ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১৩ আষাঢ় ১৪৩২
ঢাকা মেডিকেলে কাটেনি অচলাবস্থা, বাসা খুঁজতে বলছে মন্ত্রণালয়
.jpg)
ঢাকা মেডিকেল কলেজের আবাসিক হলগুলোর জরাজীর্ণ অবস্থা নিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এখনো অব্যাহত। ছাদের পলেস্তরা খসে পড়ছে, দেওয়ালে ফাটল, চারতলা পরিত্যক্ত ঘোষণার মতো নানা ঝুঁকির মুখে থেকেও ছাত্ররা হল ছাড়তে নারাজ। অন্যদিকে কর্তৃপক্ষও এখনও স্পষ্ট কোনো সমাধান দিতে পারেনি। ফলে ২২ জুন থেকে বন্ধ থাকা একাডেমিক কার্যক্রমও ফের চালু হয়নি।
গত এক মাস ধরে নতুন হল নির্মাণসহ পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। ঈদের পর নবীনবরণ অনুষ্ঠানেও অংশ নেননি তারা। একাডেমিক কাউন্সিল ক্লাস ও পরীক্ষার কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করে ছাত্রদের হল ছাড়ার নির্দেশ দিলেও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তা মানেননি। তারা বলছেন, লিখিত প্রতিশ্রুতি ছাড়া আন্দোলন প্রত্যাহারের প্রশ্নই ওঠে না।
শিক্ষকদের যুক্তি, হল নির্মাণ বা অবকাঠামো উন্নয়ন তাদের হাতে নেই সেসব সিদ্ধান্ত সরকারের। তারা কেবল বরাদ্দ অনুযায়ী সিট দিতে পারেন।
অতীতে ‘স্বপ্নের স্বাক্ষর’ নামে একটি প্রকল্পে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নতুন আবাসন ও হাসপাতাল নির্মাণের ঘোষণা দেওয়া হলেও বাস্তবে কোনো অগ্রগতি হয়নি। ফলে এখনও শিক্ষার্থীদের থাকতে হচ্ছে ব্রিটিশ আমলের পুরোনো ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে।
গত ২৩ জুন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ছাত্র ও শিক্ষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শিক্ষার্থীদের দাবিকে যৌক্তিক বলে স্বীকার করে আশ্বাস দেন নতুন ব্যাচের জন্য বিকল্প আবাসনের ব্যবস্থা হবে এবং নতুন হল নির্মাণে উদ্যোগ নেওয়া হবে। এরপর শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে চায়।
কিন্তু ২৪ জুন অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষের সঙ্গে বৈঠকে শিক্ষার্থীরা আবারো আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। কারণ তারা স্পষ্ট কোনো সমাধান পাননি। ছাত্র প্রতিনিধি তানভীর বলেন, “আমরা লিখিত নিশ্চয়তা চাই যে কাজ শুরু হয়েছে এবং তার অগ্রগতি কী।”
হল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, সঠিক নিয়মে সিট বরাদ্দ দিলে বর্তমান অবকাঠামোতেই নতুন ব্যাচসহ সব শিক্ষার্থীকে আবাসনের ব্যবস্থা করা সম্ভব। প্রয়োজনে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ডরমেটরিও ব্যবহার করা হবে। কিন্তু আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এতে রাজি নন। তারা চান নতুন ব্যাচকে আপাতত বাসা ভাড়া করে রাখা হোক এবং পুরোনোদের বর্তমানভাবে থাকতে দেওয়া হোক।
হল সুপার ডা. আহসান হাবিব বলেন, “ছাত্রদের দাবি যৌক্তিক। কিন্তু কাজ শুরু করতে হলে একনেকের অনুমোদন প্রয়োজন। এটা এখন অন্তর্বর্তী সরকার ফিরিয়ে দেওয়া হলেও কিছু করার থাকবে না।”
অধ্যক্ষ কামরুল আলম বলেন, “সবচেয়ে বড় বিষয় ছাত্রদের নিরাপত্তা। পরিত্যক্ত ফ্লোরে থাকা চলবে না। এক রুমে এক বা দুইজন থাকার দাবি মানা সম্ভব নয়। আগে ফ্লোর খালি করতে হবে পরে নতুন করে বরাদ্দ দেবো।”
সবশেষে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্বাস থাকলেও শিক্ষার্থীদের বিশ্বাস ফেরাতে লিখিত অগ্রগতির প্রমাণই এখন প্রধান দাবি।
তথ্য : জাগোনিউজ
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- সরাসরি পারমাণবিক অ'স্ত্র পাবে ইরান!
- প্রথম প্রান্তিকে মুনাফা থেকে লোকসানে গেল চার ব্যাংক
- সাত কোম্পানির বিনিয়োগকারীদের পুঁজির বড় অংশ উধাও
- যেসব শর্তে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলো ইরান
- পাঁচ কোম্পানিতে বেড়েছে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার
- খোঁজ মিলছে না আয়াতুল্লাহ খামেনির!
- ইরানে বড় ধ্বংসলীল : ৬ বিমানবন্দরে একযোগে হামলা
- হা'মলার পর হন্যে হয়ে ইরানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রের
- ভিডিও ফাঁস করার বিষয়ে মুখ খুলেছেন শরীয়তপুরের সেই ডিসি
- মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা; উত্তেজনা তুঙ্গে
- জবাব দিতে শুরু করেছে ইরান
- শেয়ার কিনেছেন চার কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকরা
- মোবাইলে কল এলেই ইন্টারনেট বন্ধ? এক মিনিটেই সমাধান!
- পর্যাপ্ত রিজার্ভ থাকা সত্বেও ফেসভ্যালুর নিচে ১৬ ব্যাংকের শেয়ার
- মুন্নু সিরামিকের বিনিয়োগকারীদের জন্য দারুণ সুখবর