ঢাকা, শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২
যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে নতুন উত্তাপ

যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে সদ্য পাস হওয়া বৃহৎ করছাড় ও ব্যয়সংকোচন সংক্রান্ত আলোচিত বিল ২০২৬ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এক উত্তেজনাপূর্ণ রাজনৈতিক কৌশলযুদ্ধের মঞ্চ তৈরি করেছে। রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট উভয় দলই এই আইনকে ঘিরে নিজেদের অবস্থান স্পষ্টভাবে জনসমক্ষে তুলে ধরার জন্য জোরালো প্রচারপ্রচেষ্টা শুরু করেছে।
রিপাবলিকানদের পেশ করা বিলে কর্পোরেট ও ব্যবসায়িক খাতে স্থায়ীভাবে বড় ধরনের করছাড় দেওয়া হয়েছে। তাদের আশা, এর মাধ্যমে মার্কিন অর্থনীতিতে চাঙ্গাভাব ফিরে আসবে এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে।
তবে এই একই বাজেটে মেডিকেইড (স্বাস্থ্যসেবা) ও খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির মতো জনগুরুত্বপূর্ণ খাতে বড় ধরনের কাটছাঁট করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। যার ফলে ডেমোক্র্যাটদের তীব্র ক্ষোভের কারণ হয়েছে। পেনসিলভানিয়ার ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধি ব্রেন্ডান বয়েল বিলটির সমালোচনা করে বলেছেন, "এই ভোট দিয়ে কিছু হাউস রিপাবলিকান আজ সকালেই তাদের রাজনৈতিক মৃত্যুপরোয়ানায় স্বাক্ষর করছেন।" তিনি আরও যোগ করেন, "তারা ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য আত্মবলিদান দিচ্ছেন—এটা একরকম রাজনৈতিক প্ল্যাঙ্কে হাঁটার মতো ব্যাপার।"
তবে ডেমোক্র্যাটরা মনে করছেন, দরিদ্র ও নিম্ন-মধ্যবিত্তদের সহায়তা কেটে দিয়ে ধনীদের কর ছাড় দেওয়ার এই সিদ্ধান্ত রিপাবলিকানদের জন্য বুমেরাং হবে এবং তাদের বিপদে ফেলবে। তারা আশা করছেন, এই ইস্যুটিকে পুঁজি করে জনগণের ব্যাপক সমর্থন নিয়ে অন্তত একটি কংগ্রেস কক্ষ পুনর্দখল করতে পারবেন।
অপরদিকে, রিপাবলিকানরা দৃঢ়ভাবে বলছেন, এই বিল মার্কিন জনগণের জন্য বাস্তব সুফল বয়ে আনবে। তাদের মতে, এটি চাকরি বৃদ্ধি, মজুরি বাড়ানো এবং খাদ্য ও জ্বালানির দাম কমানোর মাধ্যমে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। হাউস মেজরিটি লিডার স্টিভ স্কালিস আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেছেন, "আমেরিকান জনগণ এই বিলের সুফল নিজের চোখে দেখবে এবং বুঝবে কোন দল তাদের জন্য সত্যিকার অর্থে লড়েছে।"
ইতিহাস বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ইতিহাসে মধ্যবর্তী নির্বাচন প্রায়শই ক্ষমতাসীন দলের জন্য একটি বিপজ্জনক সময় হিসেবে বিবেচিত হয়। তাই বাইডেন প্রশাসনের অধীনে থাকা ডেমোক্র্যাটরা আশা করছেন, এই নতুন অর্থনৈতিক বিল তাদের জন্য একটি কার্যকর প্রচার অস্ত্র হয়ে উঠবে, যা তাদের নির্বাচনী ভাগ্য পরিবর্তনে সহায়ক হবে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- আট কোম্পানির উদ্যোক্তাদের নিয়ন্ত্রণে ৮০ শতাংশের বেশি শেয়ার
- ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের ১১০ কোটি টাকার খেলাপি গ্রাহক গ্রেপ্তার
- ঢাবির হলে প্রকাশ্যে ধূমপানে ২০০ টাকা জরিমানার ঘোষণা
- প্রাতিষ্ঠানিকদের দখলে ৮ কোম্পানি: ৪০ শতাংশের বেশি বিনিয়োগ
- ঢাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের বৃত্তি : সাক্ষাৎকার যেদিন শুরু
- ১০ শতাংশ শেয়ারও নেই ৮ কোম্পানির উদ্যেক্তা-পরিচালকদের
- সরকারি চাকরিতে আসছে অবসরের নতুন নিয়ম
- এক কোম্পানির যাদুতেই শেয়ারবাজারে উত্থান!
- রেকর্ড দামে তিন প্রতিষ্ঠান: বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস
- ২১ বস্ত্র কোম্পানিতে প্রাতিষ্ঠানিক মালিকানা নজরকাড়া তলানিতে
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে তিন কোম্পানি
- শেয়ারবাজারের ৯ ব্যাংকের সম্পদ যাচাই করবে বাংলাদেশ ব্যাংক
- রেকর্ড তলানিতে তিন কোম্পানির শেয়ার: বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ
- পদোন্নতি পাবেন না যেসব সরকারি কর্মকর্তারা
- সুনামির আশঙ্কা, প্রাণ হারাতে পারেন প্রায় ৩ লাখ মানুষ!