ঢাকা, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

ভারতের কাশ্মীরে ভয়াবহ বিস্ফোরণ: পুলিশসহ নিহত ৯, আহত ২৯

২০২৫ নভেম্বর ১৫ ১১:২৬:৫৯

ভারতের কাশ্মীরে ভয়াবহ বিস্ফোরণ: পুলিশসহ নিহত ৯, আহত ২৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের কাশ্মীরের শ্রীনগর সংলগ্ন নওগাম থানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে অন্তত নয়জন নিহত এবং ২৯ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) মধ্যরাতে পুলিশের হাতে জব্দকৃত বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক বিস্ফোরিত হয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এই খবর নিশ্চিত করেছে।

নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই পুলিশ সদস্য এবং ফরেনসিক কর্মকর্তা, যারা বিস্ফোরক পরীক্ষা করছিলেন। শ্রীনগর প্রশাসনের দুই কর্মকর্তা-ও প্রাণ হারান। বিস্ফোরণ ঘটে হরিয়ানার ফরিদাবাদ থেকে আনা বিস্ফোরক সামগ্রী যাচাইয়ের সময়।

আহতদের দ্রুত ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৯২ বেস হাসপাতাল এবং শের-ই-কাশ্মীর ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেসে (এসকেআইএমএস) ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ও অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে এলাকা ঘিরে ফেলেছে।

নওগাম পুলিশ পূর্বে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী জইশ-ই-মোহাম্মদের পোস্টার সংক্রান্ত একটি মামলার তদন্ত করেছিল। তদন্তে জানা যায়, পোস্টারের মাধ্যমে একটি সন্ত্রাসী মডিউল শনাক্ত করা হয়েছে, যেখানে চরমপন্থায় প্রভাবিত উচ্চশিক্ষিত পেশাজীবীরা জড়িত ছিল।

গত অক্টোবর মাসে গ্রেফতার হওয়া আদিল আহমদ এই পোস্টারগুলোতে নিরাপত্তা বাহিনী এবং কাশ্মীরের “বহিরাগতদের” ওপর হামলার হুমকি দিয়েছিল। তার তথ্য অনুযায়ী একটি বিস্তৃত নেটওয়ার্ক উন্মোচিত হয়, যা চলতি সপ্তাহে দিল্লিতে ঘটে ১৩ জনের প্রাণহানি ঘটানো বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত ছিল।

পুলিশ জানিয়েছে, এটি ছিল একটি “হোয়াইট-কলার টেরর ইকোসিস্টেম”, যেখানে বিদেশি হ্যান্ডলারদের সঙ্গে পেশাজীবী ও শিক্ষার্থীরা সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিল। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণের মাধ্যমে আদিলকে শনাক্ত করা হয়। তার লকার থেকে একটি অ্যাসল্ট রাইফেল জব্দ করা হয়।

তার পর থেকে আরও কয়েকজন চিকিৎসক গ্রেফতার হন, যেমন মুজাম্মিল শাকিল ও শাহীন সাঈদ। তাদের সহযোগিতায় প্রায় তিন হাজার কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট উদ্ধার করা হয়।

বিস্ফোরণের ঠিক কয়েক ঘণ্টা পর দিল্লির লালকেল্লার কাছে গাড়িতে একটি ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ১৩ জন নিহত এবং ২০ জনের বেশি আহত হন, পাশাপাশি আশপাশের গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরবর্তীতে আরও একজন সন্দেহভাজন উমার নবি সনাক্ত করা হয়, যিনি বিস্ফোরণের আগে গাড়িটি চালাচ্ছিলেন।

ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) জানায়, বিস্ফোরণের প্রকৃতি ইঙ্গিত দেয়, সন্দেহভাজনরা ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) ঠিকভাবে সক্রিয় করতে ব্যর্থ হয়, সম্ভবত আতঙ্ক ও ত্রুটির কারণে।

ইএইচপি

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত