ঢাকা, শনিবার, ১৬ আগস্ট ২০২৫, ১ ভাদ্র ১৪৩২
শেয়ারবাজারে আকর্ষণ হারাচ্ছে অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড (এটিবি) চালু হওয়ার আড়াই বছর পার হলেও কাঙ্ক্ষিত উদ্যোক্তাদের আকর্ষণ করতে ব্যর্থ হচ্ছে। বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, মূলত শেয়ারের মূল্য নির্ধারণের কঠোর নিয়ম এবং লেনদেন সীমাবদ্ধতাই প্রধান প্রতিবন্ধকতা।
এটিবি মূলত অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানি, বন্ড, সুকুক, ওপেন-এন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের শেয়ার লেনদেনের জন্য তৈরি করা হয়। তবে এখানে কোনো কোম্পানি সরাসরি জনসাধারণের কাছে শেয়ার ইস্যু করে মূলধন সংগ্রহ করতে পারে না। স্পন্সর বা বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডাররা কেবল পরিশোধিত মূলধনের ৪৯ শতাংশ পর্যন্ত শেয়ার বিক্রি করতে পারেন।
শেয়ারের মূল্য নির্ধারণে কড়াকড়ি
এটিবির বড় সমস্যা হলো শেয়ারের মূল্য নির্ধারণের নিয়ম। বিদ্যমান নিয়ম অনুযায়ী কোনো কোম্পানি তার নিট সম্পদ মূল্যের (এনএভি) চেয়ে ৩০ শতাংশ বেশি দামে শেয়ার বিক্রি করতে পারে না। অনেক কোম্পানি এই নিয়মকে ‘অন্যায়’ মনে করছে।
শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বলছে, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার্থে কারসাজি ঠেকাতে এই সীমা আরোপ করা হয়েছে। তবে বাস্তবে অনেক বেসরকারি কোম্পানি এনএভি-এর চেয়ে অনেক বেশি দামে শেয়ার বিক্রি করেছে।
তারল্য সংকট ও লেনদেনের সীমাবদ্ধতা
এটিবিতে শেয়ারের সরবরাহ কম থাকায় চাহিদাও সীমিত। তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজগুলোর লেনদেনও খুব কম, যা তারল্য সংকট সৃষ্টি করছে এবং বিনিয়োগকারীদের অনুৎসাহিত করছে। পূর্বে এটিবিতে শেয়ার কেনার তিন মাসের মধ্যে লাভ হলে সেই অর্থ স্টক এক্সচেঞ্জের বিনিয়োগ সুরক্ষা তহবিলে জমা হতো। ২০২৪ সালের মে মাসে এই নিয়ম তুলে নেওয়া হয়েছে। তবু এটিবিতে দৈনিক লেনদেন ১০ লাখ টাকারও কম এবং অনেক দিন লেনদেন শূন্য থাকে।
প্রচারের অভাব
এটিবির ব্যর্থতার আরেকটি কারণ হলো প্রচারের অভাব। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এটিবিকে জনপ্রিয় করার জন্য ডিএসই এবং বিএসইসি-এর বড় উদ্যোগ প্রয়োজন। অনেক সফল উদ্যোক্তা এখনও এই প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে অবগত নন। প্রচারের ঘাটতি থাকায় বিনিয়োগকারীরা এটিবির সুবিধা সম্পর্কে জানেন না।
তবে এটিবিতে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে ত্রৈমাসিক আর্থিক বিবরণী বা শক্তিশালী কর্পোরেট গভর্নেন্স কোড মানতে হয় না। তাই এটি ছোট ও সম্ভাবনাময় কোম্পানিগুলোর জন্য ভালো প্ল্যাটফর্ম হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যদি এটিবি সক্রিয় হয়, তবে এটি অ্যাঞ্জেল ইনভেস্টর এবং স্টার্টআপদের জন্য একটি কার্যকর নিষ্ক্রমণ পথ হিসেবে কাজ করবে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- হলে ঢাবি ছাত্রীর হঠাৎ অসুস্থতা, হাসপাতালে মৃত্যু
- ডিভিডেন্ড দিতে পারছে না বস্ত্র খাতের ১৩ কোম্পানি
- মার্জিন ঋণে মিউচুয়াল ফান্ড ও বন্ডে বিনিয়োগ করা যাবে না
- ‘পদত্যাগ করতে পারেন ড. ইউনূস’
- শেয়ারবাজারের ৬ ব্যাংকের রেকর্ড মুনাফা, ৫ ব্যাংকের লোকসান
- ঢাবির হলে 'গাঁ’জার আসর', চার শিক্ষার্থীকে আটক
- ১২ আগস্ট : শেয়ারবাজারের সেরা ৯ খবর
- মার্জিন ঋণ নিয়ে গুজব: ফের অস্থির শেয়ারবাজার
- ডিএসইর সতর্কবার্তার জালে দুর্বল দুই কোম্পানির শেয়ার
- দুই কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- সামিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র কিনছে আরব আমিরাতের কোম্পানি
- বেক্সিমকো-বেক্সিমকো ফার্মাসহ চার ব্যক্তি-এক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা-সতর্ক
- বেসরকারি হাসপাতাল মালিকদের নতুন কমিটির অভিষেক শনিবার
- বিসিএসে স্বতন্ত্র বিভাগে অন্য বিভাগ অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ