ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ

২০২৫ জুন ২৯ ১৪:৪১:১৪

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ

১২ দিনের রক্তক্ষয়ী সংঘাত শেষে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও, নতুন করে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে। ইসরায়েলি দৈনিক মারিভ জানিয়েছে, সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতি যেন আগাম সংঘাতের প্রস্তুতির সূচনা মাত্র। বিশেষ করে তেলআবিব উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, এই বিরতি কৌশলগত সমঝোতার বদলে একটি সাময়িক ভারসাম্য ছাড়া কিছুই নয়।

রাজনৈতিক সংবাদদাতা আনা ব্রাস্কি বলেছেন, এখন আর প্রশ্ন হলো না যুদ্ধ হবে কি না বরং কবে ও কোথায় আবার শুরু হবে সেটাই মূল আলোচ্য। যুদ্ধবিরতির দেড় দিন পরই মোসাদপ্রধান ডেভিড বার্নিয়ার মন্তব্য সেই শঙ্কাকে আরও দৃঢ় করে, তিনি বলেন আমরা জানি ইরান কী করছে এবং তার ভিত্তিতেই কাজ করব।

বিশ্লেষকদের মতে, এই যুদ্ধবিরতিতে না আছে স্থায়ী তদারকি ব্যবস্থা, না রয়েছে কোনো পারমাণবিক বা ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি বন্ধের নিশ্চয়তা। এমনকি মার্কিন মধ্যস্থতার চুক্তিতে স্পষ্ট কোনো কূটনৈতিক কাঠামো না থাকায় তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।

মারিভের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ইসরায়েল নিজের কৌশলগত লক্ষ্য পূরণে ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ধ্বংস করতে চেয়েছিল। অন্যদিকে ইরান যুক্তরাষ্ট্রকে সরাসরি জড়িত না করে সীমিত পর্যায়ে থেকে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। ফলে যুদ্ধবিরতি বাস্তবিক অর্থে একটি বিরতি মাত্র শান্তি নয়।

আনা ব্রাস্কি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, লেবানন থেকে রকেট, ইয়েমেন থেকে ড্রোন হামলা কিংবা সিরিয়ায় ইসরায়েলি অভিযান যে কোনো সময় এই অস্থিরতা বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে।

এদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভূমিকা নিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, তিনি যুদ্ধবিরতিকে একদিকে সমাপ্তি হিসেবে ঘোষণা দেন, আবার অন্যদিকে নতুন হামলার হুমকি দিয়ে দ্বৈত অবস্থান নেন। এমনকি তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে চলমান মামলাও বাতিলের ইঙ্গিত দেন, যা রাজনৈতিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

মারিভের মূল্যায়নে বলা হয়েছে, যদি যুক্তরাষ্ট্র এখনই সিদ্ধান্ত না নেয় যে তারা সক্রিয় হস্তক্ষেপ করবে, তাহলে ইরান-ইসরায়েল সংঘাত খুব দ্রুতই আবারও উসকে উঠতে পারে।

তথ্যসূত্র: আলজাজিরা

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত