ঢাকা, বুধবার, ১৩ আগস্ট ২০২৫, ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২
বিমানকে দুই ভাগ করার প্রসঙ্গে
টাস্কফোর্স কমিটির সুপারিশের কোনো যৌক্তিকতা নেই : বিমানের চেয়ারম্যান
.jpg)
ডুয়া ডেস্ক : বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেছেন, অর্থনৈতিক কৌশল পুনঃনির্ধারণে গঠিত সরকারের টাস্কফোর্স কমিটির সুপারিশের কোনো যৌক্তিকতা দেখছি না। বিমানকে দুই ভাগ করার কোনো যৌক্তিকতা নেই।
বৃহস্পতিবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানের হ্যাঙ্গার কমপ্লেক্সে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ বিমানকে ‘অথর্ব’ প্রতিষ্ঠান আখ্যা দিয়ে সরকারি এ প্রতিষ্ঠানকে বাণিজ্যিকভাবে লাভবান করতে বিদেশি ব্যক্তি বা সংস্থার মাধ্যমে পরিচালনার প্রস্তাব আমলে নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
হ্যাঙ্গার কমপ্লেক্সের অনুষ্ঠানে বিমানকে দুই ভাগ করার প্রস্তাবের বিষয়ে মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, আমি তো মনে করি যে এটার যৌক্তিকতা নেই। প্রথম কথা হল বিমানে কোনো অসুবিধা নাই। বিমানের টিকিট এখন অনলাইনে পাওয়া যায়। বিমানের টিকেট নিয়ে এজেন্টরা আগে নানা ধরনের কিছু করেছে। এখন যেগুলো পত্রপত্রিকায় আসে, এগুলো আমাদের টিকিট না। অন্যান্য এয়ারলাইন্সের টিকিট। তারা বাল্ক দিয়ে দেয়। পরে ওরা আস্তে-আস্তে ছাড়ে বেশি পয়সা দিয়ে। আমাদের টিকিটে ওইগুলো নাই।
সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, জনপ্রশাসন সংস্কারে তো উদ্যোগ নিয়েছেন, বিমানের সংস্কারে কি উদ্যোগ নিচ্ছেন, জবাবে বিমানের চেয়ারম্যান বলেন, এই যে আজ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সি-চেক সম্পন্ন হলো, এটা আগে কোনোদিন হয়নি। বিমানের সবাই মিলে কাজ না করলে এটা হত না। যে কাজটা হল, কত কোটি টাকা সেভিংস হলো, বিমান যদি ভালোভাবে কাজ না-ই করে, কীভাবে এটা হল?
বিমানের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং সেবা নিয়ে বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোর তো অভিযোগ আছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো কোনো কমপ্লেইনই করছে না। তাদের কোনো অসুবিধা হয় না, এটা অহেতুক। লাগেজ হ্যান্ডলিংয়ে কতগুলো ট্যাকটিক্যাল সমস্যা আছে। এখন যেখানে টার্মিনাল আছে, সেখানে তিনটার বেশি কনটেইনার নেওয়া যায় না। সেটা নিয়ে পৌঁছানোর পরে ব্যাক করে বের হতে হয়। যখন বেশি লাগেজ থাকে, তখন সমস্যা হয়।
আমরা অনেক ইমপ্রুভ করেছি জানিয়ে আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, প্যাসেঞ্জার ইমিগ্রেশন করে বের হতে-হতে প্রথম লাগেজ চলে আসে। লাগেজে আগে কিছু সমস্যা হত, হত না বললে ভুল হবে। এখন প্রত্যেকের বডি ক্যামেরা দেওয়া আছে, সে কি করছে, কোথায় যাচ্ছে সার্বক্ষণিক দেখা হচ্ছে। এখন আর এটা করার সুযোগ নাই। আর যদি কাউকে পাওয়া যায়, সঙ্গে সঙ্গে এখন আর জিজ্ঞাসাবাদ নাই, চাকরি খতম। যেই ধরনের প্লেন এখানে নামে, ওই ধরনের প্লেনই তো নামবে। তখন লোক বেশি দরকার হবে। আমরা লোক আরও নিচ্ছি।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ডিভিডেন্ড দিতে পারছে না বস্ত্র খাতের ১৩ কোম্পানি
- ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ফিরেছে আর্থিক খাতের কোম্পানি
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- শেয়ারবাজারের ৬ ব্যাংকের রেকর্ড মুনাফা, ৫ ব্যাংকের লোকসান
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৭ প্রতিষ্ঠানের ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- ডিএসইর সতর্কবার্তার জালে দুর্বল দুই কোম্পানির শেয়ার
- মার্জিন ঋণ নিয়ে গুজব: ফের অস্থির শেয়ারবাজার
- চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে দুই কোম্পানির বাজিমাত
- বিসিএসে স্বতন্ত্র বিভাগে অন্য বিভাগ অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- রবির অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তের মুখে গ্রামীণফোন
- টানা পতনেও শেয়ারবাজারে পুনরুজ্জীবনের সংকেত
- ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- চলতি সপ্তাহে ৬ কোম্পানির ডিভিডেন্ড অনুমোদন