ঢাকা, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১ ভাদ্র ১৪৩২

জুমার নামাজ না পেলে যা করণীয়

২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৫ ১১:২৯:০৭

জুমার নামাজ না পেলে যা করণীয়

নিজস্ব প্রতিবেদক: সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন হিসেবে বিবেচিত জুমার দিনে বিশেষ ফজিলত ও গুরুত্ব রয়েছে। পবিত্র কোরআনে মুমিনদের জুমার আজানের পর আল্লাহর স্মরণের দিকে দ্রুত ধাবিত হতে বলা হয়েছে এবং ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই উম্মতের জন্য জুমার দিন বিশেষভাবে মর্যাদাপূর্ণ এবং আল্লাহ এই দিনে বান্দাদের ক্ষমা করেন।

শুক্রবারে জোহরের নামাজের পরিবর্তে জুমার নামাজকে ফরজ করা হয়েছে। জুমার দুই রাকাত ফরজ নামাজ ও ইমামের খুতবা জোহরের চার রাকাত ফরজ নামাজের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে গণ্য। হাদিসে প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক মুসলিমের জন্য জুমার নামাজ আদায় করা ওয়াজিব বা অপরিহার্য কর্তব্য বলে উল্লেখ করা হয়েছে (নাসাঈ)।

জুমার নামাজ ছেড়ে দেওয়াকে মারাত্মক অপরাধ এবং আল্লাহর বিধানের লঙ্ঘন হিসেবে দেখা হয়। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, "যে ব্যক্তি অবহেলা ও অলসতা করে পর পর তিন জুমা নামাজ ছেড়ে দেবে, মহান আল্লাহ তার অন্তরে মোহর মেরে দেবেন" (আবু দাউদ)।

তবে, কোনো ব্যক্তি যদি জুমার দিন কোনো কারণে জুমার নামাজ না পান বা মসজিদে গিয়ে দেখেন যে জুমার নামাজ শেষ হয়ে গেছে, তাহলে তাকে জোহরের ৪ রাকাত নামাজ পড়ে নিতে হবে। এর কারণ হলো, জামাত ছাড়া একা একা জুমা নামাজ পড়া যায় না। জুমার নামাজ বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য ইমাম ছাড়া কমপক্ষে তিনজন উপস্থিত থাকতে হয়।

হজরত ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, "যে ব্যক্তি জুমার এক রাকাত পেয়ে যায়, সে ব্যক্তি যেন আর এক রাকাত পড়ে নেয়। কিন্তু যে (দ্বিতীয় রাকাতের) রুকু না পায়, সে যেন জোহরের ৪ রাকাত পড়ে নেয়" (তাবারানি, বায়হাকি, মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা)।

সুতরাং, কেউ যদি জুমার নামাজ না পান, তাহলে তাকে জোহরের ৪ রাকাত ফরজ এবং এর সঙ্গে জোহরের সুন্নত নামাজও আদায় করতে হবে।

এসপি

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

সর্বোচ্চ পঠিত