ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

কোরআন ও হাদিসের আলোকে গিবতের ভয়াবহতা

২০২৫ সেপ্টেম্বর ১০ ১৬:৫৫:১৬

কোরআন ও হাদিসের আলোকে গিবতের ভয়াবহতা

লাইফস্টাইল ডেস্ক: ইসলামে গিবত বা পরনিন্দাকে অত্যন্ত গুরুতর গুনাহ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি শুধু বলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, কারও অনুপস্থিতিতে তার দোষ বা অপছন্দের বিষয় অন্যের সঙ্গে শেয়ার করাও সমান অপরাধ।

কোরআনে আল্লাহ তাআলা স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছেন, ‘তোমরা একে অপরের দোষ অনুসন্ধান করো না এবং কেউ কারও গিবত করো না।’ (সুরা হুজুরাত: ১২)

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘গিবত হলো তোমার ভাই সম্পর্কে এমন কিছু বলা, যা সে অপছন্দ করে। যদি এটি সত্যি হয়, তবে তা গিবত; মিথ্যা হলে তা অপবাদ।’ (সহিহ্ মুসলিম)

গিবতকারীদের জন্য কঠিন শাস্তি নির্ধারিত। হাদিসে বর্ণিত, মিরাজে নবী (সা.) দেখেছেন, কিছু মানুষ যারা তামার নখ দিয়ে মুখ ও বক্ষ বিদ্ধ করছিলেন; ফেরেশতা জিবরাইল (আ.) জানান, তারা পৃথিবীতে মানুষের গিবত ও চোগলখোরি করতেন। (সুনানে আবু দাউদ)

গিবতের মারাত্মকতা ব্যভিচারের চেয়ে বেশি। কারণ, ব্যভিচারী তওবা করলে আল্লাহ ক্ষমা করেন, কিন্তু গিবতকারীর জন্য ক্ষমা অর্জনের শর্ত হলো, যার গিবত করা হয়েছে তার কাছ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করা। নইলে আল্লাহ ক্ষমা করবেন না। হাদিসে এসেছে, ‘গিবতকারীরা কিয়ামতের দিন জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবেন এবং তাদের পচা মাংস খেতে দেওয়া হবে।’ (সহিহ্ বুখারি)

শুধু গিবত বলা নয়, শোনা বা সহায়তা করাও সমান অপরাধ। মুসলমানের দায়িত্ব হলো গিবত থেকে বিরত থাকা, অন্যকে গিবত না করতে অনুপ্রাণিত করা এবং ভুল হয়ে গেলে যার গিবত করা হয়েছে তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা। একটি গিবত মানুষকে জান্নাত থেকে বঞ্চিত করতে পারে এবং জাহান্নামের দিকে ঠেলে দিতে পারে।

এমজে

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত