ঢাকা, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২
এবার ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তির দেশ

রাশিয়া ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। শুক্রবার তিনি মন্তব্য করেন যে, একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই ইসরাইলসহ সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যের চলমান সংকটের স্থায়ী সমাধান সম্ভব। রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, "ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের মাধ্যমেই ইসরাইলের পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্য সংকটের সমাধান সম্ভব।" তার এই বক্তব্য এমন এক সময়ে এলো যখন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ঘোষণা দিয়েছেন যে, আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফ্রান্স আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে।
পেসকভ সাংবাদিকদের বলেন, "রাশিয়া সব সময়ই ফিলিস্তিন সমস্যার সমাধানের ভিত্তি হিসেবে দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের পক্ষে ছিল।"
মস্কো ১৯৮৮ সালেই ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার ঘোষণাকে সমর্থন জানিয়ে স্বীকৃতি দিয়েছিল। পেসকভের মতে, কেবল জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবনাগুলো মেনে চলার মাধ্যমেই এই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একাধিক প্রস্তাবে পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ইসরাইলি দখলদারত্বকে অবৈধ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে এবং গাজায় যুদ্ধবিরতিসহ ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হয়েছে।
এদিকে, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির ওপর চাপ ক্রমশ বাড়ছে। এই দাবিতে দেশটির নয়টি রাজনৈতিক দলের ২২০ জন সংসদ সদস্য (এমপি) প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন, যা ব্রিটিশ পার্লামেন্টের মোট এমপির এক-তৃতীয়াংশের বেশি। এসব এমপির অধিকাংশই লেবার পার্টির সদস্য। তারা চিঠিতে যুক্তি দেখিয়েছেন যে, ফিলিস্তিনকে যুক্তরাজ্যের স্বীকৃতি একটি ‘শক্তিশালী’ বার্তা দেবে এবং দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের দিকে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে।
ফ্রান্সের এই প্রতিশ্রুতির পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ওপর এই চিঠি বাড়তি চাপ তৈরি করেছে। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং জার্মানির চ্যান্সেলর ফ্রেডরিখ ম্যার্ৎসের সঙ্গে জরুরি ফোনালাপের পর কিয়ার স্টারমার এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া এক ‘বিস্তৃত পরিকল্পনার’ অংশ হতে হবে, যা শেষ পর্যন্ত দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানে রূপ নেবে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- শেয়ারবাজারে দ্রুত মুনাফা তোলার ৫টি ট্রেডিং টিপস
- এক হাজার কোটি টাকার মামলায় শিবলী রুবাইয়াত গ্রেপ্তার
- তালিকাচ্যুতির ঝুঁকিতে অলিম্পিক এক্সেসরিজ
- সাবেক কর্মীদের ১৮২৩ কোটি টাকা আটকে রেখেছে ম্যারিকো
- এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ উচ্চতায় ৫ কোম্পানি
- রবির মাধ্যমে দেশে আসছে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট
- শেয়ার কারসাজিতে ১২ জনকে সাড়ে ৩ কোটি টাকা জরিমানা
- সর্বোচ্চ চাহিদায় নাগালের বাইরে ১৪ প্রতিষ্ঠান
- তিন কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা
- কৃত্রিম চাপে শেয়ারবাজারে অস্থিরতা, সহসা পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা
- শেয়ারবাজারে মিডল্যান্ড ব্যাংকের নতুন যাত্রা
- সর্বনিম্ন দামে আটকে গেল ৭ কোম্পানির শেয়ার
- এক কোম্পারি অস্থিরতায় শেয়ারবাজারে তোলপাড়
- মুনাফা বাড়াতে নতুন পরিকল্পনা: ঘুরে দাঁড়াচ্ছে হাক্কানী পাল্প
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ইস্টার্ন হাউজিং