ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২
এজেন্ট ব্যাংকিং: আউটলেট কমেছে, বেড়েছে লেনদেন
.jpg)
জনপ্রিয়তা বাড়লেও এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রমে কিছুটা ভিন্নতা দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক তথ্যে দেখা গেছে, আমানত, ঋণ, হিসাবসংখ্যা এবং লেনদেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলেও কমেছে এজেন্ট ও আউটলেটের সংখ্যা।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর শেষে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পরিচালিত হিসাবের সংখ্যা ছিল ২ কোটি ৪০ লাখ ৭৮ হাজার ২৩০টি। ২০২৫ সালের মার্চ শেষে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৪৬ লাখ ৬৮ হাজার ২৫৫টি। অর্থাৎ, তিন মাসে নতুন করে যুক্ত হয়েছে ৫ লাখ ৯৪ হাজার ৩৯০টি হিসাব।
একই সময়ে আমানতের পরিমাণ বেড়েছে ৮৪৭ কোটি ১৩ লাখ টাকা। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর শেষে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে মোট আমানতের পরিমাণ ছিল ৪১ হাজার ৯৫৫ কোটি ১৪ লাখ টাকা। ২০২৫ সালের মার্চ শেষে যা দাঁড়ায় ৪২ হাজার ৬৩২ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।
লেনদেনের দিক থেকেও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তিন মাসে লেনদেন বেড়েছে ৫ হাজার ৭৩৬ কোটি টাকা। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর শেষে লেনদেনের পরিমাণ ছিল এক লাখ ৩৫ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা, যা মার্চ শেষে পৌঁছায় এক লাখ ৪১ হাজার ৫১ কোটি টাকায়।
এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের ঋণ বিতরণ খাতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুসারে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর শেষে যেখানে এ খাতে ঋণের পরিমাণ ছিল ১০ হাজার ১১১ কোটি ৮০ লাখ টাকা, ২০২৫ সালের মার্চ শেষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৪৬৭ কোটি ১৫ লাখ টাকায়। অর্থাৎ তিন মাসে ঋণের স্থিতি বেড়েছে ৩৫৫ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।
প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রেও এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রবাহ বাড়ছে। ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে দেশে এসেছে এক লাখ ৭ হাজার ৩৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা। আগের তিন মাসের তুলনায় এই আয় বেড়েছে ৭ হাজার ৭৩১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।
তবে এসব ইতিবাচক অগ্রগতির বিপরীতে কিছু নেতিবাচক দিকও উঠে এসেছে। তিন মাসে এজেন্টের সংখ্যা ১৮১টি এবং আউটলেটের সংখ্যা ২২৫টি হ্রাস পেয়েছে। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর শেষে এজেন্টের সংখ্যা ছিল ১৬ হাজার ১৯টি, যা ২০২৫ সালের মার্চে নেমে আসে ১৫ হাজার ৮৩৮টিতে। একই সময়ে আউটলেটের সংখ্যা ২১ হাজার ২৪৮টি থেকে কমে দাঁড়ায় ২১ হাজার ২৩টিতে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, গ্রামীণ ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের দোরগোড়ায় সহজ ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যেই এজেন্ট ব্যাংকিং চালু করা হয়েছিল। এখন এটি একটি জনপ্রিয় ও কার্যকর প্ল্যাটফর্মে রূপ নিয়েছে, যেখানে গ্রাহকরা শুধু সঞ্চয়ই নয়, সহজে ঋণ সুবিধাও পাচ্ছেন।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- তিন কোম্পানির কারখানা বন্ধ, ক্ষোভ বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের
- আইসিবি’র বিশেষ তহবিলের মেয়াদ ২০৩২ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধি
- কেয়া কসমেটিক্সের ৮ হাজার কোটি টাকা উধাও, চার ব্যাংককে তলব
- সম্ভাবনার নতুন দিগন্তে শেয়ারবাজারের খান ব্রাদার্স
- ব্লুমবার্গের টেকসই তালিকায় বাংলাদেশের ১১ তালিকাভুক্ত কোম্পানি
- মূলধন ঘাটতিতে দুই ব্রোকারেজ হাউজ, ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
- দুই খবরে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ শেয়ারের চমক
- ২৩ আগস্ট : শেয়ারবাজারের সেরা ৮ খবর
- সাকিবের মোনার্কসহ ৮ ব্রোকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
- চলতি বছর শেয়ারবাজারে আসছে রাষ্ট্রায়াত্ব দুই প্রতিষ্ঠান
- হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে প্রতারণা, বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করল ডিএসই
- বিএসইসির নতুন মার্জিন বিধিমালার খসড়া অনুমোদন
- কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা
- শেয়ারবাজারের জন্য সুখবর: কমছে ট্রেজারি বিল ও বন্ডের সুদ
- বিমা আইন সংস্কার: বিনিয়োগ ও আস্থায় নতুন দিগন্ত