ঢাকা, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২
চাকরি হারাচ্ছেন ২৪ হাজার কর্মী, বাতিল একাধিক প্রকল্প

বিশ্বখ্যাত চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইনটেল তাদের ইতিহাসের অন্যতম বড় পুনর্গঠনের পথে হাঁটছে। খরচ কমানো এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চিপের বাজারে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করার লক্ষ্যে নতুন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) লিপ-বু টানের নেতৃত্বে এই ব্যাপক পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে, মার্কিন এই প্রযুক্তি জায়ান্টটি ২০২৫ সালের মধ্যে প্রায় ২৪ হাজার কর্মী ছাঁটাই করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
২০২৪ সালের শেষে ইনটেলের বিশ্বব্যাপী কর্মী সংখ্যা ছিল এক লাখের কিছু বেশি। ছাঁটাই প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের পর ২০২৫ সালের মধ্যে এই সংখ্যা কমে প্রায় ৭৫ হাজারে দাঁড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে, যার ফলে প্রতিষ্ঠানটির আকার প্রায় ২৫ শতাংশ ছোট হয়ে যাবে। এই পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ইনটেল ইতোমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মী ছাঁটাই এবং কিছু ব্যবসায়িক কার্যক্রম গুটিয়ে ফেলার কাজ শুরু করেছে।
ইউরোপে বড় ধরনের পদক্ষেপের অংশ হিসেবে জার্মানি এবং পোল্যান্ডে মাল্টিবিলিয়ন ডলারের নতুন চিপ কারখানা নির্মাণের পরিকল্পনা পুরোপুরি বাতিল করেছে ইনটেল। পূর্বে এই প্রকল্পগুলো স্থগিত রাখা হলেও, এখন তা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে পোল্যান্ডে ইনটেলের বর্তমান গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্রটি এখনই বন্ধ হচ্ছে না।
কোস্টারিকায়, যা একসময় ইনটেলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল, সেখানেও বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হচ্ছে। দেশটির অ্যাসেম্বলি ও টেস্টিং কার্যক্রম ভিয়েতনামে সরিয়ে নেওয়া হবে। তবে, ইঞ্জিনিয়ারিং ও কর্পোরেট ফাংশনের মতো অন্যান্য বিভাগে কোস্টারিকায় প্রায় দুই হাজার কর্মী কাজ চালিয়ে যাবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইওতে একটি বিশাল কারখানা নির্মাণের কাজও ধীরগতিতে চলবে বলে জানিয়েছে ইনটেল। বাজারের চাহিদা অনুযায়ী এই বিনিয়োগের গতি নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যদিও স্থানটি কোম্পানির বিনিয়োগ পরিকল্পনায় এখনও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
বিগত কয়েক মাসে, ইনটেল তাদের বেশ কয়েকটি ‘নন-কোর’ বা অপ্রধান ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে তাদের অটোমোটিভ চিপ ইউনিট এবং কম্পিউটার ভিশন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করা রিয়েলসেন্স বিভাগ।
এই পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার আর্থিক প্রভাবও বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। চলতি প্রান্তিকে, ছাঁটাই এবং কাঠামোগত পরিবর্তনের জন্য ইনটেলকে প্রায় এক দশমিক নয় বিলিয়ন ডলার খরচ করতে হয়েছে। এর ফলস্বরূপ, কোম্পানিটি প্রায় দুই দশমিক নয় বিলিয়ন ডলারের নিট লোকসানের সম্মুখীন হয়েছে, যদিও তাদের সামগ্রিক রাজস্ব বারো দশমিক নয় বিলিয়ন ডলারে স্থির রয়েছে।
ব্যবসার বিভিন্ন খাতের দিকে তাকালে দেখা যায়, পিসি চিপ বিক্রি কিছুটা কমেছে। ডেটা সেন্টার থেকে আয় মাত্র চার শতাংশ বেড়েছে এবং অন্যান্য কোম্পানির জন্য চিপ তৈরির ‘ফাউন্ড্রি’ ব্যবসা তিন শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ডিভিডেন্ড-ইপিএস ঘোষণার তারিখ জানাল ১৯ কোম্পানি
- বহুজাতিক কোম্পানির ‘এ’ ক্যাটাগরিতে প্রত্যাবর্তন
- এক কোম্পানির দাপটেই চাঙা শেয়ারবাজার
- শেয়ারবাজারের উত্থান কি টেকসই হবে? বিশ্লেষকরা যা বলছেন
- ডিভিডেন্ড-ইপিএস ঘোষণার তারিখ জানাল ১২ কোম্পানি
- ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- ২২ জুলাই : শেয়ারবাজারের সেরা ৮ খবর
- সারজিস আলমকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা, এনসিপির সকল কার্যক্রম স্থগিত
- শেয়ারবাজারে চমক দেখাল দুই বহুজাতিক কোম্পানি
- সর্বোচ্চ চাহিদার শীর্ষে ৪ কোম্পানির শেয়ার
- চাহিদার তুঙ্গে ১০ কোম্পানির শেয়ার
- বিনিয়োগকারীদের আস্থায় বহুজাতিক তিন কোম্পানি
- ঢাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন বৃত্তির সাক্ষাৎকার নিয়ে নতুন নির্দেশনা
- পাঁচ কোম্পানির শেয়ারে বেড়েছে বিদেশি বিনিয়োগ
- ৬ জায়গায় হবে ডাকসুর ভোটগ্রহণ