ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২
জেনে নিন পিরিয়ডে কোন আমলগুলো করা সম্ভব
.jpg)
ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা, যা মানবজীবনের প্রতিটি ধাপের জন্য সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়েছে। নারীদের জন্য পিরিয়ড একটি স্বাভাবিক জৈবিক প্রক্রিয়া। এ সময়ে তাদের শারীরিক কিছু পরিবর্তনের কারণে কয়েকটি ইবাদত সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়। অনেকেই এই সময়টিতে কী করা উচিত এবং কী করা অনুচিত, তা নিয়ে দ্বিধায় ভোগেন। নিচে এ বিষয়ে শরিয়তসম্মত ও সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হলো।
পিরিয়ড অবস্থায় যেসব ইবাদত বর্জনীয়পিরিয়ড চলাকালীন কিছু ইবাদত থেকে নারীদের বিরত থাকতে হয়। এগুলো হলো:
নামাজ: এই সময়ে ফরজ, সুন্নত বা নফল—কোনো ধরনের নামাজই আদায় করা জায়েজ নয়। তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এই সময়ের ছুটে যাওয়া নামাজগুলো পরে কাজা করতে হয় না।
রোজা: রমজান মাসসহ যেকোনো ফরজ রোজা পিরিয়ড চলাকালীন রাখা যাবে না। তবে এই রোজাগুলো পিরিয়ড শেষ হওয়ার পর কাজা করে নিতে হবে।
কুরআন তেলাওয়াত: বেশিরভাগ আলেমের মতে, পবিত্রতা ছাড়া সরাসরি মুসহাফ (কুরআনের মূল কপি) স্পর্শ করে কুরআন তেলাওয়াত করা জায়েজ নয়। তবে মুখস্থ আয়াতগুলো দোয়া বা জিকির হিসেবে পাঠ করা যেতে পারে।
তাওয়াফ: কাবা শরিফের চারপাশে তাওয়াফ করার জন্য পবিত্রতা একটি শর্ত। তাই পিরিয়ড চলাকালীন তাওয়াফ করা জায়েজ নয়।
পিরিয়ডে বৈধ যেসব ইবাদত ও আমলপিরিয়ড চলাকালীন কিছু ইবাদত থেকে বিরত থাকতে হলেও, অনেক গুরুত্বপূর্ণ আমল করার সুযোগ থাকে। এগুলো হলো:
জিকির ও তাসবিহ: এই সময়ে সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ—এসব জিকির যেকোনো অবস্থায় করা যায়।
দোয়া: দৈনন্দিন জীবনের সব দোয়া, যেমন—খাওয়া, ঘুম, ভ্রমণ ইত্যাদি, করা বৈধ। এমনকি মনের ভেতর থেকে আল্লাহর কাছে যা কিছু চাওয়ার আছে, তা সবই দোয়া হিসেবে পেশ করা যায়।
দরুদ শরিফ: হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রতি দরুদ পাঠ করা সর্বাবস্থায় বৈধ এবং এর রয়েছে বিশেষ ফজিলত।
ইস্তেগফার ও তাওবা: আস্তাগফিরুল্লাহ বা আস্তাগফিরুল্লাহাল আজিম ওয়া আতুবু ইলাইহ পাঠের মাধ্যমে ক্ষমা চাওয়া অত্যন্ত প্রশংসনীয় কাজ।
ইসলামী জ্ঞানচর্চা: কুরআনের তাফসির, হাদিস, ইসলামী বই-পুস্তক পড়া, লেকচার ও বয়ান শোনা—এসব আমল এই সময়ে করা যায় এবং এটি ইবাদতের একটি অংশ।
পিরিয়ডে বিশেষ কিছু আমলএই সময়ে আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য কিছু বিশেষ আমল করা যেতে পারে:
দোয়া ইউনুস: আল্লাহর কাছে ক্ষমা ও সাহায্য চাওয়ার জন্য হযরত ইউনুস (আ.)-এর দোয়া (لَا إِلَٰهَ إِلَّا أَنْتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِين) পাঠ করা যেতে পারে।
ইস্তেগফার: বারবার ইস্তেগফার পাঠ করা আত্মশুদ্ধি, মানসিক প্রশান্তি এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে সহায়তা করে।
দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ কামনা: রাব্বানা আতিনা ফিদ্ দুনিয়া হাসানাহ, ওয়া ফিল আখিরাতি হাসানাহ, ওয়া কিনা আজাবান নার (সুরা বাকারা: ২০১) এই দোয়া পাঠ করে দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ চাওয়া যায়।
পিরিয়ডকে ইবাদতহীন সময় হিসেবে না ভেবে, এটিকে আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করার একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করা উচিত। জিকির, দোয়া ও জ্ঞানচর্চার মাধ্যমে এই সময়টিকে ফলপ্রসূ করে তোলা সম্ভব।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- তিন কোম্পানির কারখানা বন্ধ, ক্ষোভ বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের
- আইসিবি’র বিশেষ তহবিলের মেয়াদ ২০৩২ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধি
- কেয়া কসমেটিক্সের ৮ হাজার কোটি টাকা উধাও, চার ব্যাংককে তলব
- সম্ভাবনার নতুন দিগন্তে শেয়ারবাজারের খান ব্রাদার্স
- ব্লুমবার্গের টেকসই তালিকায় বাংলাদেশের ১১ তালিকাভুক্ত কোম্পানি
- মূলধন ঘাটতিতে দুই ব্রোকারেজ হাউজ, ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
- দুই খবরে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ শেয়ারের চমক
- চলতি বছর শেয়ারবাজারে আসছে রাষ্ট্রায়াত্ব দুই প্রতিষ্ঠান
- সাকিবের মোনার্কসহ ৮ ব্রোকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
- ২৩ আগস্ট : শেয়ারবাজারের সেরা ৮ খবর
- হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে প্রতারণা, বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করল ডিএসই
- বিএসইসির নতুন মার্জিন বিধিমালার খসড়া অনুমোদন
- কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা
- বিমা আইন সংস্কার: বিনিয়োগ ও আস্থায় নতুন দিগন্ত
- শেয়ারবাজারের জন্য সুখবর: কমছে ট্রেজারি বিল ও বন্ডের সুদ