ঢাকা, রবিবার, ১৭ আগস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২

ফার্মা খাতে ক্যাশ ফ্লো কমেছে ১৪ কোম্পানির

ডুয়া নিউজ- শেয়ারবাজার
২০২৫ আগস্ট ১৬ ১৪:২৮:৫৭
ফার্মা খাতে ক্যাশ ফ্লো কমেছে ১৪ কোম্পানির

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ঔষধ এবং রসায়ন খাতের ৩৪টি কোম্পানির মধ্যে জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) নয় মাসে কার্যকরি নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) বা ক্যাশ ফ্লো কমেছে ১৪টি কোম্পানির এবং বেড়েছে ১৪টির। ৫টি কোম্পানি ক্যাশ ফ্লো প্রকাশ করেনি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

ক্যাশ ফ্লো কমে যাওয়া ১৪ কোম্পানির তথ্য নিচে তুলে ধরা হলো-

এসিআই ফর্মুলেশন: তিন প্রান্তিকে বা নয় মাসে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ৫৩ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ৮ টাকা ৬৫ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো কমেছে ৫ টাকা ১২ পয়সা।

অ্যাডভেন্ট ফার্মা: অর্থবছরের নয় মাসে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৮৯ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ১ টাকা ৭৪ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো কমেছে ৮৫ পয়সা।

অ্যাম্বি ফার্মাসিউটিক্যালস: অর্থবছরের নয় মাসে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৫ টাকা ৫৯ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ১২ টাকা ২১ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো কমেছে ৬ টাকা ৫২ পয়সা।

এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ: অর্থবছরের নয় মাসে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৭৩ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ২ টাকা ০৬ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো কমেছে ০ টাকা ৩৩ পয়সা।

বীকন ফার্মাসিউটিক্যাল: অর্থবছরের নয় মাসে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৫ টাকা ৪৫ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ৭ টাকা ৩৮ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো কমেছে ১ টাকা ৯৩ পয়সা।

গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালস: অর্থবছরের নয় মাসে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৩০ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ২ টাকা ৮৭ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো কমেছে ২ টাকা ৫৭ পয়সা।

ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস: অর্থবছরের নয় মাসে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ২ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ১৯ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো কমেছে ১৭ পয়সা।

জেএমআই হাসপাতাল: অর্থবছরের নয় মাসে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৭৫ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ১টাকা ৮২ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো কমেছে ১টাকা ৭ পয়সা।

জে এম আই সিরিঞ্জেস অ্যান্ড মেডিকেল: অর্থবছরের নয় মাসে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ৬৭ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ৩ টাকা ৩৮ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো কমেছে ৭১ পয়সা।

ম্যারিকো বাংলাদেশ: অর্থবছরের নয় মাসে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৮৮ টাকা ৩৫ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ১৪৩ টাকা ১৫ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো কমেছে ৫৪ টাকা ৮ পয়সা।

ওরিয়ন ইনফিউশন: অর্থবছরের নয় মাসে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৭৫ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ৩ টাকা ৪৫ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো কমেছে ২ টাকা ৭ পয়সা।

ফার্মা এইডস: অর্থবছরের নয় মাসে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ৫ টাকা ৫৮ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ১২ টাকা ৮১ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো কমেছে ৭ টাকা ২৩ পয়সা।

স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল: অর্থবছরের নয় মাসে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৯০ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ১৭ টাকা ৩২ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো কমেছে ৫ টাকা ৪২ পয়সা।

ওয়াটা কেমিক্যাল: অর্থবছরের নয় মাসে (জুলাই’২৪-মার্চ’২৫) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ১৫ পয়সা। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল ২ টাকা ৯৪ পয়সা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো কমেছে ২ টাকা ৭৯ পয়সা।

কোনো প্রতিষ্ঠানের ক্যাশ ফ্লো কমে গেলে তা আর্থিক চাপে পড়ার সংকেত দেয়। নগদ প্রবাহ দুর্বল হলে প্রতিষ্ঠানকে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যয় মেটাতে বা ঋণ পরিষোধে সমস্যা দেখা দিতে পারে। একই সঙ্গে নতুন বিনিয়োগ বা সম্প্রসারণ পরিকল্পনা স্থগিত হয়ে যেতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে ক্যাশ ফ্লো কমে গেলে কোম্পানির ক্যাশ ডিভিডেন্ড প্রদানের সক্ষমতাও হ্রাস পায়, যা বিনিয়োগকারীদের আস্থায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত