ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ পৌষ ১৪৩২

নতুন লোগোতে যাত্রা শুরু সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের

২০২৫ ডিসেম্বর ৩০ ১৮:৪৫:৪৮

নতুন লোগোতে যাত্রা শুরু সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের

নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্যাংকিং খাতে একীভূতকরণের পর নতুন পরিচয়ে এগিয়ে যাওয়ার পথে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ অতিক্রম করল ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’। নতুন যাত্রার প্রতীক হিসেবে ব্যাংকটির নতুন লোগো চূড়ান্ত ও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুষ্ঠিত পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এই লোগোর অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় ব্যাংকের চেয়ারম্যানসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

পরিচালকরা জানান, নতুন লোগোতে ইসলামী ব্যাংকিংয়ের আদর্শ, স্বচ্ছতা এবং আধুনিক আর্থিক ব্যবস্থার প্রতিফলন ঘটানো হয়েছে। গ্রাহকদের আস্থা পুনরুদ্ধার এবং সেবার মান আরও উন্নত করতে সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে বলেও সভায় জানানো হয়।

ব্যাংক কর্তৃপক্ষের ভাষ্য অনুযায়ী, লোগোর নকশায় আস্থা, শরিয়াহভিত্তিক দর্শন ও সম্মিলিত অগ্রযাত্রার বার্তা স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে। লোগোতে যুক্ত করা হয়েছে ব্যাংকের প্রতিপাদ্য— “সম্মিলিত শক্তিতে সমৃদ্ধ আগামী”, যা ভবিষ্যতে ইসলামী ব্যাংকিং খাতে নতুন সম্ভাবনার ইঙ্গিত বহন করে।

উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে কয়েকটি প্রভাবশালী গোষ্ঠীর মাধ্যমে সংঘটিত ব্যাপক আর্থিক অনিয়ম ও ঋণ জালিয়াতির ফলে দেশের কয়েকটি ইসলামী ব্যাংক গভীর সংকটে পড়ে। এই সংকট মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক পাঁচটি সমস্যাগ্রস্ত ব্যাংক একীভূত করে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’ গঠনের অনুমোদন দেয়।

একীভূত হওয়া ব্যাংকগুলো হলো— এক্সিম ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক এবং ইউনিয়ন ব্যাংক।

নতুন ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয় স্থাপন করা হয়েছে রাজধানীর সেনা কল্যাণ ভবনে। সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক পিএলসির পরিশোধিত মূলধন নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকার দিচ্ছে ২০ হাজার কোটি টাকা এবং আমানতকারীদের শেয়ার থেকে আসবে বাকি ১৫ হাজার কোটি টাকা। ব্যাংকটির অনুমোদিত মূলধন রাখা হয়েছে ৪০ হাজার কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, একীভূত হওয়া পাঁচ ব্যাংকে বর্তমানে প্রায় ৭৫ লাখ আমানতকারীর ১ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকা জমা রয়েছে। বিপরীতে ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১ লাখ ৯৩ হাজার কোটি টাকা, যার বড় অংশ ইতোমধ্যে খেলাপিতে পরিণত হয়েছে।

সারা দেশে এসব ব্যাংকের রয়েছে ৭৬০টি শাখা, ৬৯৮টি উপশাখা, ৫১১টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট ও ৯৭৫টি এটিএম বুথ। একীভূত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে একই এলাকায় থাকা একাধিক শাখা একত্র করে একটি বা দুটি শাখায় সীমিত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ব্যয় কমাতে কর্মীদের বেতন-ভাতা ইতোমধ্যে ২০ শতাংশ হ্রাস করা হয়েছে।

এমজে/

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত