ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২
ছাত্ররাজনীতিতে কোন পেশিশক্তি থাকতে পারবে না: মির্জা গালিব

যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. মির্জা গালিব বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ হলে সবচেয়ে ভালো হতো। তবে, ছাত্ররাজনীতি থাকলেও এতে কোন পেশিশক্তি থাকতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, তরুণদের সারাক্ষণ রাজনীতি করলে হবে না। তাদের পড়াশোনা করতে হবে। তাদের স্কিলড ম্যানপাওয়ার হতে হবে। যত তাড়াতাড়ি আমরা ঐক্যমতের ভিত্তিতে জুলাই ঘোষণাপত্র দিতে পারব, তত তাড়াতাড়ি তরুণরা পড়াশোনায় ফিরতে পারবে।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ড. মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ হলের মুক্তমঞ্চে বুদ্ধিবৃত্তিক সংগঠন 'ছত্রিশ' আয়োজিত "সন্ত্রাস প্রতিরোধে অগ্নিগর্ভ কার্জন: জুলাই অভ্যুত্থানের দৃপ্ত সূচনা" শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
'ছত্রিশ' এর পরিচালক মিফতাহুল হোসাইন আল মারুফ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক সাদিক কায়েম, ঢাবির পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ও ঢাকা মহানগর পূর্বের শিবির সভাপতি আসিফ আব্দুল্লাহ, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাবি শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মাহতাব ইসলাম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতরা তাদের আন্দোলনের সময়কার নানা স্মৃতিচারণ করেন।
মির্জা গালিব বলেন, ২০০৫ সালে আমরা যখন শিক্ষার্থী ছিলাম তখন একটা কোটা সংস্কার আন্দোলন হয়েছিলো। তখন ছাত্রদল এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলো। তখন জোট সরকার ক্ষমতায় থাকার পরও মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন করায় মারধরের স্বীকার হতে হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, আমরা ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়ে বড় একটা পরিবর্তন ঘটিয়েছি। আমাদের আরও দুটো জায়গায় পরিবর্তন আনতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের যাতে আবার গণরুম-গেস্টরুম ফিরে না আসে সে ব্যাপারে লক্ষ রাখতে হবে। পাশাপাশি, যেভাবে হাসিনা ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে, তিনটা নির্বাচন কারচুপি করছে এটা যাতে আর কেউ করতে না পারে। এজন্য ক্ষমতার ভারসাম্য নিশ্চিত করতে হবে।
সাদিক কায়েম জুলাইয়ের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সবাইকে নতুনভাবে জাগ্রত করা ও ঐক্যবদ্ধ করার কাজ করেছিলো সায়েন্স ফ্যাকাল্টির তিনটি হল। তারা হল থেকে ছাত্রলীগ বিতাড়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলো।
তিনি আরও বলেন, আমরা যারা ঢাবি শিক্ষার্থী তাদের দায়িত্ব অনেক বেশি। আমাদের জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করতে হবে। আমাদের আদর্শিক ভিন্নতার কারণে আমরা যেন জুলাইয়ের স্পিরিটের সাথে গাদ্দারি না করি।
আসিফ আব্দুল্লাহ বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বপ্রথম ছাত্রলীগ বিতাড়িত করেছে শহিদুল্লাহ হলের শিক্ষার্থীরা। তারা সহ সায়েন্স ফ্যাকাল্টির তিনটি হলের শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগকে যেভাবে প্রতিহত করেছে, আমি তাদের স্যালুট জানাই।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- স্বল্প মূল্যে কম্পিউটার স্কিল ট্রেনিং কোর্সে ভর্তির সুযোগ, আসন সীমিত
- চলতি সপ্তাহে বেক্সিমকোর ফ্লোর প্রাইস ওঠার সম্ভাবনা
- ডুয়া নিউজের বিশেষ প্রতিযোগিতা, পুরস্কার ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা!
- শেয়ারবাজারে তানিয়া শারমিন ও মাহবুব মজুমদার ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ
- শেয়ারবাজারের ৩ প্রতিষ্ঠানের ২৯৬ কোটি টাকা মানি লন্ডারিং
- শেয়ারের অস্বাভাবিক দামের জন্য ডিএসইর সতর্কবার্তা
- শিক্ষার্থীদের আলোকিত ভবিষ্যত গড়তে পাশে থাকবে ঢাবি অ্যালামনাই
- ১০ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তার
- জুলাই স্মৃতি জাদুঘর: টেন্ডার ছাড়াই ১১১ কোটি টাকার কাজ পেল দুই প্রতিষ্ঠান
- ঢাবি অ্যালামনাই ও নিউ হরাইজন কানাডিয়ান স্কুলের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
- ইপিএস ঘোষণার তারিখ জানাল দুই কোম্পানি
- ১৬ জুলাই সরকারি ছুটি কি-না? যা জানা যাচ্ছে
- ঢাবির জিয়া হলে ‘ক্যারিয়ার টক’ অনুষ্ঠিত
- শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম নিয়ে ডিএসইর সতর্কতা
- ডিভিডেন্ড পেয়েছে চার কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা