ঢাকা, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ৭ কার্তিক ১৪৩২

বাংলাদেশ থেকে ১.৬ কোটি ভিডিও গেল কোথায়? টিকটকের রিপোর্টে চমক

২০২৫ অক্টোবর ২২ ১৮:২৯:৪৬

বাংলাদেশ থেকে ১.৬ কোটি ভিডিও গেল কোথায়? টিকটকের রিপোর্টে চমক

নিজস্ব প্রতিবেদক :সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম টিকটক সম্প্রতি ২০২৫ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিক (এপ্রিল–জুন) সংক্রান্ত কমিউনিটি গাইডলাইনস এনফোর্সমেন্ট রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। প্ল্যাটফর্মটিকে আরও নিরাপদ ও দায়িত্বশীল ডিজিটাল পরিবেশ হিসেবে গড়ে তুলতে নেওয়া পদক্ষেপগুলোর স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতেই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে।

রিপোর্ট অনুযায়ী, এই প্রান্তিকে বাংলাদেশ থেকে ১ কোটি ৬২ লাখ ৪৫ হাজার ৫৯৩টি ভিডিও সরানো হয়েছে, যা স্থানীয়ভাবে কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণে টিকটকের সক্রিয় অবস্থান নির্দেশ করে। উল্লেখযোগ্যভাবে, এসব ভিডিওর ৯৯.৭ শতাংশ সক্রিয়ভাবে শনাক্ত করে অপসারণ করা হয়েছে, যার মধ্যে ৯৭.৫ শতাংশ ভিডিও সরানো হয়েছে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই।

গ্লোবাল স্কেলে, টিকটক মোট ১৮ কোটি ৯৫ লাখ ৭৮ হাজার ২২৮টি ভিডিও সরিয়েছে, যা প্ল্যাটফর্মে আপলোড হওয়া মোট কনটেন্টের প্রায় ০.৭ শতাংশ। এর মধ্যে ১৬ কোটির বেশি ভিডিও স্বয়ংক্রিয়ভাবে চিহ্নিত করে সরানো হয়েছে। তবুও যাচাই করে ৭৪ লাখ ৫৭ হাজার ৩০৯টি ভিডিও পুনরায় প্ল্যাটফর্মে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়, ৯৯.১ শতাংশ ভিডিও সরানো হয়েছে চিহ্নিত করার সঙ্গে সঙ্গেই, আর ৯৪.৪ শতাংশ ভিডিও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করা হয়েছে।

ভিডিও অপসারণ ছাড়াও, ৭ কোটি ৬৯ লাখ ৯১ হাজার ৬৬০টি ভুয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে টিকটক। একই সময়ে, ১৩ বছরের কম বয়সী হিসেবে শনাক্ত হওয়া আরও ২ কোটি ৫৯ লাখ ৪ হাজার ৭০৮টি অ্যাকাউন্ট সরানো হয়েছে, যা প্ল্যাটফর্মটির বয়সভিত্তিক নিরাপত্তা নীতির একটি বড় অংশ।

সরিয়ে ফেলা কনটেন্টগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ভিডিও টিকটকের নীতিমালা লঙ্ঘনের কারণে অপসারণ করা হয়েছে। ৩০.৬ শতাংশ ভিডিওতে ছিল সংবেদনশীল বিষয়বস্তু, ১৪ শতাংশ নিরাপত্তা নীতিমালা ভঙ্গ করেছে, এবং ৬.১ শতাংশ গোপনীয়তা লঙ্ঘনের অভিযোগে সরানো হয়েছে। এছাড়া, ৪৫ শতাংশ ভিডিও ভুল তথ্যের উৎস হিসেবে চিহ্নিত, এবং ২৩.৮ শতাংশ ভিডিওকে এডিট করা বা এআই-জেনারেটেড হিসেবে শনাক্ত করে অপসারণ করা হয়েছে।

টিকটক জানিয়েছে, তারা নিয়মিতভাবে এই ধরনের কমিউনিটি গাইডলাইনস এনফোর্সমেন্ট রিপোর্ট প্রকাশ করে, যাতে কনটেন্ট মডারেশন এবং অ্যাকাউন্ট ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় থাকে। রিপোর্টটি টিকটকের ট্রান্সপারেন্সি সেন্টার-এ প্রকাশিত হয়েছে এবং এটি বাংলা ও ইংরেজি—দু’টি ভাষাতেই পাওয়া যাচ্ছে।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত