ঢাকা, শুক্রবার, ৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২

প্রধান উপদেষ্টার জাতিসংঘ সফরের ৬ সাফল্য তুলে ধরলেন প্রেস সচিব

২০২৫ অক্টোবর ০৩ ১৮:৩২:৩৬

প্রধান উপদেষ্টার জাতিসংঘ সফরের ৬ সাফল্য তুলে ধরলেন প্রেস সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৮০তম অধিবেশনে অংশগ্রহণ শেষে দেশে ফিরেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই সফরে বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপির শীর্ষ পর্যায়ের ৬ জন নেতাসহ বাংলাদেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন তিনি। সফরের পর প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তার ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এই সফরের ছয়টি উল্লেখযোগ্য সাফল্যের কথা তুলে ধরেন।

প্রধান উপদেষ্টার ড. ইউনূসের জাতিসংঘ সফরের উল্লেখযোগ্য ৬ সাফল্য:

১. গণতান্ত্রিক প্রতিশ্রুতির বার্তা: প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস সাধারণ পরিষদের ভাষণে বাংলাদেশের গণতন্ত্র, স্বচ্ছতা ও অংশগ্রহণমূলক শাসনব্যবস্থার প্রতি দৃঢ় অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি আসন্ন নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করতে সরকারের প্রস্তুতির আশ্বাস দেন। এই সফরে ছয়টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন, যা বিশ্বকে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রগতির বার্তা দিয়েছে।

২. বৈশ্বিক নেতাদের সঙ্গে কৌশলগত সংলাপ: সফরকালে ড. ইউনূস ইতালি, ফিনল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, আলবেনিয়া, কসোভো ও ভুটানের নেতাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। এছাড়াও তিনি জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা, আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ড. ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আয়োজিত নৈশভোজেও যোগ দেন।

৩. রোহিঙ্গা সংকটে মানবিক নেতৃত্ব: রোহিঙ্গা সংকট ছিল সফরের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু। তিনি এক মিলিয়নেরও বেশি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও মানবিক সহায়তা প্রদানে বাংলাদেশের নেতৃত্বের ভূমিকা তুলে ধরেন। এই সফরে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ৯৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সহায়তা আদায় করতে সক্ষম হন।

৪. এলডিসি থেকে উত্তরণের প্রস্তুতিতে জাতিসংঘের স্বাধীন মূল্যায়ন আমন্ত্রণ: বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা প্রদর্শনে ড. ইউনূস জাতিসংঘকে বাংলাদেশের এলডিসি থেকে উত্তরণের প্রস্তুতি বিষয়ে স্বাধীন মূল্যায়ন করার আমন্ত্রণ জানান।

৫. নতুন অর্থনৈতিক কাঠামো ও কর্মসংস্থানের সুযোগ: কসোভো, আলবেনিয়া ও ইউরোপের অন্যান্য দেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ফলপ্রসূ বৈঠকে বাংলাদেশি শ্রমশক্তির চাহিদা নিয়ে আলোচনা হয়, যা বিদেশে কর্মসংস্থান ও রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ানোর নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে।

৬. সহযোগিতামূলক ভবিষ্যতের ভিশন: ড. ইউনূসের জাতিসংঘ সফর বাংলাদেশের অবস্থানকে একটি দায়িত্বশীল বৈশ্বিক অংশীদার হিসেবে পুনর্বার পরিষ্কার করেছে, যা গণতান্ত্রিক শাসন, মানবিক সংহতি ও গঠনমূলক আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এসপি

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত