ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪ আশ্বিন ১৪৩২
প্রানের বৈশ্বিক জয়যাত্রা: মালয়েশিয়ার হালাল মেলায় নতুন দিগন্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান প্রাণ মালয়েশিয়া ইন্টারন্যাশনাল হালাল শোকেস (এমআইএইচএএস) ২০২৫ থেকে ২ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত নতুন অর্ডার পাওয়ার আশা করছে। বর্তমানে কুয়ালালামপুরে চলমান এই প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে অংশ নিয়েছে প্রাণ।
প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এর আগের বছরগুলোতে এই মেলা থেকে প্রাণ স্পট অর্ডারের মাধ্যমে প্রায় ০.৫-১ মিলিয়ন ডলারের ব্যবসা নিশ্চিত করেছিল। মালয়েশিয়া এক্সটার্নাল ট্রেড ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (মাতরাদে) আয়োজিত এই প্রদর্শনী ১৭ থেকে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলছে, যেখানে ৮০টি দেশের ২ হাজার ৪০০-এর বেশি প্রদর্শক অংশ নিচ্ছেন। মেলায় হালাল-প্রত্যয়িত খাদ্য ও পানীয়, ওষুধ, প্রসাধনী এবং মুসলিম-বান্ধব পর্যটনসহ বিভিন্ন পণ্য প্রদর্শিত হচ্ছে।
প্রানের মালয়েশিয়ার একমাত্র পরিবেশক পিয়াকলে ফুডসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম ভূঁইয়া জানান, এমআইএইচএএস বৈশ্বিক হালাল অর্থনীতিতে প্রবেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। তিনি বলেন, "মালয়েশিয়ার বাজারে আমরা যখন প্রথম প্রবেশ করি, তখন বাংলাদেশি ব্র্যান্ড সম্পর্কে মানুষের কোনো ধারণা ছিল না। আমাদের সুপারমার্কেটে তাকের স্থান পেতে ৫ হাজার রিঙ্গিত দিতে হয়েছে। এটি একটি ঝুঁকিপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল, কিন্তু তা সফল হয়েছে। ভোক্তারা আমাদের পণ্য গ্রহণ করেছে এবং আমরা তাদের বিশ্বাস অর্জন করেছি।"
এই বছরের প্রদর্শনীতে প্রাণ তাদের রেডি-টু-কুক আইটেম, জুস, নুডলস, বিস্কুট এবং মসলা জাতীয় পণ্য প্রদর্শন করছে, যা মালয়েশিয়ার ডিপার্টমেন্ট অফ ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট (জেএকেআইএম) দ্বারা হালাল-প্রত্যয়িত। ২০০৪ সালে যাত্রা শুরু করা এমআইএইচএএস বর্তমানে হালাল ব্যবসার একটি প্রধান বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে, যা ২ বিলিয়নেরও বেশি মুসলিম ভোক্তার কাছে পৌঁছানোর সুযোগ করে দেয়। গত ১৪ বছর ধরে প্রাণ এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় তাদের অবস্থান দৃঢ় করেছে।
পিয়াকলে ফুডসের বিক্রয় প্রধান পারভেজ হীরা গণমাধ্যমকে জানান, মালয়েশিয়া একটি হালাল হাব। এখানে সাফল্য অর্জন ইন্দোনেশিয়া, ব্রুনাই এবং এর আশেপাশের বাজারে প্রবেশের পথ খুলে দেয়। একই সঙ্গে, স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও বাংলাদেশি পণ্যের প্রতি আগ্রহী হয়েছেন। কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশি পণ্য বিক্রি করেন এমন একজন উদ্যোক্তা বলেন, “তারা ভাবতেন, বাংলাদেশ একটি নিম্ন আয়ের দেশ, তাদের খাবার কতটা ভালো হতে পারে?' কিন্তু পণ্য ব্যবহার করার পর তাদের ধারণা বদলেছে। পণ্যের মান ভালো এবং দাম অনেক ইউরোপীয় ব্র্যান্ডের চেয়ে সাশ্রয়ী।”
বর্তমানে ১৪৮টি দেশে প্রাণের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে মালয়েশিয়া অন্যতম লাভজনক বাজার। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে শুধুমাত্র মালয়েশিয়ায় খাদ্য ও পানীয় রপ্তানি থেকে প্রাণ প্রায় ৭৫০ কোটি টাকা আয় করেছে। গ্রাহকদের ধারণা পরিবর্তন এবং খাদ্য নিরাপত্তা ও হালাল মান সম্পর্কে ক্রমবর্ধমান সচেতনতা মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি পণ্যের জনপ্রিয়তা বাড়াতে সাহায্য করছে।
এএসএম/
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- লাভেলোর শেয়ার কারসাজি: তিন বিও অ্যাকাউন্টের লেনদেন স্থগিত
- ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড কার্যকারিতায় বিএসইসির নতুন উদ্যোগ
- শেয়ারবাজারে ইতিহাস গড়লেন ‘ছাগল-কাণ্ডের’ সেই মতিউর
- শেয়ারবাজারে হঠাৎ দরপতন, নেপথ্যে এনবিআরের চিঠি
- একাদশে ভর্তি: চতুর্থ ধাপে আবেদনের সুযোগ
- শেয়ারবাজারে প্রতারণা ঠেকাতে মাঠে নামছে গোয়েন্দা সংস্থা
- ডিভিডেন্ড বৃদ্ধির আলোচনায় জ্বালানি খাতের ১১ কোম্পানি
- মালিকানায় পরিবর্তন আসছে ইয়াকিন পলিমারের
- বিনিয়োগকারীদের সচেতন করতে টিভি স্ক্রলে বিশেষ বার্তা
- ২৪ সেপ্টেম্বর ডুয়া’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী, থাকবে নানা আয়োজন
- এক শেয়ারের জোরেই সবুজে ফিরল শেয়ারবাজার
- ডিভিডেন্ড দোলাচলে তথ্যপ্রযুক্তির ৮ কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- সোনালী পেপারের কারসাজিতে জেনেক্স ইনফোসিসের পরিচালকদের জরিমানা
- চার কোম্পানির আর্থিক অনিয়মের দায়ে নিষিদ্ধ হচ্ছে ৬ নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান
- শেয়ার কারসাজিতে শ্যালক–দুলাভাইর দেড় কোটি টাকা জরিমানা