ঢাকা, বুধবার, ১ অক্টোবর ২০২৫, ১৬ আশ্বিন ১৪৩২

ডিজিটাল সানসেট, প্রতিদিন ১৫ মিনিটের অভ্যাসেই বদলে দিবে জীবন

সরকার ফারাবী
সরকার ফারাবী

সিনিয়র রিপোর্টার

২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৯ ১৮:২০:০২

ডিজিটাল সানসেট, প্রতিদিন ১৫ মিনিটের অভ্যাসেই বদলে দিবে জীবন

লাইফস্টইল ডেস্ক: প্রযুক্তিনির্ভর এই যুগে আমরা প্রতিদিনের বেশিরভাগ সময়ই মোবাইল, ল্যাপটপ, টেলিভিশন বা অন্যান্য ডিজিটাল স্ক্রিনে ডুবে থাকি। কাজ থেকে শুরু করে বিনোদন সবকিছুই এখন স্ক্রিননির্ভর। কিন্তু এই অভ্যাসের সবচেয়ে বড় ক্ষতি হচ্ছে আমাদের ঘুমের মান। শোবার আগে দীর্ঘ সময় স্ক্রিন ব্যবহারের ফলে চোখ ও মস্তিষ্ক উভয়ই অস্থির হয়ে পড়ে, যার সরাসরি প্রভাব পড়ে আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যে।

সম্প্রতি একাধিক গবেষণায় উঠে এসেছে, প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত ১৫ মিনিট আগে সব ধরনের স্ক্রিন বন্ধ করে দেওয়ার অভ্যাস বা যাকে বলা হয় ডিজিটাল সানসেট, তা মানুষের ঘুম, মানসিক স্বাস্থ্যে এবং জীবনযাত্রায় বিস্ময়কর ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম।

মনোবিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, মোবাইল বা ল্যাপটপের স্ক্রিন থেকে নির্গত নীল আলো (ব্লু লাইট) মস্তিষ্ককে এমনভাবে উদ্দীপিত করে যে, ঘুমের জন্য প্রয়োজনীয় হরমোন মেলাটোনিন স্বাভাবিকভাবে নিঃসৃত হতে পারে না। এর ফলেই ঘুম হালকা হয়, ঘন ঘন জেগে ওঠার প্রবণতা বাড়ে এবং গভীর ঘুমের অভাব দেখা দেয়। দীর্ঘমেয়াদে এই অবস্থা তৈরি করে অনিদ্রা, মাথাব্যথা, উদ্বেগ এমনকি মানসিক অবসাদও।

অন্যদিকে, মাত্র ১৫ মিনিটের ডিজিটাল সানসেট রুটিন ঘুমের মানকে নাটকীয়ভাবে উন্নত করে। শোবার আগে যখন স্ক্রিন বন্ধ করা হয়, তখন মস্তিষ্ক স্বাভাবিক ছন্দে বিশ্রামের জন্য প্রস্তুত হতে পারে। এর ফলে গভীর ও নিরবচ্ছিন্ন ঘুম হয়, ক্লান্তি দূর হয় এবং পরের দিন শরীর ও মন সতেজ থাকে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ছোট্ট অভ্যাস কেবল ঘুমের মান বাড়ায় না; বরং দীর্ঘমেয়াদে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, উদ্বেগ, হতাশা ও স্মৃতিশক্তি হ্রাসের ঝুঁকিও কমায়। সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, মানুষ নিজের পরিবার, প্রিয়জন বা নিজেকে মানসিক শান্তি দেওয়ার মতো কিছু সময় পায়, যা জীবনযাত্রায় ভারসাম্য আনে।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত