ঢাকা, সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭ ভাদ্র ১৪৩২
ওয়াকফ বিলকে ‘মু'সলিমবিরোধী’ বললো কংগ্রেস

ডুয়া ডেস্ক : ভারতের রাজ্যসভায় গভীর রাত পাস হয়েছে 'ওয়াকফ বিল-২০২৫'। তবে পাস হওয়া ওয়াকফ বিল নিয়ে বিরোধী দলগুলোর মাঝে তীব্র আপত্তি দেখা গেছে। বিশেষ করে কংগ্রেস এই বিলকে ‘মুসলিমবিরোধী’ এবং ‘অসাংবিধানিক’ বলে অভিহিত করেছে।
আজ শুক্রবার (৪ এপ্রিল) কংগ্রেস জানিয়েছে, তারা খুব শিগগিরই সংসদে পাস হওয়া ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল-এর সাংবিধানিক বৈধতাকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করবে।
কয়েক ঘণ্টার তীব্র বিতর্কের পর ভারতের সংসদ বিতর্কিত বিলটি পাস করেছে। মূলত শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে মুসলমানদের দান করা কোটি কোটি ডলারের মূল্যমান সম্পত্তির 'নিয়ন্ত্রণ' গ্রহণের উদ্দেশ্যে এই আইনটি সংশোধন করা হয়।
বিরোধীদের কঠোর সমালোচনার মাঝেই নিম্নকক্ষে বৃহস্পতিবার বিলটি পাস হওয়ার একদিন পর শুক্রবার ভোরে উচ্চকক্ষও বিলটি অনুমোদন দেয়।
এ বিষয়ে সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সাংসদ জয়রাম রমেশ বলেছেন, "ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস খুব শিগগিরই সুপ্রিম কোর্টে ওয়াকফ (সংশোধনী) বিলের সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করবে। আমরা আত্মবিশ্বাসী এবং ভারতের সংবিধানে থাকা নীতি, বিধান এবং অনুশীলনের ওপর মোদি সরকারের সমস্ত আক্রমণ প্রতিহত করে যাব।"
কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে জানিয়েছেন, "নিম্নকক্ষে বিলটির পক্ষে ২৮৮ জন সদস্য ভোট দিয়েছেন, তবে উল্লেখযোগ্য ২৩২ জন এর বিরোধিতা করেছেন।"
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-পোস্টে তিনি লিখেছেন, "এটা থেকে আমরা অনুমান করতে পারি যে, বিভিন্ন দলের বিরোধিতা সত্ত্বেও এই বিলটি ইচ্ছাকৃতভাবে তোলা হয়েছিল।"
ওয়াকফ বিল ও এটা নিয়ে বিজেপির পরিকল্পনা-ইসলামী ঐতিহ্যে, ওয়াকফ হলো মুসলমানদের দ্বারা সম্প্রদায়ের কল্যাণে প্রদত্ত একটি দাতব্য বা ধর্মীয় দান, যা বিক্রি বা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হতে পারে না। সাধারণত মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থান এবং এতিমখানা নির্মাণ বা পরিচালনার জন্য এই সম্পত্তি ব্যবহৃত হয়। এটি ভারতের প্রায় ২০ কোটি মুসলমানের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এই সম্পত্তিগুলো এখন পর্যন্ত ১৯৯৫ সালের ওয়াকফ আইন দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে। এর আওতায় রাজ্য-স্তরের বোর্ডগুলো এসব সম্পত্তির ব্যবস্থাপনা করে। এসব বোর্ডে রাজ্য সরকারের মনোনীত সদস্য, মুসলিম আইনপ্রণেতা, রাজ্য বার কাউন্সিলের সদস্য, ইসলামী পণ্ডিত এবং ওয়াকফ সম্পত্তির ব্যবস্থাপকরা অন্তর্ভুক্ত হন।
গত আগস্টে বিজেপি সরকার ওয়াকফ আইন সংশোধন করতে একটি বিল পেশ করে, যার উদ্দেশ্য ছিল ওয়াকফ প্রশাসনকে আধুনিকীকরণ করা এবং আইনি ফাঁকফোকর কমানো। এজন্য এই বোর্ডে দুইজন অমুসলিম সদস্য নিয়োগের আইন করা হয়। তবে মুসলিম নেতা এবং বিরোধী দলগুলো এই পরিবর্তনগুলোকে সরকারের জন্য সম্পত্তিগুলোর ওপর আরও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা হিসেবে দেখতে পাচ্ছে।
বিলটি যাচাই-বাছাইয়ের জন্য একটি প্যানেলে পাঠানো হয় এবং ফেব্রুয়ারিতে প্যানেল কিছু সংশোধনীসহ বিলটি অনুমোদন করে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- সম্ভাবনার নতুন দিগন্তে শেয়ারবাজারের খান ব্রাদার্স
- বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে শেয়ারবাজারের ১১ কোম্পানিতে
- মূলধন ঘাটতিতে দুই ব্রোকারেজ হাউজ, ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
- চলতি বছর শেয়ারবাজারে আসছে রাষ্ট্রায়াত্ব দুই প্রতিষ্ঠান
- মার্জারের সাফল্যে উজ্জ্বল ফার কেমিক্যাল
- তালিকাভুক্ত কোম্পানির ১৫ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা
- বিমা আইন সংস্কার: বিনিয়োগ ও আস্থায় নতুন দিগন্ত
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির পর প্রথম ‘নো ডিভিডেন্ড’
- শেয়ারবাজারে রেকর্ড: বছরের সর্বোচ্চ দামে ১৭ কোম্পানি
- ডেনিম উৎপাদন বাড়াতে এভিন্স টেক্সটাইলসের বড় পরিকল্পনা
- তিন শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি, ডিএসইর সতর্কবার্তা
- তদন্তের খবরে থামছে দুই কোম্পানির ঘোড়দৌড়
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৫ কোম্পানির ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- তিন কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা
- ব্যাখ্যা শুনতে ডাকা হচ্ছে শেয়ারবাজারের পাঁচ ব্যাংককে