ঢাকা, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ৪ কার্তিক ১৪৩২

শুষ্ক কাশি? জেনে নিন ঘরোয়া সমাধান

২০২৫ অক্টোবর ২০ ০২:০২:২৬

শুষ্ক কাশি? জেনে নিন ঘরোয়া সমাধান

সরকার ফারাবী: শুষ্ক কাশি সাধারণত গলা জ্বালা বা খুসখুসের সঙ্গে হয়, কিন্তু এতে শ্লেষ্মা বা কফ উৎপন্ন হয় না। বেশিরভাগ সময় সর্দি বা ফ্লুর সংক্রমণ কাটার পর এটি থেকে যায় এবং দীর্ঘস্থায়ী হলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়, গলায় চাপ সৃষ্টি করে। যদিও কাশির ওষুধে সাময়িক স্বস্তি পাওয়া যায়, তবে প্রাকৃতিক ও ঘরোয়া প্রতিকারগুলো অনেক বেশি কার্যকর এগুলো গলা প্রশমিত করে, প্রদাহ কমায় এবং শ্বাসনালীকে আর্দ্র রাখে। মধু, হলুদ, আদা ও পুদিনা পাতা এমন কিছু উপাদান যা শুষ্ক কাশি উপশমে প্রমাণিতভাবে সহায়ক।

মধু

শুষ্ক কাশি থামাতে মধু অন্যতম সেরা প্রাকৃতিক উপাদান। এতে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান গলায় এক ধরনের আবরণ তৈরি করে, যা জ্বালা কমিয়ে কাশির তীব্রতা হ্রাস করে।

আর্কাইভস অব পেডিয়াট্রিক্স অ্যান্ড অ্যাডোলেসেন্ট মেডিসিনে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে শিশুদের রাতের কাশি কমাতে ডেক্সট্রোমেথরফানের তুলনায় মধু বেশি কার্যকর।

প্রতিদিন কয়েকবার এক চা চামচ মধু খাওয়া যেতে পারে, অথবা হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে পান করা যায়। তবে এক বছরের নিচের শিশুদের কখনোই মধু দেওয়া যাবে না, কারণ এতে শিশু বোটুলিজমের ঝুঁকি থাকে।

হলুদ

হলুদের সক্রিয় যৌগ কারকিউমিন প্রদাহনাশক, অ্যান্টিভাইরাল এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণসম্পন্ন। এটি হাঁপানি ও ব্রঙ্কাইটিসের মতো শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা উপশমে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

ফ্রন্টিয়ার্স ইন ইমিউনোলজি–তে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়, কারকিউমিনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রদাহ-বিরোধী প্রভাব শরীরের প্রতিরোধক্ষমতা জোরদার করে।

হলুদ খাওয়ার সময় শোষণ বাড়াতে এতে এক চিমটি গোল মরিচ মেশানো ভালো। গরম দুধ, চা বা কমলার রসে এক চা চামচ হলুদ ও অল্প গোল মরিচ মিশিয়ে পান করলে গলার জ্বালা ও প্রদাহ কমে।

আদা

আদা তার শক্তিশালী রোগপ্রতিরোধী, জীবাণুনাশক ও প্রদাহনাশক গুণের জন্য সুপরিচিত। এটি গলার অস্বস্তি কমায় এবং কাশির তীব্রতা হ্রাস করে।

আদা চা শুষ্ক কাশির জন্য বিশেষভাবে উপকারী কিছু টুকরো তাজা আদা ফুটন্ত পানিতে ভিজিয়ে কয়েক মিনিট রেখে পান করতে পারেন। চাইলে এতে মধু যোগ করলে কার্যকারিতা আরও বাড়ে। তাৎক্ষণিক উপশমের জন্য কাঁচা আদাও চিবিয়ে খাওয়া যেতে পারে।

পুদিনা পাতা

পুদিনায় থাকা মেন্থল প্রাকৃতিক ডিকনজেস্ট্যান্ট ও কাশি দমনকারী হিসেবে কাজ করে। এটি গলার স্নায়ুকে সাময়িকভাবে অসাড় করে কাশির উদ্দীপনা কমায় এবং শ্বাস নেওয়া সহজ করে তোলে।

ঘুমানোর আগে পুদিনা চা পান করা কাশি ও গলার জ্বালা কমাতে সহায়ক। এছাড়া গরম পানিতে কয়েক ফোঁটা পুদিনা তেল দিয়ে বাষ্প নেওয়া বা ডিফিউজারে ব্যবহার করলেও তাৎক্ষণিক স্বস্তি পাওয়া যায়।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত