ঢাকা, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ৭ কার্তিক ১৪৩২

তামাককে নেশাজাতীয় পণ্য হিসেবে তালিকাভুক্ত করা জরুরি: ডা. বিধান রঞ্জন

২০২৫ অক্টোবর ২২ ১৮:১৭:৩৫

তামাককে নেশাজাতীয় পণ্য হিসেবে তালিকাভুক্ত করা জরুরি: ডা. বিধান রঞ্জন

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, তামাককে নেশাজাতীয় (অ্যাডিকটিভ) পণ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি। তিনি বলেন, এটি জনস্বাস্থ্য রক্ষা এবং অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বুধবার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে “অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও তরুণদের সুরক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা: তরুণ চিকিৎসকদের করণীয়” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ।

ডা. বিধান রঞ্জন বলেন, তামাক একটি নীরব ঘাতক, যা শুধু ফুসফুস নয়, হৃদযন্ত্র ও মস্তিষ্ককেও ক্ষতিগ্রস্ত করে। প্রতিদিন শত শত মানুষ তামাকজনিত রোগে অকালমৃত্যুর শিকার হচ্ছেন। এটি আমাদের মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য বড় অন্তরায়।

তিনি আরও জানান, প্রতিষ্ঠানগুলোকে তামাকমুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। শুধু ধূমপান নয়, পান, জর্দা সহ সব ধরনের তামাকপণ্যই ক্ষতিকর। ধোঁয়াবিহীন তামাকও কম ক্ষতিকর নয়। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণে তামাকবিরোধী সচেতনতা অন্তর্ভুক্ত করা হবে, যাতে তারা শ্রেণিকক্ষে কার্যকরভাবে এটি বাস্তবায়ন করতে পারেন।

ডা. বিধান রঞ্জন বলেন, তামাকও এক ধরনের মাদক। এটিকে ‘অ্যাডিকটিভ সাবস্ট্যান্স’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হবে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা নেন। গবেষণায় প্রমাণিত, এটি আসক্তিকর। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব ও তামাক কোম্পানিগুলোর হস্তক্ষেপের কারণে এখনও এটি তালিকাভুক্ত হয়নি।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্ল্যাটফর্ম ডক্টরস ফাউন্ডেশনের সহ-সাধারণ সম্পাদক ডা. ফারজানা রহমান মুনমুন। সহ-সভাপতি ডা. রামিসা ফারিহা অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্বস্বাস্থ্য অনুবিভাগ) শেখ মোমেনা মনি, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের মহাপরিচালক মো. আখতারউজ-জামান, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির উপদেষ্টা মো. নাইমুল আজম খান, প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর ডা. অরুনা সরকার, সিনিয়র কমিউনিকেশন অফিসার আবু জাফর এবং বিভিন্ন তামাকবিরোধী সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

কেএমএ

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত