ঢাকা, শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২
দেশের কল্যাণে ঢাবি'র গবেষণাকে কাজে লাগানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে গবেষণার পরিসর আরও সম্প্রসারণ এবং গবেষণালব্ধ জ্ঞানকে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কার্যকরভাবে কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বিশ্বায়ন ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এই যুগে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে উদ্ভাবনের জন্য কাজ করতে, গবেষণার পরিসর বাড়াতে এবং গবেষণায় অর্জিত জ্ঞান দেশ ও জনগণের কল্যাণে প্রয়োগ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’
তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভবিষ্যতেও বিশ্বমানের উচ্চশিক্ষা প্রদানে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে এবং একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে প্রত্যাশিত অবদান রাখবে।
ড. ইউনূস বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকল সদস্য—শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক ভূমিকার কথা স্মরণ করে বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চশিক্ষা, জ্ঞানচর্চা ও গবেষণার প্রসারে অনন্য ভূমিকা পালন করে আসছে। আমাদের রাজনৈতিক, সামাজিক-অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক জাগরণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করেই হয়েছে, যার ধারাবাহিকতায় স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ জন্ম নিয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও উল্লেখ করেন, ভাষা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং জুলাই অভ্যুত্থানসহ বাংলাদেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ঐতিহাসিক ভূমিকা সর্বজনস্বীকৃত। তিনি বলেন, গত ফ্যাসিবাদী শাসনের অন্যায় ও নিপীড়নের শৃঙ্খল ভেঙে এখন আমরা বৈষম্যহীন 'নতুন বাংলাদেশ' গঠনের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছি।
দেশকে নতুনভাবে পুনর্গঠনের জন্য গভীর দেশপ্রেম, মানবিকতা ও উদার মানসিকতা সম্পন্ন দক্ষ মানবসম্পদ প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন অধ্যাপক ইউনূস। তিনি মনে করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আগামী প্রজন্মকে ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে আরও সক্রিয় ও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
এই প্রেক্ষাপটে প্রধান উপদেষ্টা মনে করেন, এ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের প্রতিপাদ্য—'বৈষম্যহীন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়'—একটি অত্যন্ত সময়োপযোগী চিন্তা। তিনি 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস' উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- আট কোম্পানির উদ্যোক্তাদের নিয়ন্ত্রণে ৮০ শতাংশের বেশি শেয়ার
- ঢাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের বৃত্তি : সাক্ষাৎকার যেদিন শুরু
- ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের ১১০ কোটি টাকার খেলাপি গ্রাহক গ্রেপ্তার
- প্রাতিষ্ঠানিকদের দখলে ৮ কোম্পানি: ৪০ শতাংশের বেশি বিনিয়োগ
- ১০ শতাংশ শেয়ারও নেই ৮ কোম্পানির উদ্যেক্তা-পরিচালকদের
- এক কোম্পানির যাদুতেই শেয়ারবাজারে উত্থান!
- ২১ বস্ত্র কোম্পানিতে প্রাতিষ্ঠানিক মালিকানা নজরকাড়া তলানিতে
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে তিন কোম্পানি
- হিরোশিমার চেয়ে ৬ গুণ শক্তিশালী বোমা ফেললো ইসরাইল
- শেয়ারবাজারের ৯ ব্যাংকের সম্পদ যাচাই করবে বাংলাদেশ ব্যাংক
- সুনামির আশঙ্কা, প্রাণ হারাতে পারেন প্রায় ৩ লাখ মানুষ!
- পদোন্নতি পাবেন না যেসব সরকারি কর্মকর্তারা
- ১৩ বীমায় প্রাতিষ্ঠানিক মালিকানা তলানিতে, ১০% শতাংশের নিচে শেয়ার
- ২৪ কোম্পানিতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অনীহা, বিনিয়োগ ১০% শতাংশের নিচে
- উদ্যোক্তা পরিচালকের ২০ লাখ শেয়ার বিক্রির ঘোষণা