ঢাকা, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

কাদের অ্যাপেন্ডিসাইটিস হওয়ার ঝুঁকি বেশি?

২০২৫ আগস্ট ২০ ২১:২৯:৩১

কাদের অ্যাপেন্ডিসাইটিস হওয়ার ঝুঁকি বেশি?

পেটে তীব্র ব্যথা অনুভূত হলে তাকে সাধারণ সমস্যা ভেবে অবহেলা করা উচিত নয়, কারণ এটি হতে পারে অ্যাপেন্ডিসাইটিসের লক্ষণ। অ্যাপেন্ডিসাইটিস একটি জরুরি স্বাস্থ্য সমস্যা, যেখানে সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করালে জীবনহানি পর্যন্ত ঘটতে পারে। এর একমাত্র সমাধান হলো অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে অ্যাপেন্ডিক্স অপসারণ করা।

অ্যাপেন্ডিসাইটিস কী এবং কেন হয়?আমাদের বৃহদান্ত্রের সঙ্গে যুক্ত আঙুলের মতো একটি ছোট থলের নাম অ্যাপেন্ডিক্স। কোনো কারণে এতে সংক্রমণ বা প্রদাহ হলে তাকে অ্যাপেন্ডিসাইটিস বলা হয়। জন হপকিন্স মেডিসিনের তথ্যমতে, অ্যাপেন্ডিক্সের ভেতরের পথে কোনো প্রতিবন্ধকতা তৈরি হলে, যেমন— মল আটকে গেলে, ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের সংক্রমণ হলে কিংবা টিউমারের কারণে এটি ফুলে ওঠে এবং রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে তীব্র ব্যথা শুরু হয়।

ঝুঁকি ও জটিলতাঅ্যাপেন্ডিক্স ফুলে গেলে এটি ফেটে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। ফেটে গেলে এর ভেতর থেকে মল, ব্যাকটেরিয়া ও অন্যান্য বর্জ্য পেটের ভেতরে ছড়িয়ে পড়ে ‘পেরিটোনাইটিস’ নামক মারাত্মক সংক্রমণ তৈরি করতে পারে, যা রোগীর জীবনের জন্য হুমকি।

কারা বেশি ঝুঁকিতে?মায়ো ক্লিনিকের মতে, অ্যাপেন্ডিসাইটিস যেকোনো বয়সেই হতে পারে, তবে ১০ থেকে ৩০ বছর বয়সীদের মধ্যে এর ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। এছাড়া, পারিবারিক ইতিহাসে এই রোগ থাকলে, বিশেষ করে পুরুষদের ক্ষেত্রে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।

অ্যাপেন্ডিসাইটিসের প্রধান লক্ষণগুলো:১. তলপেটে তীব্র ব্যথা: সাধারণত নাভির চারপাশ থেকে ব্যথা শুরু হয়ে পরে তলপেটের ডান দিকে স্থায়ী হয়। নড়াচড়া, কাশি বা শ্বাস নিলেও ব্যথা বাড়ে।২. পেট ফোলা ও গ্যাস: পেট ফাঁপা লাগে এবং গ্যাস নির্গত হতে সমস্যা হয়।৩. বমি ও কোষ্ঠকাঠিন্য: বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়।৪. জ্বর: কাঁপুনি দিয়ে হালকা জ্বর আসতে পারে।৫. খাবারে অরুচি: খাওয়ার ইচ্ছা চলে যায়।

করণীয়বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে ব্যথানাশক ওষুধ না খেয়ে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ প্রাথমিক অবস্থায় একে সাধারণ পেটব্যথা মনে করে অবহেলা করলে পরিস্থিতি জটিল হতে পারে।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত