ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২

বিক্ষোভে স্বার্থান্বেষী মহল ঢুকে পড়েছে: নেপালের প্রধানমন্ত্রী

২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৯ ১৩:০১:১৫

বিক্ষোভে স্বার্থান্বেষী মহল ঢুকে পড়েছে: নেপালের প্রধানমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি বলেছেন, রাজধানীতে চলমান বিক্ষোভে বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী মহল প্রবেশ করেছে এবং আন্দোলনের নামে নাশকতা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ চালাচ্ছে। তিনি সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতের মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠকের পর টেলিভিশনে প্রদর্শিত এক ভাষণে এ মন্তব্য করেন। পাশাপাশি তিনি কাঠমান্ডুতে গতকাল সংঘর্ষে নিহত ২০ জন এবং আহত শতাধিক মানুষকে স্মরণ করে শোক প্রকাশ করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী অলি বলেন, “সরকার দাবির প্রতি সংবেদনশীল। যদি আন্দোলনের সংগঠকরা সত্যিই শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন পরিচালনা করতেন এবং ঘরে ফিরে যাওয়ার আহ্বান মানতেন, তাহলে সহিংসতা ও লুটপাট কমত। কিন্তু আমরা দেখছি, প্রতিবাদ কর্মসূচি সফল ঘোষণা করা হলেও সহিংসতা কমছে না।”

গত বছর নেপালের সুপ্রিম কোর্ট সক্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলিকে সরকারিভাবে নিবন্ধনের নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী অলি নেতৃত্বাধীন সরকার ২৮ আগস্ট থেকে ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিবন্ধনের সময়সীমা বেঁধেছিলেন। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনো নিবন্ধন না হওয়ায় ৪ সেপ্টেম্বর থেকে ফেসবুক, এক্স, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউবসহ ২৬টি প্ল্যাটফর্মে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।

সরকারের এই পদক্ষেপ শিক্ষার্থী ও তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি করে। জেন জেড প্রজন্মের তরুণরা ৪ সেপ্টেম্বর থেকেই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। রবিবার থেকে আন্দোলন শুরু হয় এবং সোমবার তা রাজধানী কাঠমান্ডুতে রীতিমতো উত্তাল হয়ে ওঠে। কারফিউ অমান্য করে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ বিক্ষোভে নেমে আসে। শুরুতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি থাকলেও আন্দোলন দ্রুত সরকারবিরোধী রূপ নেয়।

বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের ফলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখক পদত্যাগ করেছেন। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী অলি ও তাঁর সরকারেরও পদত্যাগের দাবি উঠতে থাকে। সোমবার রাতে মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠকে ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আন্দোলনকারীদের শান্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, “সরকার কখনোই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিরোধী ছিল না, এখনো নয়। আমরা কেবল চাইছি এগুলো নেপালের আইন ও সার্বভৌমত্ব অনুযায়ী পরিচালিত হোক। যারা নিহত ও আহত হয়েছেন, তাদের জন্য আমার গভীর সমবেদনা ও পরিবারের প্রতি সহানুভূতি রইল।”

এমজে

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

সর্বোচ্চ পঠিত