ঢাকা, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২
বেইমানি করছে মুসলিম বিশ্ব,আল্লাহর সাহায্য চাইছে গাজাবাসী

ডুয়া ডেস্ক: গাজায় ইসরায়েলের নির্যাতন এবং হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিরা দীর্ঘদিন ধরেই সংগ্রাম চালিয়ে আসছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল আবারও তার আগের সমস্ত সীমা ছাড়িয়ে প্রকাশ্যে গাজায় গণহত্যা শুরু করেছে। এসব নিষ্ঠুর আক্রমণেও দুঃখজনক হলেও সত্য যে আরব মুসলিম দেশগুলোকে নির্বিকার থাকতে দেখা যাচ্ছে।
ইসরায়েল প্রতিদিন গাজার ওপর বোমাবর্ষণ করছে এবং দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে এই হামলায় ৫০ হাজারের বেশি নিরীহ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গাজা এখন পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে আর গাজাবাসীরা নিরন্তর এই হত্যাযজ্ঞের শিকার। যদিও বিশ্বব্যাপী এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ উঠছে কিন্তু আরব দেশগুলো যেন কিছুই দেখছে না। তাদের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের কার্যকর সহায়তা বা প্রতিরোধ দেখা যাচ্ছে না।
ইসলামের শিক্ষা অনুযায়ী, মুসলিমরা একে অপরের ভাই। রাসুল (সা.) বলেছেন, "যদি কোনো অংশে শরীরের কোনো অঙ্গ ব্যথিত হয় তবে পুরো শরীর তার অসুস্থতার অনুভূতি অনুভব করে।" (সহিহ মুসলিম, হাদিস নম্বর-৬৭৫৪)। কিন্তু ফিলিস্তিনিরা যখন সন্ত্রাসের শিকার তখন আরব দেশগুলো যেন নির্বিকার। ফিলিস্তিনিদের এই মানবতাবিরোধী নির্যাতন দেখেও তারা কোনো প্রতিবাদ কিংবা সহায়তার হাত বাড়াচ্ছে না।
গাজার মুসলমানদের প্রতি এই নিষ্ঠুরতা দেখে তাদের কণ্ঠে চিৎকার এবং আকুতি ভরা বার্তাগুলো সোশ্যাল মিডিয়াতে শোনা যাচ্ছে। ইসরায়েলের বর্বরতা যেভাবে প্রকাশ্যে আসছে তা মানবিকতার বিরুদ্ধে এক অপরাধ। অথচ মুসলিম দেশগুলোকে এসবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে এবং ফিলিস্তিনিদের রক্ষায় সহায়তা করতে দেখা যাচ্ছে না।
এই পরিস্থিতিতে গাজাবাসী এখন আল্লাহর সাহায্য চাইছেন। তাদের আশা আল্লাহ তাদেরকে এই কঠিন পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দেবেন এবং ইসলামিক বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোও তাদের পাশে দাঁড়াবে।
গাজা নিয়ে অনেক আগে থেকেই বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর একটি স্পষ্ট পরিকল্পনা ছিল এবং এখন সেটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। এর মধ্যে যুক্ত হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, যিনি গাজা পুরোপুরি দখল করার পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন। তার উদ্দেশ্য ছিল ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে সরিয়ে একটি পর্যটন শহর তৈরি করা। এর ফলে গাজায় গণহত্যা চালানোর জন্য নেতানিয়াহুকে নীরব সমর্থন দিতে শুরু করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।
গত জানুয়ারিতে ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতার জন্য সংগ্রামী গোষ্ঠী এবং ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছিল। তবে যুদ্ধবিরতির পর ইসরায়েল নতুন করে হামলা শুরু করেছে, যা তাদের আগের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে। যুদ্ধবিরতি শুরুর পর যখন গাজার মানুষরা আশায় বুক বেঁধে নিজেদের বিধ্বস্ত বাড়িতে ফিরছিলেন তখন আবারও তাদের ওপর হামলা শুরু হয়েছে। এখন তাদের বেঁচে থাকার কোনো উপায় নেই। তারা শুধু মৃত্যুর অপেক্ষা করছে।
ইসরায়েলি হামলার ফলে গাজার বিভিন্ন অংশে লাখ লাখ মানুষ হতাহত হয়েছে। এর মধ্যে ১৭ হাজারেরও বেশি শিশু রয়েছে। অনেকেই নিখোঁজ, আবার কেউ কেউ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে। এছাড়া মেডিকেল এবং ত্রাণ কর্মীদের উপরও পরিকল্পিত হামলার খবর প্রকাশিত হচ্ছে, যা ইসরায়েলের আসল নীতি সম্পর্কে আরো স্পষ্ট ধারণা দিচ্ছে।
বিশ্বের ২০০ কোটি মুসলিমের মধ্যে গাজার মুসলিমদের জন্য কেউ তেমন সাহায্য পাঠায়নি। মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশের নেতা যেমন- সৌদি আরব বিলাসিতায় মগ্ন। তারা পশ্চিমাদের আনুকূল্য লাভের জন্য নতুন নতুন অস্ত্র কেনার পরিকল্পনা করছে কিন্তু গাজার মুসলিমদের জন্য সামান্য সহানুভূতি বা সাহায্যও তারা প্রদান করছে না।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ৪০ বছরের ইতিহাসে ডিভিডেন্ডে নজির ভাঙল এপেক্স ট্যানারি
- ডিভিডেন্ড ঘোষণায় রেকর্ড ভাঙ্গল লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স!
- শেয়ারবাজারে হাহাকার, ৮ দিনে ৪২ হাজার কোটি টাকা গায়েব!
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে মুন্নু এগ্রো
- একদিনে 'এ' ক্যাটাগরিতে ফিরল দুই কোম্পানি
- পতন তান্ডবে শেয়ারবাজারে ছোটদের কফিনেও বড় পেরেক!
- বস্ত্র খাতের ৮ কোম্পানিতে বেড়েছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ১৭ কোম্পানির ডিভিডেন্ড
- মার্জিন ঋণ আতঙ্কে হঠাৎ ধস নামলো শেয়ারবাজারে!
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে বিএসআরএম লিমিটেড
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করবে তালিকাভুক্ত ৪ কোম্পানি
- শেয়ারবাজার স্থিতিশীল রাখতে এক হাজার কোটি টাকা পাচ্ছে আইসিবি
- ইপিএস প্রকাশ করেছে ৮ কোম্পানি
- শেয়ারবাজারে সচেতনতা বাড়াতে এবার যুক্ত হচ্ছে মাঠ প্রশাসন
- ১৪ অক্টোবর: এক নজরে শেয়ারবাজারের ২০ খবর