ঢাকা, শনিবার, ১৬ আগস্ট ২০২৫, ১ ভাদ্র ১৪৩২
বিএনপি বিভাজনের রাজনীতি করে না: খসরু
.jpg)
বিএনপি বিভাজনের রাজনীতি করে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। সব ধর্মের ও বর্ণের মানুষকে নিয়ে সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তুলবে বিএনপি। বিভাজন নয়, সবাই মিলে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে বলেও জানান তিনি।
শনিবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের জে এম সেন হল প্রাঙ্গণে জন্মাষ্টমীর মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সমাজে যখন কোনো মহামানবের আবির্ভাব ঘটে, তিনি সকলের কল্যাণে কাজ করেন। বিশ্বের শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্যই তারা জন্ম নেন, আর তাদের মঙ্গলময় কর্মকাণ্ড মানবজাতির জন্য আশীর্বাদ হয়ে আসে। ঠিক তেমনভাবেই দ্বাপরযুগে শ্রীকৃষ্ণ অন্যায়-অবিচার দূর করতে জন্ম নিয়েছিলেন। কংসসহ বহু অসুরকে বধ করে তিনি সমাজে শান্তি ফিরিয়ে আনেন। বর্তমানে বিশ্বের অনেক দেশে যুদ্ধ, সংঘাত ও সহিংসতা চলছে, মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে এ সময় সবার মধ্যে সহনশীলতা অপরিহার্য। অথচ যারা মানুষ হত্যা ও সহিংসতা চালায়, তারা কখনো ধর্মের, কখনো বর্ণের, আবার কখনো সংস্কৃতির অজুহাত তুলে নিজেদের কর্মকাণ্ডকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করে।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমাকে অসাম্প্রদায়িক বলা হয় কিন্তু কেন? আমাদের সংবিধান তো স্পষ্টভাবে সব নাগরিকের সমান অধিকারের কথা বলেছে। তাহলে আলাদা করে অসাম্প্রদায়িক বলতে হবে কেন? এর মানে কোথাও না কোথাও গলদ আছে।
খসরু বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান মানলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অসাম্প্রদায়িক হতে হবে, কারণ সংবিধানেই এই চেতনা স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। তাই মুখে অসাম্প্রদায়িকতার কথা বললেই হবে না প্রকৃত অসাম্প্রদায়িক হলে দেশে কোনো হানাহানি থাকবে না। একইভাবে আমি ‘সংখ্যালঘু’ শব্দও মানি না। আমরা সবাই বাংলাদেশি, আর বাংলাদেশি হিসেবে সবার সমান অধিকার নিশ্চিত করা যে কোনো সরকারের দায়িত্ব।
তিনি বলেন, আমরা সামগ্রিকভাবে একটি জাতি, একটি দেশ ও একটি সমাজ। যারা সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে, তারা ইতিহাসে বারবার পরাজিত হয়েছে এবং আবারও নতুনভাবে শুরু করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু এদেশের সাধারণ মানুষ মনেপ্রাণে সাম্প্রদায়িকতাকে ঘৃণা করে।
তিনি আরও বলেন, আজকের বাংলাদেশে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি। মানুষের মধ্যে নানা দাবি ও প্রত্যাশা জন্ম নিয়েছে। নতুন বাংলাদেশ গড়তে হলে কোনো বিভাজন করা যাবে না। দেশে সবার ধর্ম ও সংস্কৃতি থাকবে, সবাই নিজ নিজ ধর্মীয় উৎসব পালন করবে এটি গণতন্ত্র ও সংবিধানের সঙ্গে কখনো সাংঘর্ষিক হতে পারে না। জাতি ও রাজনীতিবিদ হিসেবে আমাদের সহনশীল হতে হবে। যেমন ধর্মের ভিন্নতা থাকে, তেমনি রাজনৈতিক মতপার্থক্যও থাকবে। কিন্তু দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে সবাইকে একত্র হতে হবে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- হলে ঢাবি ছাত্রীর হঠাৎ অসুস্থতা, হাসপাতালে মৃত্যু
- মার্জিন ঋণে মিউচুয়াল ফান্ড ও বন্ডে বিনিয়োগ করা যাবে না
- ‘পদত্যাগ করতে পারেন ড. ইউনূস’
- শেয়ারবাজারের ৬ ব্যাংকের রেকর্ড মুনাফা, ৫ ব্যাংকের লোকসান
- ঢাবির হলে 'গাঁ’জার আসর', চার শিক্ষার্থীকে আটক
- ১২ আগস্ট : শেয়ারবাজারের সেরা ৯ খবর
- মার্জিন ঋণ নিয়ে গুজব: ফের অস্থির শেয়ারবাজার
- ডিএসইর সতর্কবার্তার জালে দুর্বল দুই কোম্পানির শেয়ার
- দুই কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- সামিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র কিনছে আরব আমিরাতের কোম্পানি
- বেক্সিমকো-বেক্সিমকো ফার্মাসহ চার ব্যক্তি-এক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা-সতর্ক
- বেসরকারি হাসপাতাল মালিকদের নতুন কমিটির অভিষেক শনিবার
- বিদেশি বিনিয়োগকারীদের পছন্দের শীর্ষে পাঁচ শেয়ার
- বিসিএসে স্বতন্ত্র বিভাগে অন্য বিভাগ অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ