ঢাকা, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ৭ কার্তিক ১৪৩২
নির্বাচনকে গণতান্ত্রিক উৎসবে রূপ দিতে চায় সরকার: প্রধান উপদেষ্টা
.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদক: আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ ও আনন্দময় করতে সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (২২ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নবনিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লোট্জের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বৈঠকের বিষয়বস্তু জানানো হয়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচনকে আমরা এমনভাবে আয়োজন করতে চাই, যাতে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিতে পারে এবং গণতান্ত্রিক উৎসবের আনন্দ উপভোগ করতে পারে।
তিনি আরও জানান, সরকার ইতিমধ্যে নানা ধরনের সংস্কারমূলক উদ্যোগ নিয়েছে, যা নির্বাচনের পরিবেশকে আরও অনুকূল ও অংশগ্রহণমূলক করে তুলবে।
বৈঠকে জুলাই মাসে রাজনৈতিক দলগুলোর স্বাক্ষরিত জাতীয় সনদ নিয়েও আলোচনা হয়। এ প্রসঙ্গে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন বড় রাজনৈতিক দলগুলোকে একত্রে এনে ঐতিহাসিক ভূমিকা রেখেছে। এটি ছিল এক ঐক্যের মুহূর্ত, যা পরিবর্তনের প্রতি যৌথ প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করেছে এবং নির্বাচনের আগে জনগণের আস্থা গঠনে সহায়ক হচ্ছে।
তরুণ সমাজের ভূমিকা নিয়েও গুরুত্বারোপ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তার মতে, প্রযুক্তি ও সামাজিক মাধ্যম তরুণদের নতুনভাবে মত প্রকাশ, যুক্ত হওয়া ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার সুযোগ দিয়েছে। তবে তিনি বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ও ভুয়া প্রচারের ঝুঁকি সম্পর্কেও সতর্ক করেন। “নির্বাচনের আগে ভুয়া তথ্য এখন অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ,” বলেন তিনি।
নতুন দায়িত্ব গ্রহণের জন্য রাষ্ট্রদূতকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, তার মেয়াদকালে বাংলাদেশ ও জার্মানির সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ ও অর্থবহ হবে।
জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লোট্জ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের মানুষ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আরও সম্পৃক্ত হচ্ছে, যা আশাব্যঞ্জক। তিনি জুলাইয়ে গৃহীত জাতীয় সনদ ও সংস্কার প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন এবং বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলোকে একসঙ্গে আলোচনায় বসতে দেখা অত্যন্ত ইতিবাচক বিষয়। নির্বাচনের পরও এসব উদ্যোগ অব্যাহত থাকা উচিত।
বৈঠকে দুই দেশের ক্রমবর্ধমান শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের বিষয়েও আলোচনা হয়। রাষ্ট্রদূত জানান, উচ্চশিক্ষার জন্য জার্মানিতে পড়তে যেতে আগ্রহী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। এ প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা দুই দেশের জনগণের মধ্যে এই সংযোগকে স্বাগত জানান।
এছাড়া রোহিঙ্গা সংকট ও এ বিষয়ে জার্মানির সহায়তা নিয়েও আলোচনা হয়। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জার্মানি ইউরোপে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার। আশা করি, নতুন রাষ্ট্রদূতের মেয়াদকালে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আরও সম্প্রসারিত হবে।
কেএমএ
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- খেলোয়াড়দের নিয়ন্ত্রণে শেয়ারবাজার, অসহায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে কেডিএস এক্সেসরিজ
- ঘোষণা দিয়েও শেয়ারহোল্ডারদের ডিভিডেন্ড দেয়নি ১৭ কোম্পানি
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে স্কয়ার টেক্সটাইল
- শেয়ারবাজারে হাহাকার, ৮ দিনে ৪২ হাজার কোটি টাকা গায়েব!
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে মুন্নু এগ্রো
- লাফার্জহোলসিমের অন্তর্বর্তীকালিন ডিভিডেন্ড ঘোষণা
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে শমরিতা হাসপাতাল
- বস্ত্র খাতের ৮ কোম্পানিতে বেড়েছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ
- মার্জিন ঋণ নিয়ে গুজব, বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান বিএসইসির
- পতন তান্ডবে শেয়ারবাজারে ছোটদের কফিনেও বড় পেরেক!
- লাফার্জ হোলসিমের উচ্চ মুনাফার 'অ্যাগ্রিগেটস' ব্যবসা
- শেয়ারবাজারে সচেতনতা বাড়াতে এবার যুক্ত হচ্ছে মাঠ প্রশাসন
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ১৭ কোম্পানির ডিভিডেন্ড
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে বিএসআরএম লিমিটেড