ঢাকা, শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫, ১০ শ্রাবণ ১৪৩২

থাইল্যান্ডে কম্বোডিয়ার রকেট হামলা, ৬০ জন হতাহত

ডুয়া নিউজ- আন্তর্জাতিক
২০২৫ জুলাই ২৫ ২৩:২৬:৪৮
থাইল্যান্ডে কম্বোডিয়ার রকেট হামলা, ৬০ জন হতাহত

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘাত এখন নতুন মোড় নিয়েছে। থাই সামরিক বাহিনীর দাবি, কম্বোডিয়া এখন রাশিয়ার তৈরি বিএম-২১ (BM-21 Grad) রকেট লঞ্চার ব্যবহার করে থাইল্যান্ডের অভ্যন্তরে হামলা চালাচ্ছে। এই হামলায় বেসামরিক এলাকা, স্কুল ও হাসপাতাল পর্যন্ত আঘাত হেনেছে, যা আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী স্পষ্ট যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচিত।

সংঘাতের দ্বিতীয় দিনে থাইল্যান্ডে কম্বোডিয়ার রকেট হামলায় ১৫ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ১৪ জনই বেসামরিক নাগরিক। আহত হয়েছেন ৪৬ জন, যার মধ্যে ১৫ জন সেনাসদস্য।

অন্যদিকে, কম্বোডিয়ার এক প্রাদেশিক কর্মকর্তার মতে, থাইল্যান্ডের পাল্টা হামলায় ১ জন নিহত ও ৫ জন আহত হয়েছেন। থাইল্যান্ড সীমান্তে প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

বিএম-২১ "গ্র্যাড" হলো সোভিয়েত ইউনিয়ন-উৎপাদিত একটি মাল্টিপল রকেট লঞ্চার সিস্টেম, যা ৪০টি রকেট একযোগে নিক্ষেপে সক্ষম এবং ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটাতে পারে।

থাই সেনাবাহিনী বলেছে, "কম্বোডিয়া নিরীহ বেসামরিকদের লক্ষ্য করে 'বিএম-২১' রকেট ছুড়ছে, যা এক ধরনের যুদ্ধাপরাধ। দায়ীদের আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় আনতে হবে।" তারা আরও জানিয়েছে, সংঘর্ষ অন্তত ১২টি সীমান্ত এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে।

কম্বোডিয়ার হামলার জবাবে থাইল্যান্ড F-16 যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে আকাশপথে হামলা চালিয়েছে। সংঘাতটি ২১০ কিলোমিটারজুড়ে বিস্তৃত হয়েছে এবং সীমান্তে সাঁজোয়া যান, ট্যাংক ও কামান মোতায়েন করা হয়েছে।

এই সংঘাতের পেছনে রয়েছে ১৯০৭ সালের একটি মানচিত্র সংক্রান্ত বিরোধ। ২০০৮ সালে একটি প্রাচীন মন্দির ঘিরে এই বিরোধ চরমে ওঠে এবং বর্তমান সংঘাত শুরু হয় মে ২০২৫-এ, এক কম্বোডীয় সেনার মৃত্যুর পর।

যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও মালয়েশিয়া শান্তিপূর্ণ সংলাপের প্রস্তাব দিলেও থাইল্যান্ড তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা প্রত্যাখ্যান করেছে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ এ নিয়ে বৈঠকে বসেছে এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে দ্রুত যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত