ঢাকা, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

শিশির মনিরের নজরে ইসির অসঙ্গতি

২০২৫ নভেম্বর ১৯ ১২:৫৫:২৯

শিশির মনিরের নজরে ইসির অসঙ্গতি

নিজস্ব প্রতিবেদক :জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সংলাপে প্রণীত আচরণবিধির বেশ কিছু দিক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী প্রতিনিধি শিশির মনির। বিশেষ করে পোস্টার ব্যবহারের নীতি, আচরণবিধি লঙ্ঘনের শাস্তি আরোপের এখতিয়ার এবং নির্বাচনি অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা না থাকাকে তিনি উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেন।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে শিশির মনির এসব অসংগতির বিষয়গুলো তুলে ধরেন। তার বক্তব্যে স্পষ্ট হয়, আচরণবিধির বেশ কিছু ধারার মধ্যে বৈপরীত্য রয়েছে, যা বাস্তব প্রয়োগে সমস্যা তৈরি করতে পারে।

পোস্টার ব্যবহারের ক্ষেত্রে ‘দ্বৈত নীতি’র অভিযোগ তুলে শিশির মনির বলেন, আচরণবিধির ৭(ক) উপধারায় পোস্টার ব্যবহারে সরাসরি নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ৭(ঘ) উপধারায় পোস্টারসহ অন্যান্য প্রচারসামগ্রীর ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “একদিকে বলছেন পোস্টার ব্যবহার করা যাবে না, আবার পোস্টার সরানোর বিধিনিষেধ দিচ্ছেন কেন?”—যা তার মতে ইসির নীতির মধ্যে অসঙ্গতি তৈরি করে।

এছাড়া তিনি প্রস্তাব করেন, প্রতীক বরাদ্দের পর সব প্রার্থীর উপস্থিতিতে একই মঞ্চে ইশতেহার পাঠ ও আচরণবিধি প্রতিপালনের ঘোষণা দেওয়ার যে বিধান আছে, সেটি শুধু ‘করতে পারবেন’ না রেখে বাধ্যতামূলক করা উচিত। তার মতে, এটি রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে এবং নতুন প্রজন্মের কাছে উন্নত নির্বাচনি আচরণের উদাহরণ স্থাপন করবে।

শাস্তি আরোপের এখতিয়ার প্রসঙ্গে শিশির মনির ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আচরণবিধিতে ছয় মাসের কারাদণ্ড বা এক লাখ টাকা জরিমানার বিধান থাকলেও—কে এই শাস্তি আরোপ করবে—তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ নেই। তিনি মনে করেন, শাস্তি আরোপের কর্তৃপক্ষ বা আদালত নির্ধারণ করা আচরণবিধিতেই উল্লেখ থাকা উচিত ছিল। একইসঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন, কোনো প্রার্থীর পক্ষে অন্য কেউ অপরাধ করলে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে শাস্তির আওতায় আনার বিধানও স্পষ্ট নয়।

এ ছাড়া আচরণবিধির ২৬ ধারায় উল্লেখিত নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম সংক্রান্ত অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণের দাবি জানান তিনি। তার মতে, অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য ইসির বাধ্যতামূলক সময়সীমা না থাকলে অভিযোগকারীরা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে। তিনি বলেন, “কমপ্লেইন দিলে কত ঘণ্টা বা কত দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করবেন—এটা বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত।” তার দাবি, শত শত অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হলে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা অত্যন্ত জরুরি।

ডুয়া/নয়ন

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত

আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (১৯ নভেম্বর)

আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (১৯ নভেম্বর)

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বিশ্বব্যাপী সম্প্রসারিত হওয়ায় মুদ্রা বিনিময়ের চাহিদাও দিন দিন বাড়ছে। লেনদেন সহজ করতে বিভিন্ন দেশের মুদ্রার সঙ্গে... বিস্তারিত