ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০ ভাদ্র ১৪৩২

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফের বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে

২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৪ ২১:৪৪:৫৯

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফের বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে

যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও এক দফা বাংলাদেশি নাগরিক ফেরত পাঠানো হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাতের একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে তাদের দেশে আসার কথা থাকলেও, ফিরতি নাগরিকের সংখ্যা আনুমানিক ৩৫ জন হতে পারে। বাংলাদেশ সরকার এই বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং পুলিশের বিশেষ শাখাকে (এসবি) অবহিত করেছে।

এর আগে ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ নেওয়ার পর ২৯ জানুয়ারি একটি নির্বাহী আদেশে দেশটিতে অবৈধভাবে অবস্থানরত বিদেশি নাগরিকদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। ভারত, ব্রাজিলসহ অন্যান্য দেশের নাগরিকদের হাতকড়া পরিয়ে ফেরত পাঠানোয় মানবাধিকার কর্মীরা প্রশ্ন তোলেন। শুরুর দিকে বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানো হয়েছিল মানবাধিকারের সীমার মধ্যে রেখে, তবে ২ আগস্ট একটি সামরিক উড়োজাহাজে ৩৯ জনকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। তাদের মধ্যে একজন নারীও ছিলেন।

ফেরত আসা নাগরিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় ৬০ ঘণ্টা দীর্ঘ যাত্রার পর তারা দেশে পৌঁছান। ফ্লাইটে তাদের হাতকড়া ও শিকল দেওয়া হয়েছিল। কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং ঢাকায় পৌঁছানোর পর অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। এর আগে বিভিন্ন সময়ে ১৫৭ জন বাংলাদেশি নাগরিককে ফেরত পাঠানো হয়েছিল এবার ৩৫ জন ফেরালে এই সংখ্যা দাঁড়াবে ১৯২ জনে।

ইমিগ্রেশন পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা নাগরিকদের পরিচয় যাচাই-বাছাই করে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ফেরত আসার পর সাধারণ ডায়েরি করা হয় এবং মানসিকভাবে ভেঙে পড়া অনেককে কাউন্সিলিং দেওয়া হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি সরকারি দপ্তর অবৈধ অভিবাসীদের বিষয়টি তদারক করে থাকে, যেগুলো হলো: অফিস অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি, ইউএস কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রটেকশন এবং ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট।

গত ৮ জুন একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে ৪২ বাংলাদেশি ফেরত এসেছিল। তাঁদের মধ্যে ১৬ জনের পূর্ণাঙ্গ পরিচয় যাচাইয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। একজন ইতিমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে মামলায় হেরেছিলেন, আরেকজন আলাদা মামলায় সাজা ভোগ করেছিলেন। সবাইকে অনিয়মিত অভিবাসী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছিল।

ব্র্যাকের সহযোগী পরিচালক (মাইগ্রেশন ও ইয়ুথ প্ল্যাটফর্ম) শরিফুল হাসান বলেন, হাতকড়া ও শিকল পরিয়ে ফেরত পাঠানো অত্যন্ত অমানবিক। আমরা চাই এ ধরনের প্রক্রিয়া আর না ঘটে। আশা করি, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের অনুরোধ গ্রহণ করবে।

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

সর্বোচ্চ পঠিত