ঢাকা, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২
ঢাবি'র প্রশ্নপত্রের মান নিয়ে তোলপাড়: প্রশ্নের মুখে শিক্ষকেরা
.jpg)
ঢাবি প্রতিনিধি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের একটি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। দ্বিতীয় বর্ষের তৃতীয় সেমিস্টারের ‘আইসিটি’ কোর্সের মিডটার্ম পরীক্ষার প্রশ্নটি নিয়ে শিক্ষার্থীরা বলছেন, এর মান স্নাতক পর্যায়ের সঙ্গে একেবারেই সঙ্গতিপূর্ণ নয় বরং এটি মাধ্যমিক স্তরের পরীক্ষার প্রশ্নের মতো।
প্রশ্নটি মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) ঢাবি-কেন্দ্রিক বিভিন্ন ফেসবুক প্ল্যাটফর্মে ভাইরাল হয়। প্রশ্নটির 'শিশুসুলভ' প্রকৃতি অনেক শিক্ষার্থীর মধ্যে হাস্যরসের সৃষ্টি করে, যা দ্রুতই নেটিজেনদের সমালোচনার কেন্দ্রে পরিণত হয়। সমালোচকদের গুরুতর অভিযোগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের কার্যত 'কপি-পেস্ট' করা শেখাচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ:
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাংবাদিকতা বিভাগের এক শিক্ষার্থীর ক্ষোভ ছিল তীব্র। তিনি প্রশ্ন তোলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট, আবাসন, খাবার এবং শিক্ষকের মান নিয়ে। তার মতে, যেখানে নিয়মিত ক্লাস না নিয়েও অনেক শিক্ষক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ান, সেখানে মানহীন প্রশ্ন তৈরি করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রতিদিন এত দীর্ঘ জার্নি করে ক্যাম্পাসে আসি। দিন শেষে দেখি ভার্সিটি আমাকে কপি-পেস্ট করা শিখাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এত বাজেট কই যায়? আমরা কেন একটা ভালো পরিবেশ, একটা ভালো মানসম্মত সেমিস্টার পাব না? যোগ্যতা কম আমাদের? নাকি পাবলিকে পড়ি বলে সস্তা হয়ে গেছি?
একই ব্যাচের আরেক শিক্ষার্থী ব্যঙ্গ করে বলেন, আমার ক্লাসের ষষ্ঠ শ্রেণির স্টুডেন্টকে যা পড়িয়েছি, আইসিটি তাই আসছে আমার পরীক্ষায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এম আয়াতুল্লাহ বেহেস্তি বর্তমান সিলেবাসের সমালোচনা করে বলেন, "ঢাবির বেশিরভাগ বিভাগের সিলেবাসই সেকেলে আর বিরক্তিকর। প্রশাসনকে অবশ্যই নতুন করে ভাবা উচিত। এখন ২০২৫ সাল চলছে, শিক্ষাব্যবস্থাকে আরও সময়োপযোগী করতে হবে।"
শিক্ষকের ব্যাখ্যা:
বিতর্কিত আইসিটি কোর্সটি নিয়ে বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সাইফুল হক ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, তিনি নিজে এই কোর্সটি পরিচালনা করেন না, এটি মূলত ল্যাব ইনস্ট্রাক্টররা দেখেন।
ড. সাইফুল হক বলেন, এই কোর্সটি মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, পাওয়ারপয়েন্ট, এক্সেল ইত্যাদির মতো সফটওয়্যারগুলোর প্রাথমিক ব্যবহার শেখানোর জন্য চালু করা হয়েছে। এটি কোনো জটিল তাত্ত্বিক বা প্রায়োগিক কোর্স নয়।
তিনি প্রশ্ন সহজ হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে বলেন, আমরা ধরে নিই, সবাই কম্পিউটার লিটারেট, কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। অনেক ছাত্রছাত্রী ফাইল খুঁজে পেতে বা ফাইল ট্রান্সফার করতে পর্যন্ত পারছিল না।
ড. হক আরও যোগ করেন যে, এই কোর্সটি একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যবস্থা। দেশের প্রান্তিক অঞ্চল থেকে আসা অনেক শিক্ষার্থী স্কুল-কলেজ পর্যায়ে আইসিটি শেখার সুযোগ পায় না। তাই প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের যেন কম্পিউটারের বেসিক বিষয়গুলো শেখা হয়, যাতে তারা পরবর্তী একাডেমিক জীবনে প্রযুক্তি ব্যবহারে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে এই লক্ষ্যেই কোর্সটি চালু রাখা হয়েছে। তার মতে, কোর্সের প্রকৃতিটাই এমন যে এটি শুধুমাত্র বেসিক দক্ষতা অর্জনের ওপর জোর দেয়।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- খেলোয়াড়দের নিয়ন্ত্রণে শেয়ারবাজার, অসহায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা
- ঘোষণা দিয়েও শেয়ারহোল্ডারদের ডিভিডেন্ড দেয়নি ১৭ কোম্পানি
- শেয়ারবাজারে হাহাকার, ৮ দিনে ৪২ হাজার কোটি টাকা গায়েব!
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে মুন্নু এগ্রো
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে কেডিএস এক্সেসরিজ
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে স্কয়ার টেক্সটাইল
- বস্ত্র খাতের ৮ কোম্পানিতে বেড়েছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ
- পতন তান্ডবে শেয়ারবাজারে ছোটদের কফিনেও বড় পেরেক!
- লাফার্জ হোলসিমের উচ্চ মুনাফার 'অ্যাগ্রিগেটস' ব্যবসা
- মার্জিন ঋণ নিয়ে গুজব, বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান বিএসইসির
- শেয়ারবাজারে সচেতনতা বাড়াতে এবার যুক্ত হচ্ছে মাঠ প্রশাসন
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ১৭ কোম্পানির ডিভিডেন্ড
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে বিএসআরএম লিমিটেড
- মার্জিন ঋণ আতঙ্কে হঠাৎ ধস নামলো শেয়ারবাজারে!
- শেয়ারবাজার স্থিতিশীল রাখতে এক হাজার কোটি টাকা পাচ্ছে আইসিবি