ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর ২০২৫, ১৭ আশ্বিন ১৪৩২

গ্যাস্ট্রিক ভেবে ক্যান্সারকে উপেক্ষা করছেন না তো? জানুন এই উপসর্গগুলো

২০২৫ সেপ্টেম্বর ২১ ০৮:৩১:২০

গ্যাস্ট্রিক ভেবে ক্যান্সারকে উপেক্ষা করছেন না তো? জানুন এই উপসর্গগুলো

লাইফস্টাইল ডেস্ক: প্রতিদিনকার সাধারণ হজমজনিত সমস্যার আড়ালেও কখনও কখনও লুকিয়ে থাকতে পারে ভয়ংকর রোগের ইঙ্গিত। বুকজ্বলা, গ্যাস বা পেট ফাঁপার মতো অসুবিধা অনেকেই তেমন গুরুত্ব দেন না। কিন্তু চিকিৎসকদের মতে, এগুলো মাঝে মাঝে পাকস্থলীর ক্যান্সারের প্রাথমিক সতর্কবার্তাও হতে পারে। বিপদের বিষয় হলো, রোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলো এতটাই সাধারণ যে সহজে আলাদা করা যায় না। তাই সামান্য অস্বস্তিকেও অবহেলা করা উচিত নয়।

হালকা খাবারের পরেও ভারী বোধ

সাধারণত বেশি খাওয়ার পর পেট ভারী লাগা স্বাভাবিক। কিন্তু অল্প খাবারের পরও যদি ভারী লাগতে থাকে, তবে এটি ক্যান্সারের ইঙ্গিত হতে পারে। টিউমার পাকস্থলীর ভেতরের জায়গা সংকুচিত করে দেয়, যার ফলে খাবার গ্রহণে অসুবিধা হয় এবং দ্রুত ওজন কমে যায়।

ছড়িয়ে পড়া ব্যথা

অম্বলে সাধারণত বুক বা পেটের ওপরের দিকে জ্বালাপোড়া হয়। কিন্তু পাকস্থলীর ক্যান্সারে ব্যথা ভিন্ন ধরনের হয়—এটি অনেক সময় পিঠ পর্যন্ত ছড়িয়ে যেতে পারে কিংবা নিস্তেজ কিন্তু স্থায়ী ব্যথা হিসেবে অনুভূত হতে পারে।

বারবার বমি বমি ভাব

কোনো কারণ ছাড়াই ঘন ঘন বমি বমি ভাব হওয়া আরেকটি উপেক্ষিত লক্ষণ। তৈলাক্ত খাবার না খেলেও যদি বমি বমি লাগে, ক্ষুধা কমে যায়, তবে তা পাকস্থলীর ক্যান্সারের ইঙ্গিত হতে পারে।

মলের পরিবর্তন

অভ্যন্তরীণ রক্তপাতের কারণে পাকস্থলীর ক্যান্সারে মলের রঙ গাঢ় বা আলকাতরার মতো হতে পারে। কখনও সূক্ষ্ম পরিবর্তনও দেখা দেয়—যেমন আঠালোভাব বা অস্বাভাবিক দুর্গন্ধ। এগুলো অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

অস্বাভাবিক ঢেকুর

খাওয়ার পর ঢেকুর স্বাভাবিক। কিন্তু ঘন ঘন ঢেকুর তোলা, তার সঙ্গে টক স্বাদ, ধাতব গন্ধ বা বমি হলে তা কেবল গ্যাস নয়, গুরুতর সমস্যারও লক্ষণ হতে পারে। টিউমারের কারণে হজমে বাধা তৈরি হয়ে এমন অস্বস্তি দেখা দেয়।

বিশেষজ্ঞরা মনে করিয়ে দেন, সাধারণ হজমের সমস্যাগুলো যদি বারবার ফিরে আসে বা অস্বাভাবিক রূপ নেয়, তবে তা কেবল অ্যাসিডিটি ভেবে অবহেলা করা উচিত নয়।

এমজে

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত