বেন-গভিরের নেতৃত্বাধীন কট্টর-ডানপন্থি ‘জিউইশ পাওয়ার’ পার্টি এই বিল প্রস্তাব করে। ভোটের আগে এটি নেসেটের বিভিন্ন কমিটিতে পাঠানো হয়, যাতে দ্বিতীয় ও তৃতীয় পাঠের প্রস্তুতি নেওয়া যায়। খসড়া আইনে বলা হয়েছে, ইচ্ছাকৃতভাবে বা বেপরোয়া আচরণের মাধ্যমে ইসরাইলি নাগরিককে হত্যা করলে—যদি তা বর্ণবিদ্বেষ, ঘৃণা বা ইসরাইলকে ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে হয়ে থাকে—তার শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড, এবং একবার শাস্তি ঘোষিত হলে তা হ্রাসের কোনো সুযোগ থাকবে না।
বিল পাশ হওয়ার পর মার্কিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বেন-গভির আনন্দ প্রকাশ করে লেখেন, “জিউইশ পাওয়ার ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম এবং তা পূরণ করেছি। সন্ত্রাসীদের মৃত্যুদণ্ডের আইন ফার্স্ট রিডিংয়ে পাশ হয়েছে।” তবে মানবাধিকার সংস্থাগুলো দীর্ঘদিন ধরেই এই উদ্যোগের নিন্দা জানিয়ে আসছে। তাদের মতে, এই আইন মূলত ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে তৈরি করা হয়েছে এবং এটি ইসরাইলি শাসনব্যবস্থার বৈষম্যকে আরও গভীর করবে।
ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি মানবাধিকার সংগঠনগুলো জানিয়েছে, বর্তমানে নারী ও শিশুসহ ১০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি ইসরাইলি কারাগারে বন্দী আছেন। সেখানে বন্দিরা নির্যাতন, অনাহার এবং চিকিৎসা-অবহেলার শিকার হচ্ছেন, যার ফলে অনেকেই প্রাণ হারাচ্ছেন।
ডুয়া/নয়ন