিক ৮৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে। যেখানে ২০১৮ সালে এ পরিমাণ ছিল ৫ হাজার ৪০১ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার।
অন্যদিকে, চীনের রপ্তানি ২০১৮ সালে ছিল ২৭ হাজার ৩৭১ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলার; যা ২০২৪ সালে কমে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৫০৭ দশমিক ৪১ মিলিয়ন ডলারে।
শুধু চীন নয়, বাজার হারানোর তালিকায় আরও রয়েছে ইন্দোনেশিয়া, মেক্সিকো, হন্ডুরাস এবং দক্ষিণ কোরিয়া। গত সাত বছরে এই দেশগুলোর রপ্তানি কমেছে যথাক্রমে ৫ দশমিক ২ শতাংশ, ২২ দশমিক ৪ শতাংশ, ৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ এবং ২২ দশমিক ১১ শতাংশ।
অন্যদিকে, বাংলাদেশের পাশাপাশি ভিয়েতনাম ও ভারতের পোশাক রপ্তানিতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত সাত বছরে ভিয়েতনামের রপ্তানি বেড়েছে ২২ দশমিক ৬০ শতাংশ এবং ভারতের ২৩ দশমিক ২৭ শতাংশ।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে কম্বোডিয়া ও পাকিস্তানেরও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি লক্ষ্য করা গেছে। দেশ দুটির রপ্তানি বেড়েছে যথাক্রমে ৫৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ এবং ৫৮ দশমিক ৬২ শতাংশ।
এ বিষয়ে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সাবেক পরিচালক এবং বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, “এই তথ্য আমাদের পোশাক খাতের সক্ষমতা এবং প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানের বাস্তব প্রতিফলন। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান বাণিজ্যিক যুদ্ধের সুযোগ কাজে লাগাতে পারায় বাংলাদেশসহ কিছু দেশ উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পেরেছে। এটি প্রমাণ করে, বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের অবস্থান দিন দিন আরও সুদৃঢ় হচ্ছে।”
তবে ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি, শুল্কযুদ্ধ এবং ক্রেতাদের বিকল্প সরবরাহকারী খোঁজার প্রবণতা— বিশ্ব পোশাক বাজারে স্থিতিশীল অবস্থান ধরে রাখা বড় চ্যালেঞ্জে হিসেবে মন্তব্য করেছেন তিনি।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- চলতি সপ্তাহে বেক্সিমকোর ফ্লোর প্রাইস ওঠার সম্ভাবনা
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তার জালে তিন কোম্পানি
- শেয়ারবাজারে তানিয়া শারমিন ও মাহবুব মজুমদার ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ
- শেয়ারবাজারের ৩ প্রতিষ্ঠানের ২৯৬ কোটি টাকা মানি লন্ডারিং
- চ্যাটজিপিটি ব্যবহারে ভয়াবহ বিপদ, গবেষণায় উঠে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
- শেয়ারের অস্বাভাবিক দামের জন্য ডিএসইর সতর্কবার্তা
- শিক্ষার্থীদের আলোকিত ভবিষ্যত গড়তে পাশে থাকবে ঢাবি অ্যালামনাই
- ১০ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তার
- ঢাবির ২০১৮-১৯ সেশনের অছাত্ররা হতে পারবেন না ভোটার-প্রার্থী
- ইপিএস ঘোষণার তারিখ জানাল দুই কোম্পানি
- শোক সংবাদ পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন পলক
- ডিভিডেন্ড পেয়েছে চার কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- ১৬ জুলাই সরকারি ছুটি কি-না? যা জানা যাচ্ছে
- ১৫ দিনে ১৭ প্রতিষ্ঠানে ২০ শতাংশের বেশি মুনাফা
- সর্বোচ্চ আগ্রহের তালিকায় ৪ খাতের শেয়ার