ঢাকা, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২

রমজানে পণ্য বাকিতে আমদানির সুযোগ: কেন্দ্রীয় ব্যাংক

২০২৫ নভেম্বর ১২ ২৩:১৬:২৭

রমজানে পণ্য বাকিতে আমদানির সুযোগ: কেন্দ্রীয় ব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক: আসন্ন রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নগদ মার্জিন শিথিলের পর এবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঘোষণা দিয়েছে রমজান সংশ্লিষ্ট পণ্য ৯০ দিনের বাকিতে আমদানি করা যাবে।

বুধবার (১২ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে একটি নির্দেশনা দেশের সব তফসিলি ব্যাংকে পাঠিয়েছে। এতে বলা হয়, রমজান মাসে বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ ও পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাল, গম, পেঁয়াজ, ডাল, ভোজ্য তেল, চিনি, ছোলা, মটর, মসলা ও খেজুর আমদানিতে এই বিশেষ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।

নির্দেশনা অনুযায়ী, বিদেশি সরবরাহকারীর কাছে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত এসব পণ্যের মূল্য বাকিতে পরিশোধ করা যাবে। তবে সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়েছে, এ সংক্রান্ত আগের সব নির্দেশনা বহাল থাকবে।

সাধারণ নিয়মে শিল্পকারখানার কাঁচামাল ও মূলধনী যন্ত্রপাতি ছাড়া অন্য কোনো পণ্য বিলম্বে পরিশোধের শর্তে আমদানি করা যায় না। তবে রমজান মাসকে সামনে রেখে এবার এই নিয়মে ব্যতিক্রম করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এর আগে মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঘোষণা দিয়েছিল, রমজানকেন্দ্রিক খাদ্যপণ্যের এলসি (Letter of Credit) খোলার সময় ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ন্যূনতম নগদ মার্জিন রাখার সুযোগ থাকবে। একই সঙ্গে এসব পণ্যের এলসি স্থাপনে অগ্রাধিকার দিতে বলা হয়েছিল, যাতে অভ্যন্তরীণ বাজারে সরবরাহে ঘাটতি না হয়।

এলসি মার্জিন কী?

এলসি মার্জিন হলো এমন একটি অর্থ যা আমদানিকারককে ব্যাংকে জমা রাখতে হয় পণ্য আমদানির সময়। সাধারণত পণ্য দেশে এসে খালাসের পর এই অর্থ সমন্বয় করা হয়। আগে ব্যাংকগুলো গ্রাহকের সঙ্গে সম্পর্ক অনুযায়ী ৫ থেকে ১০ শতাংশ মার্জিন নিত।

তবে ২০২২ সালে ডলার সংকট দেখা দেওয়ার পর আমদানি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য ও ওষুধ ছাড়া অন্যান্য পণ্যে ৭৫ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত নগদ মার্জিনের বাধ্যবাধকতা আরোপ করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। বর্তমানে ডলার সংকট কিছুটা প্রশমিত হওয়ায় ধীরে ধীরে এসব শর্ত শিথিল করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত