ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২
হাসিনার প্রাণঘাতী শক্তি প্রয়োগের ভয়ংকর চিত্র আলজাজিরার অনুসন্ধানে
.jpg)
২০২৪ সালের জুলাইয়ে ছাত্র আন্দোলন দমনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি নির্দেশে প্রাণঘাতী শক্তি ব্যবহৃত হয়েছিল বলে বিস্ফোরক দাবি তুলেছে আলজাজিরার ইনভেস্টিগেটিভ ইউনিট। সম্প্রতি প্রকাশিত এক অনুসন্ধানী প্রামাণ্যচিত্রে গোপনে রেকর্ড করা একাধিক ফোনালাপ তুলে ধরা হয়েছে। এতে শেখ হাসিনাকে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে ‘ওপেন ফায়ারের’ নির্দেশ দিতে শোনা যায়।
প্রকাশিত রেকর্ডিংয়ে শেখ হাসিনা ছাত্রদের ওপর সরাসরি গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়ে বলেন, “আমি তো পুরোপুরি ওপেন অর্ডার দিয়ে দিয়েছি... এখন ওরা মারবে যেখানে পাবে সেখানে গুলি করবে। আমি তো এতদিন থামিয়ে রেখেছিলাম।” আরেকটি কলালাপে আন্দোলন দমন নিয়ে বলেন, “যেখানে জটলা দেখছে সেটি ওপর থেকে—এখন তো ওপর থেকেই হচ্ছে।”
প্রামাণ্যচিত্র অনুযায়ী, তিন সপ্তাহব্যাপী সেই সহিংসতায় নিরাপত্তা বাহিনী ৩০ লাখের বেশি রাউন্ড গুলি চালায়। এতে প্রায় ১,৫০০ মানুষ নিহত ও ২৫ হাজারের বেশি আহত হয় বলে দাবি করা হয়েছে।
আন্দোলনের এক পর্যায়ে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদের মৃত্যু ঘিরে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু সামনে আসে।
আলজাজিরার অনুসন্ধান বলছে, সরকার ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে চেষ্টা করে। আবু সাঈদের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাঁচবার পরিবর্তন করা হয় যাতে গুলির আলামত মুছে ফেলা যায়। এ প্রক্রিয়ায় শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান সরাসরি সংশ্লিষ্ট ছিলেন বলে দাবি করা হয়। পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে নিহত ছাত্রের পরিবারকে শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করিয়ে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচার করা হয়।
আলজাজিরা আরও দাবি করে, আন্দোলনের চিত্র আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে দেশের ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়। গোপন নথি ও প্রযুক্তি বিশ্লেষণ থেকে তারা এ তথ্য পেয়েছে।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে ফোনালাপগুলোকে ভুয়া ও সম্পূর্ণ সাজানো বলা হয়েছে। দলটির দাবি, শেখ হাসিনা কখনোই প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দেননি। ১৮ জুলাইয়ের কথোপকথনের কোনো সত্যতা নেই বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। আবু সাঈদের পরিবারের আতঙ্ক নিয়ে তারা দুঃখ প্রকাশ করলেও প্রধানমন্ত্রী ওই ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্তে আগ্রহী ছিলেন বলেও দাবি করা হয়।
ইন্টারনেট বন্ধের বিষয়ে সরকারের ব্যাখ্যা এই যে, আন্দোলনের সময় ‘ভাঙচুরে’ ইন্টারনেট অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তা সাময়িকভাবে বিচ্ছিন্ন ছিল।
এই অনুসন্ধানকে ঘিরে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহলে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। শেখ হাসিনার শাসনামলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ নিয়ে আলোচনা ফের সামনে এসেছে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- কোম্পানি পুরোদমে উৎপাদনে, তারপরও শঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা!
- বিও অ্যাকাউন্টের ফি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের সুখবর দিল বিএসইসি
- তালিকাচ্যুতির ঝুঁকিতে অলিম্পিক এক্সেসরিজ
- শেয়ারবাজারে দ্রুত মুনাফা তোলার ৫টি ট্রেডিং টিপস
- এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ উচ্চতায় ৫ কোম্পানি
- রবির মাধ্যমে দেশে আসছে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট
- সর্বোচ্চ চাহিদায় নাগালের বাইরে ১৪ প্রতিষ্ঠান
- তিন কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা
- সাবেক কর্মীদের ১৮২৩ কোটি টাকা আটকে রেখেছে ম্যারিকো
- শেয়ারবাজারে মিডল্যান্ড ব্যাংকের নতুন যাত্রা
- এক হাজার কোটি টাকার মামলায় শিবলী রুবাইয়াত গ্রেপ্তার
- আট কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কাড়াকাড়ি
- নতুন উচ্চতায় অগ্রসর হচ্ছে দেশের শেয়ারবাজার
- সর্বনিম্ন দামে আটকে গেল ৭ কোম্পানির শেয়ার
- মুনাফা বাড়াতে নতুন পরিকল্পনা: ঘুরে দাঁড়াচ্ছে হাক্কানী পাল্প